২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

বসুন্ধরা কিংসকে ক্ষতিপূরণ দিলো ফিফা

৭ নম্বর জার্সিধারী মাশুক মিয়া জনি - ছবি : সংগৃহীত

ভাগ্যটা সুপ্রসন্নই মাশুক মিয়া জনির। জাতীয় দলে খেলতে গিয়ে আহত হয়ে এখন তিনি মাঠের বাইরে। এই সিজনে আর মাঠে ফেরা হবে না তার। অবশ্য এরপরও তার ক্লাব বসুন্ধরা কিংস তাকে দলের সাথে রেখেছে। দিচ্ছে পারিশ্রমিকও। অতীতের অন্য ক্লাবগুলোর মতো বসুন্ধরা তাকে ইনজুরির অজুহাতে ছুড়ে ফেলেনি। একই সাথে ফিফাও উপেক্ষা করেনি এই মিডফিল্ডারকে। জনির আহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তার ক্লাব বসুন্ধরা কিংসকে ক্ষতি পূরণ বাবদ চার লাখ টাকা দিয়েছে ফিফা। তা ৫২ দিনের। জনির ফিট হতে আরো সময় লাগলে ফিফা ক্ষতিপূরণের টাকার পরিমাণ বাড়াবে। কিছু দিনের মধ্যেই বসুন্ধরা কিংসের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেবে ফিফা। জানান বাফুফে সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগ।

কেন ফিফা জনির ইনজুরির জন্য ক্ষতি পূরণের টাকা দিচ্ছে? কারণ বাংলাদেশ দলের এই ফুটবলারের আহত হওয়ার ঘটনা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে। ১০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ দল এবারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচ খেলে তাজিকিস্তানের মাটিতে। সেখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সময় আহত হন বসুন্ধরা কিংসের এই ফুটবলার। যেহেতু জনি ফিফার ম্যাচে আহত হয়ে মাঠের বাইরে লম্বা সময় ধরে, তার জন্য বিপদে পড়েছে ক্লাব, তাই ফিফার ক্লাব প্রটেকশন স্কিমের আওতায় এই ক্ষতিপূরণ পাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। দিনে ৭,৬৬৭ টাকা করে আপাতত ৫২ দিনের জন্য ৩,৯৮,৬৬৮ টাকা পাচ্ছে ক্লাব। জানুয়ারিতে ফিফা এই ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা জানায় বাফুফেকে।

জনির ক্লাব বসুন্ধরা বাংলাদেশের প্রথম দল হিসেবে এই ক্ষতি পূরণের টাকা পাচ্ছে না। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে আহত হয়েছিলেন ঢাকা আবাহনীর ফুটবলার আতিকুর রহমান ফাহাদ। আবাহনীকেও এক লাখ টাকার বেশি ক্ষতি পূরণ দিয়েছিল ফিফা। তথ্য দেন বাফুফে সেক্রেটারি। ফাহাদ অবশ্য এখন বসুন্ধরার খেলোয়াড়। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ বাছাই পর্ব থেকেই এই ক্ষতি পূরণ দেয়ার কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ব ফুটবলের সর্বময় সংস্থা ফেডারেশন অব ইন্টার ন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা)। এই মর্মে ফিফা যে সার্কুলার জারি করে তা বাফুফে বাংলাদেশের সব ক্লাবকে জানিয়ে দেয়। এবারের বিশ্বকাপ বাছাই উপলক্ষেও এই সার্কুলার সম্পর্কে সব ক্লাবকে অবহিত করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। অবশ্য বিষয়টি এড়িয়ে যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো। বাফুফে সেক্রেটারি জানান, এই ক্ষতি পূরণ আদায়ের কাজটা সংশ্লিষ্ট ফুটবলার ও ক্লাবের। অথচ আমাদেরই এই কাজ করতে হচ্ছে। জনি আহত হওয়ার কিছু দিন পরেই আমরা ফিফার কাছে ক্ষতি পূরণ দাবি করি।


আরো সংবাদ



premium cement