১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অবিলম্বে জঙ্গি নাটক বন্ধ করুন : হেফাজত

-

সম্প্রতি কওমি মাদরাসার নিরীহ ছাত্রদের নির্বিচারে গ্রেফতার করে জঙ্গি হিসেবে মিডিয়ায় উপস্থাপনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান।
গতকাল এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি, গত বুধবার ঢাকার সাইনবোর্ড থেকে হাতের লেখা প্রশিক্ষণ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে কুমিল্লা থেকে জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার ছাত্র উজায়ের ও হামিমকে এবং লক্ষ্মীপুর থেকে নেয়ামতুল্লাহকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন। নিরীহ এই ছাত্রদের গ্রেফতারের তিন দিন পর তাদেরকে কক্সবাজারে জঙ্গি হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তাদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তাদেরকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
হেফাজত নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল মহল থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে, জঙ্গিবাদের সাথে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের দূরতম সম্পর্কও নেই। একাদশ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘কেউ কেউ বলবেন মাদরাসা হচ্ছে জঙ্গিবাদ সৃষ্টির কারখানা। কিন্তু আমি এটার সাথে একমত নই। হোলি আর্টিজানে জড়িতরা ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করা উচ্চশিক্ষিত পরিবার ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া।’
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল একাধিকবার বলেছেন, ‘মাদরাসার সাথে জঙ্গিবাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মাদরাসার ছাত্ররা জঙ্গি নয়। জঙ্গি হতে পারে না।’ তিনি ২০২৩ সালে হাটহাজারী মাদরাসা পরিদর্শনে গিয়ে বলেছিলেন, কওমি মাদরাসা দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেখানে ইসলাম শিক্ষা দেয়া হয়। এখান থেকে কখনো জঙ্গি উত্থান হয়নি, হতেও পারে না।’ ২০২৪ সালে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যত জঙ্গি ধরেছি, তার মধ্যে একজনও মাদরাসার ছাত্র নন।’

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সরকারের সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল মহল থেকে বার বার এরকম বক্তব্যের পরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু ইসলামবিদ্বেষী কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কওমি মাদরাসার ছাত্রদের টার্গেট করে জঙ্গিবাদের তকমা লাগানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সাদা পোশাকে ধরে নিয়ে কয়েক দিন গুম রাখে। পরে জঙ্গি সংগঠনের সাথে জড়িত বলে কল্পিত অভিযোগ দিয়ে গ্রেফতারের নাটক সাজিয়ে দেশ-বিদেশে মাদরাসা ছাত্রদের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণ করার অপপ্রয়াস চালায়, যা কওমি মাদরাসা ও আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার দু’জনসহ গ্রেফতারকৃত তিন ছাত্রকে কোন অপরাধে জঙ্গি বানানো হলো তা জাতি জানতে চায়?
হেফাজত আমির ও মহাসচিব প্রশাসনের উদ্দেশে বলেন, এসব জঙ্গি নাটক অবিলম্বে বন্ধ করুন। আলেম ওলামা ও ছাত্র-জনতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার ও হয়রানি করে সরকারের সাথে সঙ্ঘাত তৈরির চেষ্টা করবেন না। এসব অন্যায় কর্মতৎপরতা বন্ধ করা না হলে দেশের তৌহিদি জনতা কখনোই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না।


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশী জেলে ভারতে ধরে নিয়ে যাওয়ায় জামায়াতের উদ্বেগ বিস্ফোরণে আফগান শরণার্থীবিষয়ক মন্ত্রী নিহত জাতি ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা অবশ্যই ব্যর্থ হবে : আমিরে জামায়াত অবসরে গেলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল করিম জাতিসঙ্ঘের আরো জোরদার সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার আওয়ামী লীগ একটি পাপিষ্ঠ দলের নাম : মাসুদ সাঈদী বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা : কুলাউড়ায় আ’লীগ নেতা আজাদ গ্রেফতার খুনকে অপমৃত্যু হিসেবে রেকর্ড করলেই ওসি দায়ী : ডিএমপি কমিশনার সিরিয়াকে বশে রাখতে দামেস্কের কাছে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায় ইসরাইল ভারতের সাথে বিদ্যুৎ নিয়ে চুক্তিগুলো বাতিল সহজ নয় : রিজওয়ানা হাসান গৌরনদীতে মাদককারবারির কারাদণ্ড

সকল