রাফায় হামলা করে হামাসকে হারাতে পারবে না ইসরাইল : যুক্তরাষ্ট্র
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১১ মে ২০২৪, ০২:১৭
- রাফাহ ছেড়ে গেছে ১ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি
- ইসরাইলকে অস্ত্র না দেয়ার আহ্বান অ্যামনেস্টির
- চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফাহে বড় ধরনের অভিযান চালিয়েও ইসরাইল হামাসকে নির্মূল করতে পারবে না বলে বিশ্বাস করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিসরের রাজধানী কায়রোতে চলমান আলোচনা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের আহ্বান ও পরামর্শ উপেক্ষা করে ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে হামলা শুরু করায় সেখান থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। রয়টার্স, আলজাজিরা, বিবিসি ও এএফপি।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের যোগাযোগবিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি বলেন, ‘আমরা মনে করছি, রাফায় যেকোনো বড় ধরনের অভিযান প্রকৃতপক্ষে সমঝোতা আলোচনার টেবিলে হামাসের হাতকে শক্তিশালী করবে, ইসরাইলের হাতকে নয়।’ জন কিরবি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, গাজার রাফায় সর্বাত্মক অভিযান চালালে তা হামাসের জন্য কৌশলগত বিজয় এনে দিতে পারে।
জন কিরবি বলেন, ‘ইসরাইল জোরালোভাবেই হামাসকে চাপে ফেলতে সক্ষম হয়েছে এবং সেটাই যথেষ্ট ছিল। নতুন করে রাফাহে আগ্রাসন কেবল বেসামরিকদের ঝুঁকিই বাড়াবে; এর বেশি কিছু না।’ তিনি আরো বলেন, ‘রাফাহ আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে সাহায্য করছে না। তবে তার মানে এই না যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের পাশে নেই বা হামাসের নির্মূল চায় না। আমরা এখনো ইসরাইলকে নিয়ে আশাবাদী। আমরা কেবল রাফাহ আগ্রাসনের বিকল্প নিয়ে আলোচনা করছি।’
এ দিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিসরের রাজধানী কায়রোতে চলমান আলোচনা কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। আপাতত গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে আশার আলো দেখা দিয়েছিল তাও নিভে গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরাইলের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার জানান, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কায়রোতে পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে এবং ইসরাইল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাহ ও গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।
গাজার রাফায় সেনা অভিযান চালালে ইসরাইলকে অস্ত্র দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এমন ঘোষণা দেয়ার পর আরো বেঁকে বসেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এবার নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ইসরাইল একাই লড়বে। এই ইসরাইলি কট্টরপন্থী নেতা বলেছেন, ‘যদি আমাদের দরকার পড়ে... আমরা একাই লড়ব। আমি বলছি যদি প্রয়োজন হয় আমরা আমাদের হাতের আঙুলের (অস্ত্রের বদলে) নখ দিয়েই লড়াই করব।’
বল এখন ইসরাইলের হাতে : ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বলেছে, তারা গাজায় বহু আকাক্সিক্ষত যুদ্ধবিরতির জন্য নিজেদের তরফে যা যা করা প্রয়োজন, তার করেছে। সংগঠনটি বলেছে, এখন শুধু ইসরাইল চাইলেই সেখানে যুদ্ধবিরতি সম্ভব। শুক্রবার ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ক্ষমতাসীন ফাতাহ ও অন্য অংশীদারদের উদ্দেশে দেয়া এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে হামাস।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে গাজায় যুদ্ধবিরতিসংক্রান্ত সংলাপ শেষে শুক্রবার কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে রওনা হন হামাসের প্রতিনিধিরা। বার্তায় এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রতিনিধিরা দোহার উদ্দেশে কায়রো ত্যাগ করেছেন। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে (গাজায় যুদ্ধবিরতির) যে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল, দখলদার শক্তি (ইসরাইল) তা বাতিল করেছে এবং প্রস্তাবের বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় পয়েন্ট নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। আমরা প্রস্তাব হাজির করেছে এবং এখান থেকে সরে যাওয়ার পরিকল্পনা আমাদের নেই। তাই বল এখন সম্পূর্ণভাবে দখলদার শক্তির হাতে। তারা যদি চায়, তাহলেই গাজায় যুদ্ধবিরতি সম্ভব।’
রাফাহ ছেড়ে পালিয়েছে ১ লক্ষাধিক : ইসরাইলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশির ভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর। ইসরাইলি বাহিনী এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ড্রোন দিয়ে রাফাহ জুড়ে আবাসিক টাওয়ার এবং পাবলিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান প্রসারিত করেছে। ইউএনআরডব্লিউএ-এর মতে, যেহেতু ইসরাইল রাফাহ শহরের পূর্ব দিকে সেনা অগ্রসর হতে শুরু করেছে এবং গত সোমবার থেকে শহরটিতে আক্রমণ তীব্র করছে, এর ফলে রাফাহ থেকে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার ফিলিস্তিনি পালিয়ে গেছে।
ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার থেকে এক লাখেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহর থেকে পালিয়ে গেছে বলে জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে।
এ ছাড়া রাফার বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে ইসরাইলি ট্যাংকগুলো শহরের কাছাকাছি এসে জড়ো হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র দলগুলো বলেছে, তারা পূর্ব দিকে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অন্য দিকে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের স্থল বাহিনী পূর্ব রাফায় ‘নির্দিষ্ট লক্ষ্যে তাদের কার্যকলাপ’ পরিচালনা করছে।
জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় খাদ্য ও জ্বালানি ফুরিয়ে যাচ্ছে কারণ ভূখণ্ডটি কাছাকাছি ক্রসিং দিয়ে কোনো সাহায্য পাচ্ছে না। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরাইলি সৈন্যরা তাদের অভিযানের শুরুতে মিসরের সাথে রাফাহ ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং পরে তা বন্ধ করে দেয়। এ ছাড়া জাতিসঙ্ঘ সেসময় বলেছিল, সংস্থার কর্মীদের এবং সহায়তাবাহী লরিগুলোর জন্য কেরাম শালোম ক্রসিংয়ে পৌঁছানো ছিল খুবই বিপজ্জনক।
তবে বর্বর ইসরাইলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বর্তমানে রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন এবং জাতিসঙ্ঘ ও পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো সতর্ক করে বলেছে, শহরটিতে সর্বাত্মক হামলা চালানো হলে তা ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের কারণ হতে পারে এবং মানবিক বিপর্যয় ঘটাতে পারে। রাফাহ শহরের বাসিন্দারা ও ত্রাণকর্মীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিনজুড়ে কামান ও বিমান হামলার শব্দ ছিল অবিরাম।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসঙ্ঘের সহায়তা সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) মুখপাত্র লুইস ওয়াটারিজ বিবিসিকে বলেছেন, তিনি পশ্চিম দিকের একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রয়েছেন এবং ‘বোমাবর্ষণের শব্দ ক্রমেই কাছাকাছি আসার বিষয়টি অনুভব করছেন’। তিনি বলেন, ‘বিল্ডিংটি ঘনঘন কেঁপে উঠছে। এখানে ক্রমাগত ড্রোনের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। রাফাতে মানুষের মধ্যে যে ভয় ছিল, তা এখন আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।’
ফিলিস্তিনি মিডিয়া জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আল-জেনেহ পাড়ায় ইসরাইলি বিমান হামলায় দু’জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরেক এলাকায় বিমান হামলায় আরো তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া পশ্চিম তাল আল-সুলতান পাড়ায় একটি বাড়িতে ইসরাইলি হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে তিনজন শিশু এবং তাদের মধ্যে একটি বছরের শিশু বলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গাজায় ইউএনআরডব্লিউএর ডেপুটি ডিরেক্টর স্কট অ্যান্ডারসন বিবিসিকে বলেছেন, সংস্থাটি ‘মানুষকে বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করতে দেখেছে এবং এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে’। আর এর কারণ হচ্ছে- লড়াইটি ‘আরো পশ্চিম দিকে সরে রাফার কেন্দ্রে চলে এসেছে’। তিনি আরো বলেন, ‘সম্ভবত সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়ে হচ্ছে রাফাহ এবং কেরেম শালোম ক্রসিং পয়েন্ট বন্ধ রয়েছে, আমাদের জ্বালানি ফুরিয়ে যেতে শুরু করেছে। মূলত এই জ্বালানিই বাস্তুচ্যুত হওয়া লোকদের পাশাপাশি গাজার অন্যান্য লোকদের সহায়তা প্রদান করতে আমাদের সক্ষম করে।’
রাফায় হাসপাতালে ভিড় : গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় এখনো পূর্ণ মাত্রায় অভিযান শুরু করেনি ইসরাইল। কিন্তু তার আগেই নগরীর হাসপাতালগুলোতে রোগী উপড়ে পড়ছে। চিকিৎসকরা জানান, রাফায় ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়ে আছে। রাফাহর পূর্বাংশে গত সোমবার থেকে ‘সীমিত আকারে’ আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। সেখানে তিনটি হাসপাতাল রয়েছে। তার মধ্যে মধ্যে সবচেয়ে বড় আবু ইউসেফ আল-নজর হাসপাতালের বেশির ভাগ কার্যক্রম বন্ধ রেখে সেটি খালি করে দিতে হয়েছে। কারণ ইসরাইলি বাহিনীর সেখানকার কর্মীদের সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। তা ছাড়া হাসপাতালটির কাছেই লড়াই চলছে।
গাজায় এখন একমাত্র এ হাসপাতালটিতে কিডনি জটিলতায় আক্রান্তদের জন্য ডায়ালাইসিস সেবা চালু আছে। ইসরাইলি বাহিনী রাফাহর দিকে অগ্রসর হওয়ায় পাশের নগরী খান ইউনুসের ইউরোপিয়ান গাজা হসপিটালে রাফা থেকে আর রোগী পাঠানো যাচ্ছে না। রাফাহ থেকে গুরুতর রোগীদের অস্ত্রোপচারের জন্য খান ইউনুসের ওই হাসপাতালে পাঠানো হতো। ইসরাইলি বাহিনীর কারণে রাফাহ এবং কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংও রাফাহ বাসিন্দাদের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে।
রাফাহর আরেকটি হাসপাতাল আমিরাতি মেটারনিটি হসপিটাল। যেখানে প্রতিদিন বহু মা সন্তান প্রসব করছেন। আর কুয়েতি স্পেশালিস্ট হসপিটালের কর্মীরা জরুরি অস্ত্রোপচার করতে হিমশিম খাচ্ছে। কারণ ছোট্ট এই হাসপাতালটিতে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রচণ্ড অভাব। চিকিৎসা কর্মীও হাতেগোনা। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে সেখানে মাত্র চারটি ‘ইনটেনসিভ কেয়ার বেড’ ছিল। হাসপাতালটির একজন চিকিৎসক বলেন, ‘যেভাবেই বলি না কেন, এখানকার অবস্থা আসলে এক কথায় বিপর্যয়কর।’
ডা: জামাল আল-হামস বিবিসিকে আরো বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে কুয়েতি হসপিটালটি খুবই ছোট একটি হাসপাতাল। সেখানে রোগ নির্ণয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। ‘এমনকি ইসরাইলের গোলা বর্ষণের কারণে এখানকার একমাত্র এক্সরে মেশিনটিও কাজ করছে না। এটি ঠিক করারও কোনো উপায় নেই। কারণ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’ হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ডা: ইউসেফ আবু আল-রিশ বলেন, রাফায় চিকিৎসার যে যৎসামান্য সুযোগ রয়েছে সেটাই এখন গাজার লাইফলাইন। গাজায় গুরুতর আহত ও অসুস্থ রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে এটাও আর খুব বেশিদিন সচল থাকবে না।
‘আবু ইউসুফ আল-নজর হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর রাফাহ প্রশাসনের হাতে আসলে চিকিৎসাসেবা দেয়ার বাস্তবিক আর কোনো ব্যবস্থা নেই। আর লোকজন ইউরোপিয়ান গাজা হসপিটালে যেতে পারছে না। বেশ কয়েকটি অস্থায়ী হাসপাতাল গঠন করা হয়েছে। কিন্তু যথাযথ অবকাঠামো ও চিকিৎসা সক্ষমতা না থাকার কারণে ওই সব হাসপাতাল এসব সেবা দিতে পারছে না। ‘কুয়েতি হাসপাতালটি খুবই ছোট। তারা জরুরি সেবা দিতে পারছে না। আমরা চেষ্টা করছি সেটির সক্ষমতা বাড়াতে।’
চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে যুদ্ধবিরতির আলোচনা কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। অন্য দিকে ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ অঞ্চলে নতুন করে বোমাবর্ষণ করেছে। চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরাইল রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। একজন সিনিয়র ইসরাইলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, গাজায় সঙ্ঘাত থামাতে কায়রোতে চলমান পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে এবং ইসরাইল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাহ ও গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে। গাজায় আটক বন্দীদের মুক্তির চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাবের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরাইল তার আপত্তি জমা দিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা