গণপূর্তের অফিসে ঢুকে প্রকৌশলীকে হত্যার হুমকি

বিভিন্ন সরকারি ঠিকাদারি কাজ অনৈতিক ও অবৈধভাবে না পেয়ে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর অফিসে ঢুকে নির্বাহী প্রকৌশলীকে ভয়ভীতি, ত্রাস সৃষ্টি ও হত্যার হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ মে) সকালে তাদের পাবনা শহরের পৃথক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত বুধবার (৮ মে) দুপুরে পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর রুমে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন পৌর এলাকার চক গোবিন্দার চাঁদমারি এলাকার জামাল উদ্দিন তোতনের ছেলে ঠিকাদার রোকনুজ্জামান তুষার ও কালাচাঁদপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মো: আকাশ। বাকি পলাতক আসামিরা হলেনÑ পাবনা পৌর এলাকার চকছাতিয়ানির মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রাজিবুল হাসান রাজিব এবং কৃষ্ণপুরের মৃত মোহন বিশ্বাসের ছেলে রনা বিশ্বাসসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের রুমে মিটিং করতে ছিলেন পাবনা গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা। বেলা ১টার দিকে হঠাৎ করে রাজিব ও তুষারের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জন সেই রুমে ঢুকে গণপূর্তের বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে এবং অনৈতিকভাবে বিভিন্ন ঠিকাদারি কাজ দাবি করেন। দাবি না মানায় তাকে গালিগালাজ ও মারধরের চেষ্টা করেন। এ সময় অন্য প্রকৌশলীরা বাধা দিলে তাদের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যান। এ ঘটনা শুক্রবার (১০ মে) রাতে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বাদি হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ওই রাতেই মামলার পরপরই তাদের অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে প্রকৌশলী বাদি আনোয়ারুল আজিম বলেন, ‘তারা ঠিকাদার (রাজি-তুষার) ঠিকাদারি কাজ করেন। সেদিন যা ঘটেছিল তা থানায় দেয়া এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বাইরে কিছু নেই।’
এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, অভিযোগের পর মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে রোকনুজ্জামান তুষার ও মো: আকাশকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান অব্যাহত রয়েছে, বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।