১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

আজ থেকে বাংলা ব্লকড কর্মসূচি

চাকুরির কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ : নয়া দিগন্ত -

- কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল সারা দেশ, মহাসড়কে অবস্থান
- কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাবিতে বাধা ছাত্রলীগের

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে গতকাল পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলনে উত্তাল ছিল সারা দেশ। এ দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথ অবরোধ করে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ও অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। পরে আন্দোলনের সমাপনী বক্তব্যে আজ রোববার থেকে ‘বাংলা ব্লকড’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের মুখপাত্র ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম।
এ দিকে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে এতে নৈতিক সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।

শাহবাগে শিক্ষার্থীদের গণজোয়ার
ঢাবি প্রতিনিধি জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলনে গতকাল নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কর্মসূচি পালিত হয়। শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একত্র হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি টিএসসি, ঢাকা মেডিক্যাল, বুয়েট, ইডেন কলেজ, নীলক্ষেত হয়ে পুনরায় টিএসসি ঘুরে শাহবাগে এসে শেষ হয়। এ সময় আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে ঢাবি অধিভুক্ত তিতুমীর কলেজ, ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে যোগ দেন। আন্দোলন চলাকালে শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যদিও এ সময় অ্যাম্বুলেন্সের যাওয়ার নির্বিঘেœ জায়গা করে দেয়া হয়।
অবরোধকালীন কোটা না মেধা, মেধা মেধা, কোটা প্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক, আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম, হাইকোর্ট না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ স্লোগানে মুখরিত হয় শাহবাগের আকাশ-বাতাস। আন্দোলনে সমাপনী বক্তব্যে আজ রোববার থেকে বাংলা ব্লকড কর্মসূচি ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনের মুখপাত্র ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম।

কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, রোববার বিকেল ৩টা থেকে বাংলা ব্লকড কর্মসূচি পালিত হবে। শুধু শাহবাগ নয়, রাজধানীর সায়েন্স ল্যাব, নীলক্ষেত, চানখারপুলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বাংলা ব্লকড কর্মসূচি পালন করবেন। ঢাকার বাইরের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, কোটা পুনরায় এনে আদালত ও শিক্ষার্থীদের সামনাসামনি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এটা সরকারের দায়িত্বহীন আচরণ। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন, কোটা থাকবে না। তাহলে কোটা কেন আবার পুনর্বহাল হলো? এটা রীতিমতো শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহসন। আমরা শিক্ষার্থী সমাজ এর ঘোর নিন্দা জানাই। দাবি আদায় না হলে প্রয়োজনে আমরা হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সমাজ পড়ার টেবিলে ফিরে যাবে না। শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে শিক্ষক-অভিভাবকদেরও শরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ দিকে গতকালের কর্মসূচিতে ছাত্রলীগ প্রত্যক্ষভাবে বাধা না দিলেও আন্দোলন চলাকালীন অনেকটা জোর করে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামে নিয়ে যায়। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার গেটে তালা দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যেতে বাধা দেয় ক্ষমতাসীন দলের আদলে থাকা এ সংগঠনটি। আন্দোলনকারীরা হলের তালা ভেঙে শিক্ষার্থীদের বের করে নিয়ে আসে। শিক্ষার্থীরা জানায়, আন্দোলনে গেলে তাদের চাপ প্রয়োগ করছে হলের পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
বিতর্ক ক্লাব থেকে পদচ্যুত ঢাবি শিক্ষার্থী : কোটাবিরোধী আন্দোলনে যাওয়ার কারণে ঢাবি সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ডিবেটিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসাইনকে জোর করে পদচ্যুত করার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই বিভাগের অধ্যাপক ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের মুখপাত্র অধ্যাপক আকম জামাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, গতকাল সকালে সমাজবিজ্ঞান বিভাগ ডিবেটিং ক্লাবের মডারেটর অধ্যাপক আকম জামাল উদ্দীন মোবাইলে বার্তা পাঠিয়ে ক্লাবের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনকে পদচ্যুত করার কথা জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ, কোটাবিরোধের পক্ষে ফেসবুকে পোস্ট করার দায়ে অব্যাহতি দেয়া হয় তাকে।

ভুক্তভোগী মোশাররফ হোসাইন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি বঙ্গবন্ধুর হলের আবাসিক ছাত্র।
ভুক্তভোগী মোশাররফ হোসাইন নয়া দিগন্তকে বলেন, ডিবেটিং ক্লাবের চিফ মডারেটর ও বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিনাত হুদার কোনো নির্দেশ ছাড়াই জোরপূর্বক আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এমনকি পদচ্যুত ব্যাপারে কার্যনির্বাহী কমিটির মিটিংও তিনি ডাকেননি। একতরফা সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পদচ্যুত করা হয়েছে। তবে এখনো পদচ্যুত ব্যাপারে কোনো অফিসিয়াল নোটিশ পাইনি।
বহিষ্কারের বার্তায় আকম জামাল উদ্দীন বলেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার জন্য সমাজবিজ্ঞান ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে মোশারফকে অব্যাহতি দেয়া হলো। এখন থেকে নতুন সাধারণ সম্পাদক সারাফ আফ্রা মৌ।
ঘটনার প্রতিবাদে ডিবেটিং ক্লাবের অন্য সদস্যরা একযোগে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা এ বিষয়ে জানার জন্য আকম জামাল উদ্দীনকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের : জবি সংবাদদাতা জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো রাজপথে আন্দোলন করেছেন জবি শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠালতলা চত্বর থেকে বিকেল ৩টায় এ সমাবেশ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিন দুপুর দুইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। এরপর তারা রায়সাহেব বাজার মোড় ঘুরে তাঁতিবাজার মোড়ে অবস্থান নেন। সেখানে প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেন তারা। এর আগে গত শুক্রবার অনলাইন ও অফলাইনে আন্দোলনের প্রচারণা চালান শিক্ষার্থীরা।
এদিকে তাঁতিবাজার অবস্থান নেয়ার ফলে বাবুবাজার, যাত্রাবাড়ী ও সদরঘাটগামী রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দেয়, যা ছড়িয়ে পড়ে কদমতলী, কাকরাইল, সদরঘাট ও যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত।

আবারো মহাসড়ক অবরোধ রাবি শিক্ষার্থীদের
রাবি প্রতিনিধি জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে দেয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহালের দাবিতে গতকালও মহাসড়ক অবরোধ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন তারা। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি হল ও মেস থেকে এসে সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে অবস্থান নেন তারা। পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে মিছিল নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও তাদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন- ‘মুক্তিযুদ্ধের মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’।
এ সময় একাত্মতা প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বিশ্ববিদ্যালয় ফিশারিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো: শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি চাচ্ছি কোটা আন্দোলন সচল হোক। আমি প্রথম বর্ষ থেকেই বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন থেকে দেখতাম আমার বন্ধুরাও নিচ্ছে। আমারও যে প্রস্তুতি তাদেরও সেই প্রস্তুতি। তবে কোটাধারী হওয়ায় হয়তো আমি যদি পরীক্ষা দেই তাদের আগেই আমার চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু আমি চাই না এমন বৈষম্য হোক। আমি চাই কোটা না থাক। মেধার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হোক। আমি আপনাদের আন্দোলনের পক্ষে আছি। আন্দোলন সফল হোক।
এ দিকে গত রাত থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, সমাজ কর্ম ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, আইন বিভাগসহ বেশ কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আরো অনেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।
ময়মনসিংহে সড়ক অবরোধ : ময়মনসিংহ অফিস জানায়, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে ময়মনসিংহে নগরীতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন কলেজ শিক্ষার্থীরা। সকালে নগরীর টাউনহল মোড়ে আনন্দ মোহন সরকারি কলেজ ও নাসিরাবাদ কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে দুই ঘণ্টা সমাবেশ করে। বক্তব্য রাখেন মঞ্জুরুল হক, জহিরুল হক, মানিক, সবুজ, মনির ও মোজাম্মেলসহ অনেকেই। সমাবেশে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে শিক্ষার্থীরা কোটা পদ্ধতি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

ফেনীতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ
ফেনী অফিস জানায়, চার দফা দাবিতে ফেনীতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ট্রাংক রোডের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ শেষে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের জিরো পয়েন্ট অবস্থান করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থী। এ সময় কিছু সময় যান চলাচলের ব্যাঘাত ঘটে।
সড়কে অবস্থান নেয়ার আগে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ২০১৮-এর পরিপত্র পুনর্বহাল আহ্বান জানিয়ে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিমুল ইসলাম নিশাত বলেন, “আমরা চাই না সরকারি চাকরিতে বৈষম্য হোক। মুক্তিযোদ্ধাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল করতে হবে। আমরা বলব, মেধাবীদের সুযোগ না দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিদের কেন সুযোগ দেয়া হবে। আমরা বলছি না মুক্তিযুদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেয়া হোক। তাদের বরং ভাতা বাড়াতে পারেন। তাদের অন্যদিকগুলোতে সুবিধা বাড়িয়ে সম্মান দিতে পারেন।

ইবি শিক্ষার্থীদের অবরোধ
ইবি সংবাদদাতা জানান, চার দফা দাবিতে আবারো মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা। এ দিকে কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কয়েকটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকদের সর্বাত্মক আন্দোলন শেষ হলেও ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তারা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে বিশ^বিদ্যালয়ের বটতলা থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রাটি প্রধান ফটক হয়ে পাশর্^বর্তী শেখপাড়া বাজার প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে এসে মিলিত হয়। পরে সেখানে মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা বাতিলের দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। অর্ধঘণ্টার এ অবরোধে দুই পাশে সৃষ্ট দীর্ঘ যানজটের ফলে ভোগান্তিতে পড়েন যানবাহনের যাত্রীরা।

পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
পাবনা প্রতিনিধি জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনরায় সংস্কারের দাবিতে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এবার ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। প্রায় এক ঘণ্টা এই অবরোধ চলে। এতে দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসনের অনুরোধে ক্যাম্পাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জড়ো হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ ক্যাম্পাসেই সমাবেশ করেন তারা। পরে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement