মুখস্থ শিক্ষায় নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
- বাসস
- ১৩ মে ২০২৪, ০১:০২
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার শিক্ষার্থীদের মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশে বিশেষ করে মুখস্থ শিক্ষার ওপর নির্ভরতা কমাতে পাঠ্যক্রম এবং শিক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনছে। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শুধু মুখস্থ বিদ্যা শিখবে না। একটা শিশুর ভেতর যে মেধা ও মনন থাকে তাকে বিকশিত হওয়ার সুযোগ দেয়া। তার ওই মেধা দিয়েই যেন সে এগিয়ে যায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম এবং শিক্ষা দেয়ার পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল সকালে গণভবনে ডিজিটালভাবে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪-এর ফলাফল প্রকাশকালে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্মিলিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। এরপর ৯টি সাধারণ, একটি মাদরাসা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কারিগরি বোর্ডের মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
প্রি-প্রাইমারি শিক্ষাও আওয়ামী লীগ সরকারই শুরু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সময় শিশুদের হাতে খেলনার মাধ্যমেই অনেক কিছু তৈরি করা বা অনেক কিছু শেখার সুযোগ রয়েছে। তাদের জন্য ওই সুযোগ তৈরি করে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তাদের কেবল বই দিয়ে বসিয়ে না রেখে খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া যেমন ফ্লোরে যদি একটি মানচিত্র থাকে যেখানে মহাদেশ ও মহাসগর থাকল, সেখানে শিশুদের শেখানো যে একটা জায়গা থেকে আর একটা জায়গায় তোমরা লাফ দিয়ে যাও। তাহলে খেলতে খেলতেই সে ওই নামগুলোও জেনে যাবে। কাজেই খেলার মাধ্যমে তাদের শিক্ষা যেন প্রাথমিক পর্যায়ে আসে সেটা করে দেয়া যায়। তা করলে আমার মনে হয় তাদের কতগুলো মহাদেশ আর মহাসাগর তা মুখস্থ করতে হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেখবে, খেলবে, বিভিন্ন রঙ দেয়া হবে এক একটায়, সেভাবেই তারা শিখে যাবে। এ ধরনের অনেক কিছু আমাদের করতে হবে বলে আমি মনে করি”।
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে পাঁচ হাজার ৯৭টি প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্ত করা হয়েছে এবং ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১’ ও আমরা প্রণয়ন করেছি। সেই সাথে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। শিক্ষকদের মর্যাদা ও বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা আমরা সরকারে আসার পর দিয়েছি।
‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড এবং শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছাড়া উন্নতি সম্ভব নয় সে জন্য তার সরকার শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবই বলে গেছেন শিক্ষায় যে অর্থ ব্যয় হয় সেটা বিনিয়োগ। আমরা বিনিয়োগ করি।
এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ায় আনন্দ অনুভূতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, আমি মনে করি শিক্ষাক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা এবং ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেই সাথে অভিভাবকদেরও একটা আগ্রহ থাকবে যে তাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে সবসময় প্রচেষ্টা ছিল মানুষের মধ্যে এই সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহিত করা যেন তারা লেখাপড়ার দিকে মনযোগ দেয়। ফলে আমরা দেখতে পাচ্ছি সাক্ষরতার হার যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি পাঠ্যক্রমে অংশ নেয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, শুধু সাধারণ বিএ-এমএ পাস করবে তা নয়, সাথে সাথে কারিগরি শিক্ষা, বিজ্ঞান প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তিসহ সার্বিকভাবে শিক্ষিত হওয়ায় জন্য যা যা দরকার সে ব্যবস্থা নিতে হবে। অর্থাৎ বিশ্ব পরিমণ্ডলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার মতো শিক্ষাব্যবস্থাই আমরা প্রবর্তন করতে চাই।
স্বাধীনতার পরপরই বিজ্ঞানী ড. কুদরত-ই-খুদার নেতৃত্বে জাতির পিতার শিক্ষা কমিশন গঠন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের উপযোগী একটি শিক্ষা নীতিমালা প্রণয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সে নীতিমালা আর আলোর মুখ দেখেনি। ’৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরপরই অতীতের সেই শিক্ষানীতির আলোকে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছিল। কিন্তু ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে না পারায় তা আবার তিমিরেই হারিয়ে যায় এবং এরপর আর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার সরকারে আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার আবারো উদ্যোগ নিয়ে সে নীতিমালা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে এটা সংশোধন ও পরিমার্জন করারও সুযোগ রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের জন্য সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অতীতে এমনও দেখা গেছে যে মাসের পর মাস ফল প্রকাশ হয়নি। কিন্তু আমরা এটাকে একটি নিয়মের মধ্যে নিয়ে এসেছি। এমনকি কোভিড-১৯ এর নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও সময়মতো ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’৯৬ সালে সরকারে এসে তিনি সাক্ষরতার হার পেয়েছিলেন মাত্র ৪৫ ভাগ। তার সরকার সে সময় নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জেলাভিত্তিক সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি এবং বয়স্ক শিক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশে সাক্ষরতার হার উন্নীত করতে সক্ষম হয়। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে এই প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়। ফলে ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার পর তিনি দেখেন যে সাক্ষরতার হার কমে আবার ৪৪ শতাংশে নেমে এসেছে। আবার উদ্যোগ নেয়ায় আজ সাক্ষরতার হার বেড়ে ৭৬ শতাংশে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা ১৫ বছরে আমাদের বিরাট অর্জন, সেই সাথে শিক্ষার্থীর বিশেষ করে ছাত্রী সংখ্যাও বেড়েছে। এক সময় যেখানে ৫৪ শতাংশ ছাত্রীরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেত আজ তাদের প্রথমিক বিদ্যালয় গমনের হার ৯৮ শতাংশ’।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পর্যালোচনাতেও দেখেছেন অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডেই ছাত্রীদের অংশগ্রহণের হার বেশি। এটা খুশির খবর। কারণ আমরা নারী শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আর জাতির পিতাও স্বাধীরতার পর নারী শিক্ষা প্রাথমিক পর্যন্ত অবৈতনিক করে যান। সেটাকে এখন এসএসসি পর্যন্ত আমরা করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ছাত্র সংখ্যা কম কেন তার কারণ খুঁজে বের করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, এখন থেকে উদ্যোগ নিতে হবে যে কী কারণে আমাদের ছাত্র কমে যাচ্ছে। পাসের হারের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরাই অগ্রগামী। সেটা খুব ভালো কথা, তার পরও অমি বলব এ ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টি দিতে হবে। তিনি বিবিএসকেও তাদের গণনার সময় এ বিষয়টি দেখতে পারে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি সাম্প্রতিক প্রবণতা ‘কিশোর গ্যাং’ এর উল্লেখ করে বলেন, কেন ছেলেমেয়েরা এ পথে যাবে? এটা তো আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। যখন তাদের পড়াশোনা করা দরকার বা বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষার লাইনে যেতে পারে সে ক্ষেত্রে এই লাইনে কেন গেল সেটা আমাদের বের করা দরকার। এদেরকে এখান থেকে বিরত করা ও একটা সুস্থ পরিবেশে নিয়ে আসতে যা করা দরকার তা আমাদের করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় কৃতকার্যদের পাশাপাশি তাদের বাবা-মা, অভিভাবক, শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও অভিনন্দন জানান। আর যারা কৃতকার্য হতে পারেনি তাদের মন খারাপ না করতে বলেন।
ছেলেমেয়ে ফেল করেছে বলেই তাদের গাল-মন্দ না করার এবং তাদের সান্ত্বনা দিয়ে পড়াশোনায় মননিবেশ করানোর উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও তিনি অভিভাবকদের পরামর্শ দেন।
সারক্ষণ ‘পড়’ ‘পড়’ বলে চাপ না দিয়ে পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গ দেয়ার জন্যও তিনি তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এখনকার ছেলেমেয়ে ডিজিটাল যুগের। এমনিতেই তাদের মেধা অনেক বেশি। তাদের সেই মেধা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। আমরা যতই সুযোগ সৃষ্টি করব ততই তাদের মেধা আরো বিকশিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে এবং এখন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। তা ছাড়া শিল্প বিপ্লব প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই প্রতি উপজেলায় একটা করে আন্তর্জাতিকমানের সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ নির্মাণে তার সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতি বিভাগে একটি করে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন ভাষায় অ্যাপস তৈরি তথা ইন্টারনেটকে সহজ লভ্য করায় আজকে ফ্রি ল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অনেকে ঘরে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ পাচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আজকের ছেলেমেয়েরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটিজেন হবে এবং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল করবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিক হিসেবে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের কল্যাণ এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করবে।
এসএসসি ও সমমানের ফলাফল-২০২৪ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৪-এর ফলাফল প্রকাশ করেছেন। তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবনে একটি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি একটি বোতাম টিপে ফলাফল প্রকাশ করেন। এর আগে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্মিলিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
৯টি সাধারণ, একটি মাদরাসা বোর্ডসহ ১০টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং কারিগরি বোর্ডের মহাপরিচালক প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ইতালির ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু স্থানীয় বাজারেই নয়, অধিকন্তু সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রবেশের জন্য গতকাল ইতালির ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
ইতালির রাষ্ট্রদূত অ্যান্তোনিও আলেসান্দ্রো গতকাল গণভবনে তার সাথে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারেন।’ বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো: নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশ বাংলাদেশকে প্রযুক্তি হস্তান্তর ও প্রতিরক্ষা ক্রয় এবং বিভিন্ন খাতে আধুনিকায়নে সহায়তা করতে চায়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ এআইকে স্বাগত জানায় তবে অপব্যবহার রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বলেছেন, বাংলাদেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে (এআই) স্বাগত জানায়, তবে এর অপব্যবহার রোধে কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এআইকে স্বাগত জানাই, তবে এর অপব্যবহার রোধ করার জন্য আইন প্রণয়নের মাধ্যমে আমাদের কিছু সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
গণভবনে গতকাল তার সাথে বাংলাদেশে অ্যাপোস্টোলিক নুনসিও অফ দ্য হোলি সি’র আর্চবিশপ কেভিন এস র্যান্ডালের সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো: নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা