বিদেশী ঋণ পরিশোধে সুদ খাতেই ৪০.৮৩ শতাংশ
মাস গেলেই ঋণ পরিশোধের চাপ বাড়ছে- হামিদ সরকার
- ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ২৮ মে ২০২৪, ১০:২২
সরকার বিদেশী বিভিন্ন দেশ, সংস্থা থেকে ঋণ করছে দেশের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে। বিদেশ থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধে সুদ খাতেই ব্যয় হচ্ছে ৪০.৮৩ শতাংশ। বাকিটা আসল। গত ১০ মাসে সুদসহ দায় পরিশোধ করতে হয়েছে ২৮১ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এখানে সুদ ছিল ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর বিদেশী ঋণদাতারা বা উন্নয়ন সহযোগীরা বাংলাদেশকে যে পরিমাণ প্রতিশ্রুতি দেয় তার পুরোটা ছাড় করছে না। ফলে একটা অংশ আটকে থাকছে। চলতি অর্থবছরের গত ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেয়া প্রতিশ্রুতির ১৭.৩৫ শতাংশ অর্থ ছাড় করেনি। যা ১৩১ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। অন্য দিকে, বাংলাদেশ বিদেশী ঋণ পরিশোধে এখন বেশ চাপে রয়েছে। আগের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি পরিমাণ সুদ পরিশোধে ব্যয় হচ্ছে বলে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সর্বশেষ তথ্য থেকে জানা গেছে।
ইআরডির হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি পেয়েছিল ৭৬০ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। বিপরীতে বৈদেশিক পেয়েছে ৫৫৬ কোটি ৮১ লাখ ২০ হাজার ডলার। এখানে ঋণ ৫২৮ কোটি ৭৮ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং অনুদান ২৮ কোটি ৩ লাখ ১০ হাজার ডলার। প্রতিশ্রুতির মধ্যে ঋণের পরিমাণ ৭১০ কোটি ৫ হাজার ৫০ হাজার ডলার এবং অনুদান ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এখানে সবচেয়ে বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ২৬৯ কোটি ১২ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
আর তারা ছাড় করে ১৪৯ কোটি ৯৩ লাখ ১০ হাজার ডলার। জাপান কিছুটা কম প্রতিশ্রুতি ২০৩ কোটি ৫৯ লাখ ৬০ হাজার ডলার দিলেও ছাড় করেছে সবচেয়ে বেশি। তারা ছাড় করেছে ১৬৬ কোটি ৪৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ ছাড়া বিশ^ব্যাংকের আইডিএ ১৪১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বিপরীতে ছাড় করেছে ১০৫ কোটি ১৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। অন্যদের থেকে ১৪৫ কোটি ৮১ লাখ ৯০ হাজার ডলার প্রতিশ্রুতির বিপরীতে এসেছে ৫৩ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার। তবে প্রতিশ্রুতি না দিয়েও অর্থ ছাড় করেছে এআইআইবি সাত কোটি ৮৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার, ভারত ২৪ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার ডলার, চীন ৩৬ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং রাশিয়া ৮০ কোটি ৭৫ লাখ মার্কিন ডলার। তাদের এই ছাড় পাইপলাইনে থাকা প্রতিশ্রুতির অংশ।
পরিশোধ পরিস্থিতি : ইআরডি তথ্য বলছে, সরকারের পরিশোধ করা অর্থের মধ্যে সুদ হিসেবে দশ মাসে ১১৪ কোটি ৮০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আসল ১৬৬ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। অথচ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৯৫ কোটি ৯৪ লাখ ডলার। ঋণ পরিশোধের ব্যয় এতটা বৃদ্ধির পেছনে সুদ পরিশোধই মূলত ভূমিকা রাখছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে ৫৬ কোটি ৯৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয়। যার তুলনায় এটি দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার কাছ থেকে ৯৯২ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা