১১ মাসে উন্নয়ন অগ্রগতি ৫৭ শতাংশ
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২৭ জুন ২০২৪, ০১:০৮
চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) আর মাত্র এক মাস আছে। কিন্তু উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি গত ১১ মাসে মাত্র অর্ধেক বা ৫৭.৫৪ শতাংশ। আর এই অগ্রগতি গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) এডিপি বাস্তবায়ন বাবদ খরচ হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। অথচ এই অর্থবছর মোট বরাদ্দ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ফলে এক মাসে (চলতি জুনে) খরচের টার্গেট এক লাখ আট হাজার ১৬ কোটি টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে গতকাল এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
আইএমইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৬১ দশমিক ৭৩ এবং তার আগের অর্থবছরে এ হার ছিল ৬৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ। ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়ন হার ছিল ৫৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এই সময়ে খরচ হয়েছে এক লাখ ৪৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। অথচ এই অর্থবছরে মোট বরাদ্দ দুই লাখ ৫৪ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। ফলে এক মাসে খরচের টার্গেট এক লাখ আট হাজার ১৬ কোটি টাকা। শুধু মে মাসে বাস্তবায়ন হার মাত্র ৮.২৮ শতাংশ। এটিও গত অর্থবছরের চেয়ে ৩ শতাংশের বেশি কমেছে। গত অর্থবছর মে মাসে বাস্তবায়ন হার ছিল ১১.৪০ শতাংশ। এমনকি সরকারি খাতের অর্থ ব্যয়ও গত কয়েক বছরের তুলনায় কম। ১১ মাসে জিওবি বাস্তবায়ন হার ৫২.০৮ শতাংশ এবং প্রকল্প অর্থ খরচও কমে ৬৫.৮১ শতাংশ। যা আগের বছরের অনেক বেশি ছিল।
আইএমইডির তথ্যে জানা গেছে, ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়নে এগিয়ে রয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তাদের বাস্তবায়ন হার ৯৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অপরদিকে এডিপি বাস্তবায়নের সব থেকে পিছিয়ে নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক এই সংস্থার ১১ মাসে বাস্তবায়ন মাত্র ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ। অর্থাৎ ৬০০ কোটি ৯১ লাখ টাকা বরাদ্দের মধ্যে ইসি এই সময়ে খরচ করেছে মাত্র ১৮০ কোটি টাকা।
তথ্য থেকে জানা গেছে, সর্বোচ্চ বরাদ্দপাপ্ত ১৫টি মন্ত্রণালয়ের খরচের হার ৬২.০৬ শতাংশ। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ খরচ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ ৭৭.০১ শতাংশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ৭২.৯৮ শতাংশ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় ৭১.০৯ শতাংশ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা