১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী

বিএনপি থেকে আরো ৩ জন বহিষ্কার

-

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় আরো তিনজনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।এর আগে গত শুক্রবার সারা দেশে ৭৩ জন নেতাকে একই কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত দুই দিনে এ নিয়ে ৭৬ জনকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ভোট করার অপরাধে বহিষ্কার করা হলো।
গতকাল শনিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনজনকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
তারা হলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলার হালুয়াঘাট বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, শেরপুর জেলার শ্রীবর্দী উপজেলার ২ নং পৌর ওয়ার্ডের সভাপতি গোলাম মোস্তফা (সোনাহার) এবং রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মংসুইউ চৌধুরী।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সব নেতা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
টিভিতে দেয়া সাক্ষাৎকারে ‘বিব্রত’ বিএনপি নেতা
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানায়, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে ইতোমধ্যে বহিষ্কার হয়েছেন ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: রউফউন্নবী। তবে এবার একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভিতে কেন্দ্রীয় নেতাদের জড়িয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ার পরে বিব্রত তিনি। জানিয়েছেন, নির্বাচনী কাজে ব্যস্ততা পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ঝামেলায় মুখ ফসকে যা বলেছেন তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এটি আসলে তার মনের কথা নয়। গতকাল ২৭ এপ্রিল দুপুরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রউফউন্নবী এ কথা বলেন।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ফরিদপুর সদর থেকে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রউফউন্নবী বলেন, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেয়ার দলীয় সিদ্ধান্ত তাকে কেউ জানায়নি। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা তাকে নির্বাচনে অংশ না নেয়ার বিষয়ে কিছু বলেনি। আর যখন তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত জেনেছেন, তখন নির্বাচন থেকে সরে আসার মতো পরিস্থিতি ছিল না। তিনি পারিবারিকভাবেই নির্বাচনমুখী। এর আগে একাধিকবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করেছেন। কর্মী-সমর্থকদের সংগঠিত রাখতে এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিনি এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
বিএনপি নেতৃত্বের প্রতি এখনো শ্রদ্ধাশীল উল্লেখ করে রউফউন্নবী বলেন, তাকে আগেও একবার বহিষ্কার করা হয়েছিল। আবার নতুন করে বহিষ্কারে এটিই প্রমাণিত হলো যে, আগেরবারের বহিষ্কারের তথ্য সঠিক নয়। এবারেও তাকে বহিষ্কারের যে কথা বলা হচ্ছে তা-ও যুক্তিযুক্ত নয়।
নিজেকে বিএনপির একজন একনিষ্ঠ কর্মী উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকে বিএনপি করছি। ফরিদপুর সদর আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের হাত ধরে রাজনীতিতে আসা। শহীদ জিয়ার আদর্শে আজীবন কাজ করেছি। আমি মনে করি উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকারের প্রতিনিধি হটিয়ে জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতিনিধি হিসেবে দেশ, দল ও জনগণের সেবা করতে সক্ষম হবো।
প্রসঙ্গত, এবারের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ফরিদপুরের রউফউন্নবীসহ সারা দেশের ৭৩ জন প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

 


আরো সংবাদ



premium cement