১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
প্রাক মৌসুম জরিপের তথ্য

বহুতল ভবনে সবচেয়ে বেশি এডিস মশা

-

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ড ডেঙ্গুর উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গুর প্রাক মৌসুম জরিপ শেষে গতকাল মঙ্গলবার নতুন এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ঝুকিঁপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোর মধ্যে বহুতল ভবনেই মশার সর্বোচ্চ ঘনত্ব। এমতাবস্থায় জনসাধারণের সচেতনতা ছাড়া এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
চলতি বছরের মে মাস (গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত) পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় পৌনে ২ হাজার ৭৯৫ জন। আর প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ জন। যেখানে গত বছরের ২৭ মে পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছিল এক হাজার ৭১১ জন এবং মৃত্যু হয় ১৩ জনের। এই পরিসংখ্যানই বলছে এবারের ডেঙ্গু কতটা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
এডিসের প্রাক মৌসুম জরিপে স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, ঢাকার দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৪৯টি বাসায় জরিপ চালানো হয়। জরিপে ১৫ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা ও পিউপার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মিরপুর , বনানী, নিকেতন, হাতিরঝিল, মোহাম্মদপুর, খিলখেত, মালিবাগসহ গতবারের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলোই সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। জরিপ রিপোর্টে বলা হয়, বরাবরের মতো এবারো এডিসের সর্বোচ্চ ঘনত্ব ৪২.৩৩ শতাংশ পাওয়া গেছে বহুতল ভবনে। এরপরই স্বতন্ত্র বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভার হার ২১.৬ শতাংশ। এ ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণের ১৬.৩৯ শতাংশ এবং ঢাকা দক্ষিণের ১৪.৩০ শতাংশ পরিত্যক্ত পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যেই হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঢাকায় চিকিৎসা নিতে এসে প্রাণহানী বাড়ায় এবার স্ব স্ব জেলায় চিকিৎসা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি প্রাণহানি এড়াতে বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকদের সমন্বিত চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, শুধু চিকিৎসা নিশ্চিত করে প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে নাগরিকের জনসচেতনতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। একই সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে একসাথে কাজ করা আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত মৌসুম পূর্ব জরিপে উভয় সিটি করপোরেশনে এডিসের লার্ভার উপস্থিতি প্রতি বছর বেড়েছে। তাই লক্ষণ প্রকাশ পেলেই সময় নষ্ট না করে হাসপাতালে আসার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের। তারা বলছেন, আমরা একটু সচেতন হলেই ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে পারি এবং বাসা অথবা বাড়ি প্রতিদিন পরিষ্কার রাখতে পারি। প্রতিবেশীরা মিলে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রেখে ডেঙ্গু মুক্ত থাকতে পারি।


আরো সংবাদ



premium cement