রাখাইনে গোলার বিকট শব্দ, আতঙ্ক বাড়ছে টেকনাফে
- উখিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা
- ১৫ মে ২০২৪, ০২:১০
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি ও সরকারি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষে মর্টার শেল ও ভারী গোলার বিকট শব্দ শুনতে পাচ্ছেন কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের মানুষ। এতে আতঙ্ক বাড়ছে সীমান্তে বসবাসকারীদের মাঝে। তিন দিন বন্ধ থাকার পর আবারো গোলার শব্দ ভেসে আসছে ওপার থেকে। গত সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে থেমে থেমে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তে মিয়ানমারের ওপার থেকে মর্টার শেলের শব্দ শোনা যায়।
সীমান্তের কাছাকাছি টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, এর আগে তিন দিন রাখাইন রাজ্য থেকে গোলার শব্দ পাওয়া যায়নি। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে ও মঙ্গলবার ভোর রাতে ওপার থেকে ফের গোলার বিকট শব্দ ভেসে আসছে। এতে বিশেষ করে নারী-শিশুদের নিয়ে ভয়ে রয়েছে সীমান্তের মানুষ। আবারো গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ জালিয়াপাড়ার কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, সীমান্তে বসবাসকারীদের মাধ্যমে ওপারে গোলার বিকট শব্দ বিষয়ে অবহিত হয়েছি। সীমান্তে ভারী গোলার বিকট শব্দ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের বিকট আওয়াজ মানুষের মাঝে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে। সীমান্তের লোকজন জানায়, টেকনাফ উপজেলার দমদমিয়া থেকে শাহপরীর দ্বীপ এলাকাগুলোতে সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং মঙ্গলবার ভোর রাতে গোলার বিকট শব্দ এপারে পাওয়া গেছে। এতে সীমান্তবর্তী মানুষের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সীমান্তের সাবরাংয়ের বাসিন্দা আব্দুল গফুর বলেন, মঙ্গলবার ভোর রাতে নাফ নদের ওপারে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে।
এ দিকে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির সাথে দেশটির সেনাবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীরদ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ও বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা দিন-রাত নদী ও সীমান্ত সড়কে টহল বৃদ্ধি করেছে। এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-২) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাখাইনের সঙ্ঘাত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর অবস্থানে রয়েছি। পাশাপাশি ওপারের সঙ্ঘাতকে কেন্দ্র করে নতুন করে রোহিঙ্গা যেন অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি শক্ত অবস্থানে রয়েছে। টেকনাফের ইউএনও মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকানোর পাশাপাশি যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সংস্থাগুলো প্রস্তুত রয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা