ভোটার খরার মধ্যেও অনিয়ম সঙ্ঘাত
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ০৯ মে ২০২৪, ০০:০১
- ভোট পড়েছে ৩০-৪০ শতাংশ: সিইসি
- সঙ্ঘাত-সহিংসতায় আহত ২৫ ও আটক ৩৭
- জাল ভোটের উৎসব, ব্যালট পেপার ছিনতাই
- লক্ষ্মীছড়িতে পাল্টাপাল্টি কেন্দ্র দখল, ভোট গ্রহণ স্থগিত
- মুন্সীগঞ্জে ২ পুলিশকে মারধর, সাংবাদিকের ওপর হামলা
ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে প্রথম দফায় ১৩৯টিতে ভোট গ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। ভোটারদের অনীহা, উপস্থিতি নগণ্য, জালভোট প্রদানসহ কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনাও ঘটেছে। আমাদের সংবাদদাতা ও প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন বিভিন্ন স্থানে সঙ্ঘাত-সহিংসতায় ২৫ জন আহত ও ৩৭ জনকে আটক করা হয়েছে। অনেক স্থানে জাল ভোটের উৎসব হয়েছে, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে, খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়িতে পাল্টাপাল্টি ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের উৎসব হয়েছে, চাঁদপুরে এক সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের মৃত্যু, মুন্সীগঞ্জে ২ পুলিশকে মারধর ও এক সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়েছে, ডিমলায় ভোটার না থাকায় ঘোড়া মার্কার এক এজেন্ট ঘুমিয়ে পড়েছিলেন এবং চুয়াডাঙ্গায় প্যানেল চেয়ারম্যানের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
প্রথম দফার বেশির ভাগ নির্বাচনে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ২২টি উপজেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল অনেকটা হতাশার সুরে বলেছেন, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে এটার জন্য বৃষ্টি ও ধান কাটার মৌসুম দায়ী। তিনি এও বলেন, ভোটাররা ধান কাটতে ব্যস্ত থাকায় ভোটকেন্দ্রে আসেনি এটা জানতে পেরেছি। গতকাল ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে যে তথ্য পেয়েছি, নির্বাচন ভালোভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ হয়েছে। কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। কিছু সংঘর্ষে কিছু আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি কেন্দ্রে সীমিত অনিয়ম হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। দুটি কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক ছিল। তারা দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট তৎপর ছিলেন। পেশাদারিত্বের সঙ্গে তারা দায়িত্ব পালন করেছেন। সে কারণে পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো ছিল।
পরিস্থিতি তুলে ধরে সিইসি বলেন, আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী ৩৪টি ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ২৫ জন ও আটক হয়েছেন ৩৭ জন। ভোটকেন্দ্রের বাইরে এসব ঘটনা ঘটেছে। এবার দেশের ৪৯৬ উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলা নির্বাচনে চার ধাপে তফসিল দেয় কমিশন। প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় তফসিল দিলেও নানা কারণে ভোট হচ্ছে ১৩৯টিতে। এই ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন প্রার্থী (চেয়ারম্যান আটজন, সাধারণ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ১০ জন করে)। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে।
বগুড়া অফিস জানায়, বগুড়ায় প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যাপক জালভোট, প্রিজাইডিং অফিসার ও সাবেক ইউপি সদস্য আটক, ৪ নির্বাচনী কর্মকর্তা প্রত্যাহার ও একজন ছুরিকাহতসহ ব্যাপক অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। ভোট দিতে ভোটারদের মাঝে কোনো আগ্রহ ছিল না। এ কারণে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তাই নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা অলস সময় পার করেছেন।
গাবতলী উপজেলা সংবাদদাতা জানান, রামেশ্বরপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে জানান, তার ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৯৩১ জন এবং ওই সময় ভোট পড়েছে ১০৬টি, নাংলু হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার রাসেল উদ্দিন ১২টা ৩০ মিনিটে জানান, তার ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৯৩৩ জন। সে সময় ভোট দিয়েছেন ৪২৫ জন। ভোট চলাকালে নাড়–য়ামালা উচ্চ বিদ্যালয়ে লুৎফর রহমান নামের এক যুবক প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় পুরুষ কেন্দ্রের ভোট চলাকালীন দায়িত্ব অবহেলার কারণে প্রিজাইডিং অফিসার আমিনুর রহমান, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হাফিজার রহমান এবং তরিকুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে প্রভাষক আব্দুর রহিমকে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান। এ ছাড়া মাঝপাড়া-কুসুমকলি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টাকা লেনদেন ও জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শাজাহান আলম ও সাবেক ইউপি সদস্য ইমদাদুল হককে পুলিশ আটক করে। সকাল ১০টার দিকে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আনারস মার্কার প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিনের ১০ থেকে ১৫ জন সমর্থক উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলার ৪ ও ৫ নাম্বার বুথে পোলিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে সিল মারেন। খবর পেয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফসানা রিমা গিয়ে ব্যালট পেপারের মুড়িতে ভোটারের স্বাক্ষর না পাওয়ায় ৬টি মুড়ি জব্দ করেন। কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হাফিজুর রহমান জাল ভোটের দায় স্বীকার করে বলেন, ১০ থেকে ১৫ জন যুবক বুথে এসে ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে গোপন কক্ষে গিয়ে সিল মেরেছে। তাদের আমি চিনি না। নিরুপায় হয়ে মেনে নিয়েছি। এ ছাড়া নানা অনিয়মের কারণে পুলিশ আরো ২ জনকে আটক করে। প্রিজাইডিং অফিসার এ টি এম আমিনুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। আপনাদের কাছে খবর পেয়ে ব্যালট খুলে দেখি মুড়িতে ভোটদাতার সিল ও স্বাক্ষর নেই।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। গাবতলী মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, ইমদাদুল হককে আটক করা হয়েছে এবং আহত লুৎফর রহমানের ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সোনাতলা উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটার শূন্য অনেক ভোট কেন্দ্র। ভোটের মাঠে নেই কোনো আমেজ। যেখানে পূর্বের নির্বাচনগুলোতে ভোটের লাইনে সকাল থেকে দীর্ঘ সারি থাকত, সেখানে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ থাকলেও অনেক কেন্দ্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা থাকছে ভোটার শূন্য। উপজেলার অনেকগুলো ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় ভোটার সংখ্যা কম। চাড়ালকান্দী ও কর্পূর কেন্দ্রে গিয়ে দেখা মেলে ভোটারের পরিবর্তে কুকুরের। উপজেলার রশিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
সোনাতলা থানার ওসি বাবু কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চারজনকে আটক করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। সারিয়াকান্দি উপজেলা সংবাদদাতা মামুনুর রশিদ রুবেল মণ্ডল জানান, ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার ছিল খুবই কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার কিছুটা বেড়েছে।
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, নিজের ভোট গোপন কক্ষে গিয়ে সেই ভিডিও এবং ছবি ফেসবুকে দিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। সেই ভিডিও তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন।
গতকাল বুধবার বেলা ১১টার দিকে জামালপুর পৌর শহরের জরিনা মিয়ার উদ্দিন ও জগবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। এ সময় তার সাথে দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। কেন্দ্রে গিয়ে গোপন কক্ষে ভোট দিয়ে সেটি ভিডিও ধারণ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি। সে পৌর শহরের স্টেশন রোডের বাগান বাড়ি এলাকার বাসিন্দা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ভোটার বলেন, ছাত্রলীগ নেতা নাফিউল করীম রাব্বি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ইলেকট্রনিক্স বুটিং মেশিন ( ইভিএম) আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে গোপন কক্ষে যান। তার সাথে থাকা একজনকে দিয়ে ভিডিও এবং ছবি ধারণ করেন। পরে সেই ভিডিও এবং ছবি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাফিউল করীম রাব্বি বলেন, আইডিটা এডমিন দিয়ে চালানো হয়। সে ভুলবশত ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। পরে এটা আমার নজরে আসার পরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জরিনা মিয়ার উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবীর বলেন, গোপন কক্ষের মধ্যে ফোন নিয়ে যাওয়া ও ছবি তুলা আইন বিরোধী কাজ। বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বলেন, ভোট কেন্দ্রের গোপন বুথে প্রকাশ্যে ভোট দেয়ার ছবি তুলা বেআইনি। বিষয়টি কেউ আমাদের অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদপুর প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ নুর উদ্দিন নামে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দিনগত রাত ৯টার দিকে তিনি উপজেলার ৪২ নম্বর হানিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ নূর উদ্দিন (৫৫)। তিনি উপজেলার ১১ নম্বর ষাটনল বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। গতকাল বুধবার সকাল থেকে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪২ নম্বর হানিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণের জন্য তিনি সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে পরিবারের লোকজন ধারণা করছেন। সকালে ষাটনল গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার শুভ্রত দাস বলেন, রাত ৯টার দিকে উপজেলার ৪২ নম্বর হানিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতের কাজ দেখভাল করছিলেন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর উদ্দিন। রাত ৯টার দিকে তিনি বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। কয়েকবার বমি করার পর চেতনা হারিয়ে ফেলেন। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কয়েকজন সহকর্মী ও পরিবারের লোকজন মোহাম্মদ নূর উদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই এজেন্টকে আটক এবং এক যুবককে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কলাবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে মনির হোসেন মিনু নামে এক পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়েছে। ভোটকক্ষে বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার সময় তাকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া আরিফ নামে একজন পোলিং এজেন্টকে একই অভিযোগে আটক করা হয়। অপর দিকে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে এক যুবককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল দুপুরে বন্দর রেললাইন এলাকায় ১৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রে এজেন্টে আটকের এই ঘটনা ঘটে। অপর দিকে বিকেলে মদনপুর ইউনিয়নের লাউসার স্কুলে জাল ভোট দেয়ার অভিযোগে কারাদণ্ড দেয়া হয় যুবককে।
আটক মনির হোসেন হেলিকপ্টার প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুর হাসান শুভর পোলিং এজেন্ট হিসেছে বন্দর ১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৭ নম্বর ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। তবে তিনি নিজেকে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ হোসেনের এজেন্ট হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সরকারি হাজী ইব্রাহিম আলম চান স্কুলের ভোটকেন্দ্র থেকে আরিফ নামে একজন পোলিং এজেন্টকে আটক করা হয়। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ রশিদের এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তাকেও কেন্দ্রের ভোটকক্ষের ভেতর মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় আটক করা হয়।
এ দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ায় নাঈম নামে একজনকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুই জন পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছবি তুলতে যাওয়ায় এক সাংবাদিকের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করেছে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থকরা।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ১নং ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ও হামলায় আহত দৈনিক মানবজমিনের মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি গুলজার হোসেন জানান, ভোটকেন্দ্রের পাশেই কয়েকটি দোকান খোলা ছিল। দোকানগুলোর সামনে বেশ কয়েকজন আনারস প্রতীকের সমর্থক দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত দুইজন পুলিশ তাদের দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বললে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মারধর শুরু করেন। সেই ঘটনার ছবি তুলতে গেলে তারা তার ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নেয়। পরে বেশ কিছুক্ষণ পরে ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে পুলিশের মাধ্যমে মোবাইলটি তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয় বলেও জানান তিনি।
হামলার শিকার কনস্টেবল সোহেল রানা বলেন, তারা অযথাই তার ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের শুধু দোকানের সামনে থেকে সরে যেতে বলেছিলেন তিনি। তবে তারা কার সমর্থক তা বলতে পারেননি তিনি।
বিষয়টি নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত আছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, হুমকি-ধমকির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে আবু সিদ্দীক নামে প্যানেল চেয়ারম্যানকে (ইউপি সদস্য) সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল বুধবার সকালে দামুড়হুদা জীবননগর থেকে তাদের আটক করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাইফ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ কারাদণ্ড প্রদান করেন।
আটকরা হলেন, জীবননগর উপজেলার কাটাপোল গ্রামের কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক সাখাওয়াত হোসেন এবং দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ালগাছি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনারস প্রতীকের আবু সিদ্দিক ও মোহাম্মদ রাজ্জাক।
ডিমলা (নীলফামারী) সংবাদদাতা জানান, সকাল ৮টায় কেন্দ্র আসছি। কখনো কখনো দুই তিনজন আবার কখনো কখনো ২০ মিনিটেও কোনো ভোটারের উপস্থিতি নেই। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় কখন ঘুমিয়ে পড়েছি বলতে পারছি না। গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ২টায় ডিমলায় ভোটগ্রহণ চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রে ঘুমিয়ে পড়া ওই ব্যক্তির নাম মো: আলাকুল ইসলাম (৬০)। তিনি ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টুর ঘোড়া মার্কার নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন।
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, রামগড়, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে লক্ষ্মীছড়িতে আওয়ামী লীগ ও ইউপিডিএফ (প্রসীত) সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে লেলাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও যতীন্দ্র কার্বারী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে এ পাল্টাপাল্টি ভোটকেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটে। ইউপিডিএফ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সুপার জ্যোতি চাকমার অভিযোগ সরকার দলীয় লোকজন কেন্দ্রে ঢুকে জোরপূর্বক ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে।
অপর দিকে বেলা ১টার দিকে জেলার রামগড় উপজেলার থলিবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল ও জাল ভোটকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান ও এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অন্য দিকে মানিকছড়ির তিনট্যহরী উচ্চবিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে এসে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল সদর উপজেলায় ৩৫.৮ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এর আগে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়।
বরিশাল জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ওহিদুজ্জামান মুন্সি বলেন, বরিশাল সদর উপজেলায় বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৩৫.৮ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় ২০ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছে। এর আগে ১০টা পর্যন্ত প্রথম ২ ঘণ্টায় ৬ শতাংশ ভোট গ্রহণ হয়েছিল। বৃষ্টি হওয়ার কারণে সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসাররা।
বরিশাল সদর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, মহাবাজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে (নারী কেন্দ্র) সকাল ৯টা ১১ মিনিটের দিকে নারী ভোটারদের সংক্ষিপ্ত লাইন দেখা গেছে। এ বিদ্যালয়ের পাশেই আরেক কেন্দ্র উলালঘূণি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বল্পসংখ্যক পুরুষ ভোটারদের দেখা মিলেছে। সকাল ৯টায় শায়েস্তাবাদ এলাকার ৩০ নম্বর চরআইচা (২) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নারী বুথে ভোটার থাকলেও পুরুষ বুথ ছিল একেবারে শূন্য। জাগুয়া ইউনিয়নের চৌহুতপুর সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১১টার দিকে মহিলা কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের ধর্মাধি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের পুরুষ বুথ প্রায় শূন্য ছিল। এসময় এ কেন্দ্রের মহিলা বুথে নারীদের উপস্থিতি ভালো থাকলেও সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৫০টি ভোট পড়েছিল। এ তথ্য জানিয়েছে ধর্মাধি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সেলিম আহমেদ। এছাড়া পপুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা ১টা পর্যন্ত ৫ শতাধিক ভোট গ্রহণ হয়েছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮শ ২০টি। রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের রায়পাশা বিদ্যালয় কেন্দ্রে নারী ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো, তবে পুরুষ ভোটার প্রায় শূন্য ছিল।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রের বাইরে প্রভাব বিস্তার, পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়াসহ নানা অভিযোগে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, এখানে কেন্দ্রের বাইরে উৎসবমুখর হলেও ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি নেই। আর বুথগুলোতে শুধু একজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর এজেন্ট রয়েছেন। এ ছাড়া সব বুথে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদের এজেন্টদের উপস্থিতি ছিল। তিনবারের নির্বাচিত এই উপজেলা চেয়ারম্যান আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আলতাফ হোসেন বিপ্লব লড়ছেন কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে। কাপ-পিরিচের এজেন্টদের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ ছিল প্রত্যেক কেন্দ্রেই। এ দিকে গোলজারবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইকুরিয়া মুসলিম নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, বনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শুভাঢ্যা উচ্চ বিদ্যালয়, চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ৬৬ নম্বর নয়া শুভাঢ্যা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও শুধু চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহীন আহমেদের লোকজনের উপস্থিতি মিলেছে। এমনকি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের কোনো বুথেই আলতাফ হোসেন বিপ্লবের পক্ষের কোনো এজেন্ট পাওয়া যায়নি।
চুনকুটিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের (কেন্দ্র নম্বর ১৮৮) প্রিজাইডিং অফিসার নুরুল জানান, তার ভোট কেন্দ্রের সাতটি বুথে আনারস প্রতীকের এজেন্ট রয়েছেন। কাপ-পিরিচের কোনো এজেন্ট তিনি দেখেননি।
অন্য দিকে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী আলতাফ হোসেন বিপ্লব অভিযোগ করেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা ও জিঞ্জিরার একাংশের ভোট কেন্দ্রগুলো থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। অনেক কেন্দ্রে ভেতরে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজন এসব করেছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন।
সকাল থেকে বেশ কিছু কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে ভোটাররা অভিযোগ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এজেন্ট এ প্রতিবেদককে বলেন, কিছু লোক লাঠি নিয়ে এসে আমাদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। আমাদের মারতে চেয়েছে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গতকাল বুধবার গাজীপুরে দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক কম। এ দিন দু’টি কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষে নারীসহ আটজন আহত হয়েছে। এ ছাড়াও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে এক প্রার্থীর কর্মীকে দু’দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম মো: শোয়াইব (২১)। সে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামের মো: সাত্তার ফকিরের ছেলে।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম ইমাম রাজী টুলু বলেন, গতকাল বুধবার দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এ দিন বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর কেন্দ্রে প্রতিপক্ষের কর্মী-সমর্থকদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোর অপরাধে মো: শোয়াইব নামের এক যুবককে আটক করা হয়।
এ দিকে বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর ও জামালপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড নারগানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট আশরাফি মেহেদী হাসান (দোয়াত কলম) ও মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন স্বপনের (মোটরসাইকেল) কর্মী-সমর্থকদের মাঝে দুই দফা সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দোয়াত কলমের কর্মী ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদ, হানিফ ও শাহনাজ আহত হন। অপর দিকে আমজাদ হোসেনের (মোটরসাইকেল) কর্মী-সমর্থকদের দাবি দোয়াত কলম প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলায় তাদের পাঁচ কর্মী আলমগীর, মোখলেছ, রব মিয়া, জুয়েল ও শৈলেন কুমার দাস আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা