ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাফন সম্পন্ন
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৪ মে ২০২৪, ০১:০১
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসিকে মাশহাদে শিয়াদের ইমাম রেজার মাজার কমপ্লেক্সে দাফন করা হয়েছে। গতকাল মাশহাদে দেশটির জনগণ প্রেসিডেন্টকে শেষবিদায় জানান। প্রেস টিভি ও রেডিও তেহরান।
গোটা মাশহাদ শহরই জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল। সেখানে কান্নার রোল পড়ে যায়। লাখ লাখ জনতার সবার হাতে হাতে ছিল প্রেসিডেন্ট রাইসির ছবি ও বিভিন্ন বক্তব্য লেখা প্ল্যাকার্ড। এর আগে বিরজান্দ শহরের লোকজনও প্রেসিডেন্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ ছাড়া ইরানের পররাষ্ট্রন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানকে গতকাল তেহরানের অদূরে রেই শহরের আব্দুল আজিমের মাজার এলাকায় দাফন করা হয়েছে। রেই শহরে তার শেষবিদায় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
গত রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ওই সময় তার সাথে একই হেলিকপ্টারে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাব্দুল্লাহিয়ান ছাড়াও আরো আটজন। যাদের সবাই এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান।
৬৩ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্টের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইরানের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদে। বৃহস্পতিবার এই শহরের শিয়াদের মূল সমাধি ইমাম রেজার পবিত্র মাজারে তাকে দাফন করা হয়। বুধবার ইরানের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে মাশহাদের কর্মকর্তাদের দাফনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে।
ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের রাস্তায় বিশেষ করে ইমাম রেজার মাজারের চারপাশজুড়ে রাইসির বড় বড় ছবি, কালো পতাকা এবং শিয়াদের নানা প্রতীক টানানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে নিহত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে হাজারো শোকার্ত মানুষ শামিল হন। পরে তাবরিজ থেকে রাইসি ও তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের লাশ ইরানের মধ্যাঞ্চলের ঐতিহাসিক কোম শহরে নেয়া হয়। সেখানেও তাদের জানাজা হয়। এরপর রাইসি ও আব্দুল্লাহিয়ানের লাশ তেহরানে নেয়া হয়। বুধবার রাজধানী তেহরানে রাইসির জানাজায় শোকার্ত হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় গত রোববার দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের একটি বহর নিয়ে রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা তাবরিজে ফিরছিলেন। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। কিন্তু অন্য দু’টি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। দুর্ঘটনার পর পরই ব্যাপক উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। এই কাজে ৭৩টি উদ্ধারকারী দল অংশ নেয়। কিন্তু ঘন কুয়াশা ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ মারাত্মকভাবে বিঘিœত হয়।
শেষ পর্যন্ত ইরানের রেড ক্রিসেন্ট বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির সন্ধান পায়। দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর গত সোমবার সকালে ইরানের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকা থেকে ওই হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা