ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে ১৯ উপজেলায় ভোট স্থগিত
বিশেষ সংবাদদাতা- ২৮ মে ২০২৪, ০০:০০
ঘূর্ণিঝড়ের রেমালের প্রভাব ও আঘাতে দেশের কোথাও পানি ঢুকেছে, কোথাও বিদ্যুৎ নেই, অনেক জায়গা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তাই ২৯ মে ঘোষিত নির্বাচনে ১৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো: জাহাংগীর আলম। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, মাঠপর্যায় থেকে জেলা প্রশাসকদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ভোটের আগে আরো কোনো উপজেলার তথ্য আসলে সেগুলোও বন্ধ করা হতে পারে।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে গতকাল গণমাধ্যমের সাথে ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, তৃতীয় ধাপে ১০৯টি উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল বুধবার। যে ১৯ উপজেলা ভোট স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো হলো-বাগেরহাট জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মোংলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, পটুয়াখালী জেলার সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকী, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ভোলার লালমোহন, তজুমদ্দিন, ঝালকাঠির রাজাপুর, কাঠালিয়া, বরগুনার বামনা, পাথরঘাটা ও রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি।
ইসি সচিব বলেন, মূলত আগামী ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের সাধারণ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ১০৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করতে মাঠপ্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে আঘাত হেনেছে। যার ফলে কোথাও ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত এবং ৯ নম্বর বিপদ সঙ্কেত ঘোষিত হয়।
তিনি বলেন, মোট ১৯ উপজেলার ভোট আপাতত স্থগিত হয়েছে। এই ১৯টি উপজেলার ভোট স্থগিতের ফলে আগামী ২৯ মে ৯০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ ১৯ উপজেলায় এখনো পানি জমে আছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসন এসব এলাকার ভোট পিছিয়ে দিতে অনুরোধ করেছে।
ভোট স্থগিত সংখ্যা আরো বাড়তে পারে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতি ও সংশ্লিষ্ট উপজেলার বাস্তব চিত্র পেলে তারপর বলা যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা