১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সমঝোতা স্মারকের ধারা না পড়েই বিএনপি অপপ্রচার করছে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী

-

ভারতের সাথে বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারকের সব ধারা না পড়েই ও না বুঝেই বিএনপি অপপ্রচার ও মিথ্যাচার করছে এবং ধারাগুলো খণ্ডিতভাবে তুলে ধরে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক ভারত সফরে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের বিষয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গতকাল প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। বাংলা ট্রিবিউন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সমঝোতা স্মারক কোনোভাবেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় বরং এটি উভয় দেশের জন্যই লাভজনক। বিএনপি অপপ্রচার করছে যে বাংলার বুক চিরে ভারতের ট্রেন চললে বাংলাদেশের জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি সৃষ্টি হবে। এটি মোটেই সঠিক নয়। সমঝোতা স্মারকের ৩ নম্বর ধারায় পরিষ্কার বলা হয়েছে, ‘রেড ট্রাফিক’ তথা অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং বিস্ফোরকসহ বিপজ্জনক ও আপত্তিকর পণ্য পরিবহন করা যাবে না। সমঝোতা স্মারকের ৪ নম্বর ধারায় এটাও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য ও মানুষের চলাচল সংশ্লিষ্ট দেশের জাতীয় আইন, প্রবিধান এবং প্রশাসনিক বিধানের অধীন হবে। বিএনপি এটা বলে না যে ভারতের মধ্য দিয়েও বাংলাদেশের ট্রেন নেপাল ও ভুটান পর্যন্ত চলবে, নেপাল-ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ট্রেন বাংলাদেশে আসবে এবং কলকাতা বন্দর ব্যবহার না করে মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করবে। তারা এটাও বলে না যে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ গ্রিডের মাধ্যমে তাদের ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করে ভারতের বুক চিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করবে।

বিএনপির রাজনীতি নতজানু উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি প্রথম ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে বিএনপি মিষ্টি বিতরণ করেছিল। বিএনপি সরকারে থাকাকালীন তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে ভারতের সাথে কখনোই একটি কথাও বলেনি। ভারতকে গ্যাস দেয়ার মুচলেকা দিয়ে ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিএনপি।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে এ সময় মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আপনাদের চিন্তাধারা নতজানু, যে কারণে আপনারা আঞ্চলিক যোগাযোগ তথা রিজিওনাল কানেকটিভিটির বিরোধী। এ জন্য যখন সাবমেরিন ক্যাবল ফ্রি দেয়া হয়েছিল তখন তা নেননি এবং বাংলাদেশের জনগণকে হাজার কোটি টাকা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন করেছেন। আপনারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে গ্যাস রফতানি করতে দেননি এবং বাংলাদেশের মানুষকে স্বল্পমূল্যে গ্যাস প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত করেছিলেন। আপনাদের বিবেক নতজানু, যে কারণে আপনারা নিজেরা যা করতে পারেননি, এমনকি কোনো উদ্যোগও নেননি, সেগুলো নিয়ে আওয়ামী লীগের অর্জন থাকা সত্ত্বেও নির্লজ্জের মতো সমালোচনা করেন। আপনাদের সততার মানদণ্ড নতজানু, যে কারণে আপনারা ডাহা মিথ্যা কথা বলে জনগণকে প্রতিনিয়ত ধোঁকা দেন ও বিভ্রান্ত করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement