১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি স্থাপনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি : মার্কিন মুখপাত্র

-


বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি স্থাপনের প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্র দেয়নি বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। গতকাল ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার এ কথা জানান। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি দাবি করেছেন যে একজন সাদা চামড়ার মানুষ তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন বঙ্গোপসাগরে ঘাঁটি স্থাপন করতে দিলে কোনো ধরনের চাপ ছাড়াই তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, বাংলাদেশকে আরেকটি পূর্ব তিমুর বানানোর ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের একটি অংশ নিয়ে খ্রিষ্টান রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা চলছে।

সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক তার প্রশ্নের ধারাবাহিকতায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, আইনের শাসন ও দুর্নীতি দমনের কথা বলেছিল। এ জন্যই কি শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের দিকে এতগুলো তীর ছুড়ছেন?
জবাবে মিলার বলেন, এসব মন্তব্য কাকে উদ্দেশ করে করা হয়েছে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে মন্তব্যগুলো করা হলে আমি বলব, এগুলো সত্য নয়।

মুখপাত্রকে আবারো প্রশ্ন করা হয়, নোবেলজয়ী ড. ইউনূসকে গত রোববার আদালতকক্ষে লোহার খাঁচায় ঢুকতে হয়েছিল। আদালত থেকে বের হয়ে তিনি বলেছেন, ‘এটি তার অভিশপ্ত জীবনের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছে যাওয়া’। একইভাবে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণে লাখো বাংলাদেশীও তাদের অভিশপ্ত জীবনের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছেছেন। আমরা আগেও দেখেছি, বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান ও পুলিশপ্রধানের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আপনি কি মনে করেন, গত ৭ জানুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে ক্ষমতাসীনদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে এটি যথেষ্ট? নাকি বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আরো কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা আপনারা চিন্তাভাবনা করছেন?

জবাবে মিলার বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার অগ্রগতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা আগেও উদ্বেগ জানিয়েছি যে এসব মামলার মাধ্যমে ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশের শ্রম আইনের অপব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে। আমাদের আশঙ্কা, শ্রম ও দুর্নীতি দমন আইনের সম্ভাব্য অপব্যবহার বাংলাদেশে আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে, যা সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগকে নিরুৎসাহিত করতে পারে। আপিল প্রক্রিয়া চলমান থাকায় আমরা ড. ইউনূসের জন্য সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ আইনিপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে উৎসাহিত করছি। তবে এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য কোনো পদক্ষেপের তথ্য আমার কাছে নেই।

 


আরো সংবাদ



premium cement