১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
বিবিএসের তথ্য

দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে

-


বেকারের সংখ্যা বেড়েছে দেশে। দেশে বর্তমানে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার রয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে। তবে কমেছে নারী বেকারের সংখ্যা। বর্তমানে বেকারের হার বেড়ে ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের (মার্চ-জানুয়ারি) তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ ২০ হাজার। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার জন বলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্যে উল্লেখ করা হয়েছে। বিবিএস বলছে, বেকার জনগোষ্ঠী মূলত তারাই যারা বিগত ৭ দিন সময়ে কমপক্ষে ১ ঘণ্টাও কোনো কাজ করেনি কিন্তু কাজ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। বিগত ৩০ দিনে বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে কোনো না কোনো কাজ খুঁজেছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল তাদের ওয়েবসাইটে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপ প্রকাশ করেছে। এ জরিপ প্রতিবেদনে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বেকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। বিবিএস আরো বলছে, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও’র গাইডলাইন অনুযায়ী যারা বিগত ৭ দিন সময়ে কমপক্ষে এক ঘণ্টা বেতন বা মজুরি বা মুনাফার বিনিময়ে অথবা খানার নিজস্ব ভোগের জন্য পণ্য উৎপাদনমূলক কাজ করেছে তারাই মূলত কর্মে নিয়োজিত (ঊসঢ়ষড়ুবফ) হিসেবে বিবেচিত হন।

বিবিএসের প্রকাশিত তথ্য জানায়, শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। তাদের মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত, বাকিরা বেকার। পুরুষ বেকারের সংখ্যা বেড়েছে, কমেছে নারী বেকার। গত মার্চ মাস শেষে পুরুষ বেকারের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪০ হাজার। ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকে (মার্চ-জানুয়ারি) সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ১০ হাজার।
বিবিএসের হিসাব অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম প্রান্তিকেও ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার ছিল। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, যা ২০২৩ সালের গড় বেকারের হারের চেয়ে কিছুটা বেশি। ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে তারা কর্মে নিয়োজিত নয়। আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তারা মূলত সাধারণ ছাত্র, অসুস্থ ব্যক্তি, বয়স্ক নারী-পুরুষ, কাজ করতে অক্ষম ব্যক্তি, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং কর্মে নিয়োজিত নন বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক গৃহিণী।
উল্লেখ্য, শ্রমশক্তি জরিপ এ ১৫ বছর ও তদুর্ধ্ব বয়সী পুরুষ-মহিলা এবং শহর-পল্লী অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে শ্রমবাজারের সূচকগুলো ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে প্রাক্কলন করা হয়। দেশব্যাপী ১ হাজার ২৮৪টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে সর্বমোট ৩০ হাজার ৮১৬টি খানায় (বছরে ১২৩, ২৬৪টি খানায়) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। দেশের ৬৪টি জেলায় ১০৭ জন (মহিলা ৫৭ জন এবং পুরুষ ৫০ জন) প্রশিক্ষিত তথ্য সংগ্রহকারীদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ জরিপের মাধ্যমে লিঙ্গভিত্তিক কর্মসংস্থান, বেকারত্ব, শ্রম অভিবাসন ব্যয়, খাত এবং পেশাভেদে শ্রমশক্তি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মসংস্থান, কর্মঘণ্টা এবং মজুরি সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রস্তুত করা হয়।

 


আরো সংবাদ



premium cement