২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্সেনাল

-

পোর্টসমাউথকে ২-০ গোলে পরাজিত করে এফএ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে আর্সেনাল। সক্রেটিস পাপাস্টাথোপোলাস ও এডি এনকেটিয়ার গোলে আর্সেনালের জয় নিশ্চিত হয়।

গত বৃহস্পতিবার এমিরেটস স্টেডিয়ামে অলিম্পিয়াকোসের কাছে পরাজিত হয়ে ইউরোপা লিগের শেষ ১৬ থেকে বিদায় নিয়েছে আর্সেনাল। যে কারণে মাইকেল আর্তেতার দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এই জয়টা অত্যন্ত জরুরি ছিল। ঘরের মাঠে ইউরোপা লিগ থেকে বিদায় নেয়ার পর খেলোয়াড়রা বেশ মুষড়ে পড়েছিলেন বলে আর্তেতা স্বীকার করেছেন। কিন্তু এফএ কাপে তৃতীয় টায়ারের দল পোর্টসমাউথকে হারিয়ে সেই হতাশা থেকে কিছুটা হলেও বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে পেয়েছে গানার্সরা।

বিরতির ঠিক আগে সক্রেটিস আর্সেনালকে এগিয়ে দেন। বিরতির পরপরই এনকেইটার গোলে দলের জয় নিশ্চিত হয়। এফএ কাপে রেকর্ড সর্বোচ্চ ১৩ বার শিরোপা জয় করেছে আর্সেনাল। আর এই শিরোপা জয়ে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে আর্সেনাল দলের গর্বিত সদস্য ছিলেন বর্তমান কোচ আর্তেতা। ওয়েম্বলীতে আরেকটি শিরোপা জয়ের সাক্ষী হিসেবে ৩৭ বছর বয়সী আর্তেতা কোচ হিসেবে তার প্রথম মৌসুম শেষ করতে চান। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন এখনো যেখানে ঝুলে আছে সেখানে এফএ কাপের শিরোপাটা জয় করা জরুরি।

ম্যাচ শেষে আর্তেতা বলেছেন, ‘আমরা নিজেদের দারুনভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি, কারন এই প্রতিযোগিতাটা আমরা পছন্দ করি। আমরা সঠিক পথেই আছি। এখানে আসার পথটা মোটেই সহজ ছিল না। কিন্তু আমার সকলের ওপর আস্থা আছে। খেলোয়াড়রা সবসময়ই সঠিক সময়ে সঠিক কাজটা করেছে, আমি জানি তারা কি করতে পারে। কঠিন মুহূর্ত থেকে তারা শিক্ষা নিয়েছে।’

১৯৯২ সালে রেক্সহ্যামের কাছে পরাজিত হবার পর থেকে শীর্ষ দুই বিভাগের বাইরে কোন দলের কাছে আর্সেনাল এফএ কাপে বিদায় নেয়নি।

পোর্টসমাউথের বিপক্ষে সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই আর্তেতা নয়টি পরিবর্তন করে মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন। এর আগে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ২৭ বারের মোকাবেলায় পোর্টসমাউথকে ২১ বারই পরাজিত করেছে গানার্সরা। দলে অনুপস্থিত ছিলেন পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং ও মেসুত ওজিল। আলেক্সান্দার লাকাজেত্তে ও নিকোলাস পেপে ছিলেন বদলী বেঞ্চে। জানুয়ারিতে ফ্লেমেঙ্গো থেকে ধারে খেলতে আসা সেন্টার-ব্যাক পাবলো মারির কাল আর্সেনালের জার্সি গায়ে অভিষেক হয়েছিল। মূল একাদশে আরো ছিলেন ডেভিড লুইজ, মাত্তেও গুয়েনডোজি ও লুকাস টোরেইরা।

যদিও জেমস বলটনের ফাউলের কারনে মাত্র ১৫ মিনিট পরেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন উরুগুয়ের মিডফিল্ডার টোরেইরা। চার মিনিট মাঠেই চিকিৎসা নেবার পর স্ট্রেচারের সাহায্যে তাকে বাইরে নিয়ে আসা হয়।

২০০৮ সালে সর্বশেষ শিরোপা জয়ী পোর্টসমাউথ অবশ্য পুরো ম্যাচে আর্সেনালের বিপক্ষে তেমন কোন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি। তবে প্রথম সুযোগটা তারাই পেয়েছিল। স্টিভ সিডন্সের ক্রস থেকে গ্যারেথ ইভান্সের হেড অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়। তারপর থেকেই আর্তেতার দল ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নেয়। নেলসনের ক্রস থেকে গ্রীক ডিফেন্ডার সক্রেটিস প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে দুর্দান্ত ভলিতে মাত্র ১০ গজ দুর থেকে পোর্টসমাউথ গোলরক্ষক এ্যালেক্স বাসকে পরাস্ত করেন।

সেই আত্মবিশ্বাস থেকেই ৫১ মিনিটে আবারো নেলসনের সহযোগিতায় এনকেইটা ব্যবধান দ্বিগুন করার পাশাপাশি আর্সেনালের জয় নিশ্চিত করেন।

বাসস

 


আরো সংবাদ



premium cement