কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশী নিহত
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তের ওপারে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হাসান মিয়া (২৫) নামে এক বাংলাদেশী যুবক নিহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তের ওপারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের দারু মিয়ার ছেলে।
নিহতের কয়েকজন স্বজন জানান, সকালে হাসান বন্ধুদের নিয়ে পুটিয়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ঘুরতে যান। এ সময় তাদের দেখে বিএসএফ গুলি চালালে হাসান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তবে নিহত হাসানের চাচাতো ভাই আরিফ জানান, হাসান বিভিন্ন সময় সীমান্তের ওই পার থেকে চিনি পরিবহনের শ্রমিকের কাজ করত। সোমবার সকালে সীমান্ত থেকে চিনি আনতে গেলে বিএসএফ গুলি চালায়। পরে তাকে
বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ জানান, বিএসএফের গুলিতে একটি ছেলে মারা গেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু আহমেদ জানান, বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবক সীমান্তে চোরাচালানের সাথে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। তার লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রাখা আছে। তার শরীরে একটি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
‘যে হাতে আমার স্বামীকে গুলি করেছে, সে হাত যেন পচে যায়’ : ‘আমার তিন মাসের শিশুকে এতিম করে আমার স্বামী মারা গেল। এখন আমরা কিভাবে বাঁচব। যে হাতে আমার স্বামীকে গুলি করেছে, সে হাত যেন পচে যায়। আল্লাহ্ যেন তাদের বিচার করে।’ কথাগুলো বলছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী যুবক হাসান মিয়ার (২৫) স্ত্রী মর্জিনা খাতুন। সোমবার সকালে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন হাসান। হাসান কাইয়ুমপুর ইউনিয়নের জারু মিয়ার ছেলে। পরিবারের স্বজনরা জানান, সকালে হাসান তার বন্ধুদের নিয়ে পুটিয়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ঘুরতে যায়। এ সময় তাদের দেখে বিএসএফ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই হাসান গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ দিকে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজনরা হাসপাতাল চত্বরে ভিড় করেন। এ সময় তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে এক শোর্কাত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। তারা সীমান্তে হত্যা বন্ধসহ হাসান হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।
নিহত হাসানের বাবা জারু মিয়া বলেন, আমার ছেলে সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিল। পরে খবর পাই বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। কেন তারা আমার বুককে খালি করল। আর যেন কোনো মায়ের বুক খালি না হয় সরকারের কাছে দাবি জানাই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা