গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে মিসরে আলোচনা, ইতিবাচক হামাস
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৫ মে ২০২৪, ০০:০০
- তিন ধাপে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব
- রাফাহ অভিযানে রক্তগঙ্গা বইতে পারে : ডব্লিউএইচও
- যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য শনিবার মিসরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনায় বসেছেন মধ্যস্থতাকারীরা। আলোচনায় ইসরাইলি বন্দীদের ফেরত দেয়ার চুক্তি বাস্তবায়িত হতে পারে। হামাসের প্রতিনিধিদল ছাড়াও আলোচনায় উপস্থিত হয়েছেন সিআইএ পরিচালক। রয়টার্স ও বিবিসি।
মিসরের রাষ্ট্রীয় টিভি আল-কাহেরা নিউজ চ্যানেলও কায়রোতে হামাস প্রতিনিধিদলের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সির (সিআইএ) পরিচালক উইলিয়ামস বার্নস ছাড়াও এই আলোচনার সাথে জড়িত রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি নেতানিয়াহুর সাথে দেখা করতে চলতি সপ্তাহে ইসরাইল সফর করেছিলেন। শুক্রবার অ্যারিজোনায় বক্তৃতায় ব্লিনকেন বলেন, ‘গাজার জনগণ ও যুদ্ধবিরতির মধ্যে থাকা একমাত্র বিষয় হলো হামাস।’ মিসরের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ‘আজকের ফলাফল ভিন্ন হবে। আমরা অনেক পয়েন্টে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। কয়েকটি পয়েন্ট বাকি আছে।’
বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার কায়রোতে আবার আলোচনা শুরু হওয়ার সাথে সাথে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দীদের মুক্তির চুক্তি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা জোরদার হয়েছে। হামাস বলেছে, তাদের প্রতিনিধিদল সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করার পর ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে আলোচনায় বসেছে। মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় এই আলোচনা হচ্ছে। শুক্রবার রাতে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা অলোচনার টেবিলে চুক্তিটিকে ‘পরিপক্বতা’ দিতে চায়। আলোচনার এজেন্ডায় এমন কিছু ক্ষেত্র রয়েছে, যেখানে উভয়পক্ষ এখনো দ্বিমত পোষণ করছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্থায়ী বা অস্থায়ী হবে কি না তা নিয়েই মূল সমস্যা হচ্ছে বলে ধারণা। ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম আল-কুদস শনিবার জানায়, ইসরাইলের সাথে বন্দী ও যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকরে রাজি হয়েছেন হামাসের নেতারা। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আশফাকও জানিয়েছে, বন্দী চুক্তির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দু’পক্ষ এবং হামাস এ ব্যাপারে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঘোষণা দেবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল-কুদসকে হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনাদের প্রত্যাহার করা ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে রাজি হয়েছেন তারা। এই কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে শুধু নারী, বৃদ্ধ, শিশু ও অসুস্থদের ছাড়া হবে। তাদের ছাড়ার পরও বেশ কয়েকজন ইসরাইলি সেনা তাদের কাছে থেকে যাবে। এ বিষয়টি কাজে লাগিয়ে যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপে সুবিধা আদায় করে নেবেন তারা। এ দু’টি সংবাদমাধ্যম ছাড়াও ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র হামাসকে নিশ্চয়তা দিয়েছে বন্দী ও যুদ্ধবিরতির তৃতীয় ধাপ শেষে গাজা থেকে সব ইসরাইলি সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে অপর ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম কান নিউজ জানিয়েছে, আরব সংবাদমাধ্যমগুলোতে যুদ্ধবিরতি এবং সেনা প্রত্যাহার করে নেয়ার ব্যাপারে যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা।
তিন ধাপে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব
টাইমস অব ইসরাইল জানায়, বর্তমানে যে বন্দী ও যুদ্ধবিরতির চুক্তি নিয়ে হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে কথাবার্তা হচ্ছে সেটিকে তিনটি ধাপে ভাগ করা হয়েছে। চুক্তিতে বলা আছে, প্রথম ধাপে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে ৪০ দিন। এই সময়ে হামাস ৩৩ ইসরাইলি বন্দীকে মুক্তি দেবে এবং ইসরাইল কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি বন্দীকে ছেড়ে দেবে। দ্বিতীয় ধাপের মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এই ধাপে বাকি জীবিত বন্দীকে মুক্তি দেবে হামাস। একই সাথে দ্বিতীয় ধাপে গাজায় স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হবে। তৃতীয় ধাপেরও মেয়াদ হবে ৪২ দিন। এই সময়টায় হামাস মৃত বন্দীদের লাশ ইসরাইলের কাছে বুঝিয়ে দেবে। সংবাদমাধ্যম আল-কুদস জানিয়েছে, হামাসের কর্মকর্তারা আশা করছেন, এই সপ্তাহের মধ্যেই দু’পক্ষ চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।
রাফাহ অভিযানে রক্তগঙ্গা বইতে পারে : ডব্লিউএইচও
এএফপি জানায়, ফিলিস্তিনের গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফাহ শহরে ইসরাইলি বাহিনী অনুপ্রবেশ করে আক্রমণ চালালে সেখানে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। রাফাহ শহরে রয়ে যাওয়া হামাস সদস্যদের নিশ্চিহ্ন করতে সেখানে বড় পরিসরে স্থল অভিযানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। প্রায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধে গাজার বেশির ভাগ মানুষ এখন রাফাতে আশ্রয় নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে রাফাতে আশ্রয় নেয়া প্রায় ১২ লাখ মানুষের ওপর ইসরাইলি সামরিক অভিযানের সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সতর্ক করে দিয়েছেন। এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, গাজার রাফায় সম্ভাব্য পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান নিয়ে ডব্লিউএইচও উদ্বিগ্ন। এর ফলে সেখানে রক্তগঙ্গা দেখা যেতে পারে। সেখানকার ভঙ্গুর স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরো দুর্বল হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে : ইসরাইলের নির্বিচার ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে বিক্ষোভ চলছে, তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। লন্ডন, প্যারিস ও রোম থেকে সিডনি, টোকিও, বৈরুতসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলের হামলা বন্ধের দাবি জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি ইসরাইল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ইসরাইলের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীদের হটাতে যে দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে, সেটাও তাদের প্রতিবাদে শামিল হতে উৎসাহিত করছে বলে বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন। দেশে দেশে এমন বিক্ষোভকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশগুলোর তরুণদের মধ্যে ইসরাইলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা প্রকাশিত হচ্ছে।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় সাড়ে ৩৪ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরাইলের এই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে গত ১৮ এপ্রিল বিক্ষোভ শুরু করেন নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ দমনে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন সরকার। এর মধ্যে ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ফ্রান্সের সবচেয়ে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিসের সায়েন্সেস পো বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্জনের আহ্বানসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এটি ছাড়াও প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্রিলের শেষ দিকে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। ২৯ এপ্রিল সরবন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় দুই বিক্ষোভকারীকে তাঁবু থেকে টেনে-হেঁচড়ে বের করতে দেখা যায়। এরপর গতকাল সায়েন্সেস পো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় দাঙ্গা পুলিশ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ‘শেম’ ও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। ফ্রান্সের আরো অনেক ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ হয়েছে। ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে অবস্থান নেয়া ২৩টি স্থান থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর থেকেই ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি ভবনের চত্বরে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। এ ছাড়া লিডস, ব্রিস্টল ও ওয়ারউইক শহরের শিক্ষার্থীরাও তাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভবনের বাইরে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়ে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ করছেন।
অস্ট্রেলিয়ার অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীরা। এ নিয়ে ক্যাম্পাসগুলোতে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থীদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরাইল-সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন। শুক্রবার সেখানে পাল্টা বিক্ষোভের আয়োজন করে ইহুদি গোষ্ঠীগুলো। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিরোধিতা করে ইহুদি গোষ্ঠীগুলো, এতে ক্যাম্পাসে অহেতুক উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডুটন।
যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে প্রতিবেশী কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও। মন্ট্রিলের উপকণ্ঠে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকেও বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয় ও ভ্যাঙ্কুভারের ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ভারতের খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওয়াহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তাঁর ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরাইলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সাথে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
এ ছাড়া জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, ইতালির রোমের স্যাপিয়েঞ্জা বিশ্ববিদ্যালয়, মেক্সিকোর ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি এবং লেবাননের আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুত ও লেবানিজ আমেরিকান ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষার্থীরা ইসরাইলের হামলা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের ফটকের বাইরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। আলী আল মুসলেম নামের সেখানকার এক শিক্ষার্থী রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই যে আমরা ফিলিস্তিনিদের ভুলিনি।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা