বেনজীরকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি বিদেশ যেতেই পারেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ০৪ জুন ২০২৪, ০০:০০
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেনজীরকে (সাবেক আইজিপি) দেশত্যাগে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়নি। আদালতও দেননি, দুদকও (দুর্নীতি দমন কমিশন) দেয়নি। কারো ওপর যখন দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা থাকে না, তখন তিনি বিদেশ বা অন্য যেকোনো জায়গায় যেতেই পারেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, দুদকের তলবে ৬ জুন বেনজীর হাজির হচ্ছেন কি হচ্ছেন না, নাকি তিনি সময় নিচ্ছেন, সেটিই দেখার বিষয়।
গতকাল মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর সাবেক আইজিপি বেনজীরের অবৈধ সম্পদের খোঁজে দুদক অনুসন্ধানে নেমেছে। তার ও পরিবারের সদস্যদের সম্পদ জব্দেরও আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, আদালতের আদেশ আসার আগেই বেনজীর ব্যাংক থেকে তার বেশির ভাগ অর্থ তুলে নিয়েছেন। এরপর সপরিবারে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন।
এদিকে বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী ও তিন মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুদক। গত ২৮ মে পাঠানো নোটিশে বেনজীরকে ৬ জুন এবং তার স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করা কিছু বাংলাদেশীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অতীত রেকর্ডের ওপর জার্মানির আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমত, ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনটার সারমর্ম বোঝা বড় মুশকিল। কারণ কোনো তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়নি। জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশের অবদানকে খাটো করে দেখানোর জন্য এই প্রতিবেদন ইচ্ছাকৃতভাবে প্রচার করা হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। ডয়চে ভেলেতে এই রকম কিছু প্রতিবেদন মাঝে মধ্যে করা হয়। এগুলো আমাদের দেশের স্বার্থবিরোধী। সেখানে সাবস্ট্যানশিয়াল কিছু নাই, অন্তঃসারশূন্য প্রতিবেদন। তিনি বলেন, বাংলাদেশীরা শান্তিরক্ষা বাহিনীতে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে, পেশাগত যোগ্যতার সাথে, সুনামের সাথে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছেন। দায়িত্ব পালনকালে এখন পর্যন্ত ১৬৯ জন বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী প্রাণ দিয়েছেন। জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
বেঁধে দেয়ার ডেডলাইনের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে ব্যর্থ হওয়া বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য সময় বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে আমার সাথে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কথা হয়েছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য গত ৩১ মে যে ডেডলাইন ছিল, সেটা যেন বর্ধিত করা হয়, সেজন্য আলোচনা চলছে। নির্ধারিত সময়ে কর্মী পাঠাতে না পারার ক্ষেত্রে কাদের গাফিলতি ছিল, সেটিও তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা