১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

জয়ে শেষটা রাঙাতে চায় বাংলাদেশ

-

এত হই চই করে কী হবে। আট দশটা ম্যাচ খেললে মাঝেমধ্যে দু-একটা জয় আসবেই। ক্রিকেটারদের মতো কর্তারাও এটা জানেন। আর ভক্তরাও সেই জয়ে সব ভুলে মাথায় তুলে নাচাবেন। কিন্তু একবারও ভাববেন না দলের চেহারার কী দশা! একটা সময় ওয়ানডে টিম যে কোনো দলের জন্য হুমকি ছিল। বিশ্ব আসরে বড় স্বপ্ন দেখার মতোও ছিল। কিন্তু বর্তমানে সে দলটি অন্তঃসারশূন্য! টাইগাররা সবশেষ দশ ওয়ানডের প্রায় সব ক’টিতেই ব্যাটিং ভরাডুবি মানে ৫০ ওভার খেলতেই পারেনি। এত সম্ভাবনাময় দল অথচ বিশ্বকাপের মতো আসরে ওপেনার খুঁজতে হচ্ছে! টি-২০ বিশ্বকাপে নবাগত তানজিদ তামিম তাদের বিশ্বকাপ ভাবনা! কোনো মতে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পার হয়েছে ঠিকই সেখানে ব্যাটারদের কোনো ভূমিকা নেই। বোলারদের উপর ভরসা করে কি আর বেশি দূর যাওয়া যায়। সুপার এইটে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার (ডিএল) বিপক্ষে তো দুই বিভাগেই ব্যাকফুটে থেকে হেরেছে বাংলাদেশ। আগামী মঙ্গলবার (২৫ জুন) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বে একটি জয়ের লক্ষ্যে নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে।
অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের কাছে টানা দুই হারে বিশ^কাপের সেমিতে উঠার পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে শান্ত বাহিনীর। তবে গতকাল শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানিস্তানের ঐতিহাসিক জয়ে টাইগারদের সেমিতে খেলার কিঞ্চিত সুযোগ তৈরি হয়েছে। তার পরও অনেক যদি-কিন্তুর উপর নির্ভর করছে টাইগারদের সমিফাইনাল। প্রথমত, ভারতের কাছে বড় ব্যবধানে হারতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হবে বাংলাদেশকে। তা হলেই একটা সুযোগ তৈরি হতে পারে। আর অস্ট্রেলিয়া জিতলে কোনো সমীকরণই কাজে আসবে না।
দলগত পারফরমেন্সে আফগানিস্তান ভালো অবস্থায় থাকলেও পরিসংখ্যান বাংলাদেশের পক্ষে। আইসিসি টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে কখনো জিততে পারেনি আফগানিস্তান। ৫০ ওভার বা টি-২০ বিশ^কাপের কোনোটিতেই নয়। টি-২০ বিশ্বকাপে, ২০১৪ সালে ঘরের মাঠের বিশ^কাপে মাত্র একবারের দেখায় আফগানিস্তানকে মাত্র ৭২ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৯ উইকেটের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। সব মিলিয়ে ১১ বারের দেখায় বাংলাদেশের জয় ৫টিতে ও আফগানদের ৬টিতে। ১০ বছর আগের আফগানিস্তান এবং বর্তমানের দলের পারফরম্যান্সে পার্থক্য অনেক।
সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৪৭ রানে হেরেছিল আফগানিস্তান। দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে অসাধারণ জয়ের স্বাদ নেয় আফগানরা। সেন্ট ভিনসেন্টের যে উইকেটে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছে আফগানরা, সেই ভেনু বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যের। কারণ উইকেটটি বাংলাদেশের মতোই মন্থর গতির। যে কারণে ফেভারিট বাংলাদেশ।
সেন্ট ভিনসেন্টে খেলেই নেদারল্যান্ডস এবং নেপালের বিপক্ষে জয় দিয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সুপার এইটে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ অ্যান্টিগায় খেলতে হয়েছিল টাইগারদের। সেখানে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে বৃষ্টি আইনে ২৮ রানে এবং পরের ম্যাচে ভারতের কাছে ৫০ রানে হেরেছে। সাকিব আল হাসান আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো ক্রিকেট খেলে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চান। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, ভারতের কাছে হারের পর মনে করি না আমাদের সেমিফাইনালে খেলার আর কোনো সুযোগ আছে। তবে এটুকু বলতে পারি, শেষ ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করার ভালো একটি সুযোগ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে। তারা খুবই ভালো দল। তাদের বিপক্ষে জিততে হলে আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ একাদশ নিয়ে চারদিকে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। তাই আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement