ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়াই চলছে বহুতল ভবন!
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
চলছে কাচ্চি ভাই, সিরাজ চুই গোস্ত নামক নামীদামী রেস্টুরেন্ট। রয়েছে সারা, ইলিয়েনসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শোরুম। বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ওপরে থাকা আবাসিক ফ্ল্যাটগুলো। রয়েছে বিভিন্ন সাইজের একাধিক এসি, স্কেলেটর ও লিফট। অথচ এখনো নেয়া হয়নি ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন। রাজউক থেকে পাওয়া অনুমোদনকেও পাত্তা না দিয়ে নিজেদের মতো করে গড়ে তোলা হয়েছে বিলাসবহুল বহুতল ভবন। নিয়ম অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস থেকে অনুমোদন না দিতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা না। অথচ অদৃশ্য শক্তির বলে বিদ্যুতেরও লাইন দেয়া হয়েছে। এমন তথ্য পাওয়া গেছে রাজধানীর ৩৬/১ নম্বর ওয়ারী ১৩ তলা একটি ভবনের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে ভবনটিকে এখনো ফায়ার সার্ভিস থেকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। কারণ এখানে জরুরি বহির্গমের কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। রাজউক থেকে আট তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণের অনুমোদন দিলেও তারা করেছেন ১২ তলা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই টনক নড়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর। তখন বেরিয়ে আসে ভবনের ফায়ার অনুমোদন ছিল না। রাজউক এত তলার অনুমোদন দেয়ানিসহ নানা অনিয়মের কথা। অথচ আগে থেকে তদারকি করে না কেউ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ কয়েকটি সূত্রে জানায়, অনুমোদনের জন্য ওয়ারীর ৩৬/১ নম্বর আড়ং শপিংমল নামক ভবনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরে একটি আবেদন করা হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষের একটি টিম ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায়। টিমের সদস্যরা দেখেন ভবনের বাইরের চাকচাক্কি থাকলেও ফায়ার এক্সিট বা জরুরি বহির্গমনের ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু অনিয়ম। যার কারণে আনুমোদন আটকে দেয় ফায়ার সার্ভিস চিঠি দিয়ে তাদের অনিয়মগুলো সংশোধন করে আবেদন করতে বলা হয়। ভবন সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, ফায়ার সার্ভিস থেকে যেকোনোভাবে জরুরি বহির্গমনের জন্য একটি সিঁড়ি নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই সিঁড়ি নির্মাণের করতে যে জায়গার প্রয়োজন সেটি আর অবশিষ্ট নেই।
ভবনের দুই পাশে যে দু’টি ভবন রয়েছে তার মাঝে দেড় ফুট জায়গাও ফাঁকা নেই যেখানে বিকল্প সিঁড়ি তৈরি করা হবে। ভবনের নকশাতেই বহির্গমনের সিঁড়ির নকশা রাখা হয়নি। তারপরও চেষ্টা করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদন ছাড়া বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে ওই সূত্র জানায়, ভবন নির্মাণের পর প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যুতের একটি সংযোগ দেয়া হয়। পরে সেটি স্থায়ী করা হয়। এই ভবনে প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া সংযোগ দিয়ে কাজ চলছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ভবন মালিকদের একজন নীরব শেখ আরিফ বলেন, ফায়ার সার্ভিসের শর্ত পূরণ করে অনুমোদন আনার চেষ্টা চলছে। এখনো আবাসিক ফ্ল্যাট হস্তান্তর বা ব্যবহার করছি না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা