১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ভারতীয় পত্রিকায় রিজার্ভ চুরির খবর

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে সংবাদটি পুরোপুরি ভুয়া
-

আবারো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরি হয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতের একটি পত্রিকা। এবার ভারতীয় হ্যাকাররা ডিজিটাল উপায়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে বলে উল্লেখ করা হয়। গত এক সপ্তাহ আগে রিজার্ভ চুরির এ ঘটনা ঘটেছে বলে ভারতের ‘নর্থইস্ট নিউজ’ নামের এক পোর্টালে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমে বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ ভুয়া একটি খবর।
এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নতুন রিজার্ভ চুরি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ভারতীয় একটি পত্রিকা। এটি একটি সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। আমাদের এখন ফেডের সাথে তিন স্তরের নিশ্চিতকরণ নীতি রয়েছে এবং লেনদেনের নিয়মিত সমন্বয় রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ‘চলতি মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোটি কোটি ডলার চুরির পেছনে কী ভারতীয় হ্যাকাররা জড়িত?’ শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ‘নর্থইস্ট নিউজ’। এ নিউজেই এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করা হয়। অর্থ সূচক নামে এক বাংলাদেশী মিডিয়া ‘নর্থইস্ট নিউজ’-এর খবরটি প্রকাশ করে বলেছে তারা এটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।

নর্থইস্ট নিউজের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, অজ্ঞাত পরিচয় সন্দেহভাজন ভারতীয় হ্যাকাররা ডিজিটাল উপায়ে প্রায় এক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কয়েক বিলিয়ন ডলার চুরি করেছে। দুই দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ‘চাঞ্চল্যকর’ চুরির বিষয়ে অবগত এবং তারা নীরবে এ ঘটনার তদন্ত করছে।
এতে আরো বলা হয়, এমন একটি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে যখন বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে রয়েছে। কিছু কর্মকর্তা সন্দেহ করছেন, রিজার্ভ এর সংখ্যাটি ‘একক’ হতে পারে। এটি আমদানি বিল নিষ্পত্তিতে ‘চরম অসুবিধা’ সৃষ্টি করতে পারে।
এতে উল্লেখ করা হয় যে, বাংলাদেশ ব্যাংকে গত ১৩ মে নেট রিজার্ভ ছিল ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। দুই সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল সদর দফতরে বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বলেও এই নিউজে উল্লেখ করা হয়েছে।
নর্থইস্ট নিউজের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, আট বছরে এই দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে হ্যাকাররা ঢুকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করেছে। এর আগে ২০১৬ সালে ফিলিপাইনের হ্যাকাররা ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরি করেছিল।
সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান এবং সরকারি কর্মকর্তারা সফলভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা বেশ কিছু দিন গোপন রেখেছিলেন।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে ৭ মে বলেছিলেন যে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকে কিছু ভুল হচ্ছে’। তিনি অবশ্য আসলে কী ভুল তা জানাননি।
প্রতিবেদনে বলা হয় যে, এ খবরটি এমন একসময়ে এসেছে যখন বাংলাদেশের অর্থনীতির অবনতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য কর্মকর্তা কিছু করার কোনো অবস্থানে নেই।
প্রতিবেদন অনুসারে, আট বছরে এই দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমে হ্যাকাররা ঢুকে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement