দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে আজ আদালতে যাবেন ড. ইউনূস
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ জুন ২০২৪, ০০:০০
শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় হাজিরা দিতে আজ রোববার আদালতে যাবেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রোববার সকাল ১০টায় দুদকের মামলায় হাজিরা দিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনের আদালতে যাবেন বলে তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন।
শনিবার ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ প্রতিবেদককে জানান, রোববার ড. ইউনূসসহ অন্য অসামিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য রয়েছে। অভিযোগ গঠনের শুনানি থাকায় এ দিন ড. ইউনূস আদালতে হাজিরা দেবেন। তিনি আরো বলেন, রোববার আমরা ড. ইউনূসের পক্ষে মামলা বাতিলের আবেদন করব।
এর আগে গত ২ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনকে জামিন দেন আদালত। একই সাথে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২ জুন দিন ধার্য করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেন উভয় পক্ষের শুনানি গ্রহণ করে এ তারিখ ধার্য করেন।
এ দিন আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন জামিনের আবেদন করেন এবং এ মামলা থেকে ড. ইউনূসের অব্যাহতি আবেদন করার জন্য এবং মামলার প্রস্তুতির জন্য সময় চান। এ ছাড়া অন্যান্য আসামির পক্ষেও জামিন ও সময়ের আবেদন করা হয়।
অপর দিকে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এ মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য রয়েছে। আমরা শুনানির জন্য প্রস্তুত। আমাদের শুনানির সুযোগ দেবেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের জামিন মঞ্জুর করেন এবং এ মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২ জুন দিন ধার্য করেন।
ওই দিন আদালত থেকে বের হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে বলছি, আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। আনা হয়েছে অর্থ পাচারের অভিযোগ। আপনারা আমাকে বহুদিন থেকে চিনছেন। এই অপরাধগুলো আমার গায়ে লাগানোর মতো অপরাধ কি না, সেটা আপনারা বিবেচনা করবেন।
গত ২ এপ্রিল ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। একই সাথে ২ মে এ মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়। ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন। একই সাথে মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৪-এ বদলির আদেশ দেন।
গত ৩ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ড. ইউনূসসহ সাতজনের জামিন মঞ্জুর করেন। একই সাথে এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এই মামলায় গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আছাদুজ্জামানের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্য দিকে গত ২৯ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দেয়া হয়।
চার্জশিটভুক্ত ১৪ আসামি হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো: শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো: কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের দফতর সম্পাদক কামরুল হাসান ও প্রতিনিধি মো: মাইনুল ইসলাম।
দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদি হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা