ফরিদপুরের ঘটনা সাম্প্রদায়িক উসকানির শামিল : হেফাজত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
ফরিদপুরে মধুখালী থানার এক মন্দিরে আগুনের ঘটনায় নিছক সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় নৃশংসভাবে দু’জন মুসলিম শ্রমিককে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
গতকাল এক বিবৃতিতে সংগঠনের আমির আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য দেশ বাংলাদেশ। এ দেশের অধিবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাসে বৈচিত্র্য থাকলেও আবহমানকাল থেকেই নিজেদের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান আছে। কিন্তু গত ১৮ এপ্রিল ফরিদপুর জেলার মধুখালীর এক মন্দিরে আগুনের ঘটনায় নিছক সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় নৃশংসভাবে দু’জন মুসলিম শ্রমিককে হত্যা ও পাঁচজনকে আহত করার জঘন্যতম ঘটনায় আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা বলেন, ফরিদপুরের মধুখালী থানার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালীমন্দিরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগুন লাগে। কিন্তু কিভাবে এই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত জানা যায়নি। ওই দিন সন্ধ্যায় মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানোর প্রায় ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই সেখানে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। তখন মন্দিরের পাশে নির্মাণাধীন বিদ্যালয়ে শুধু সাতজন মুসলিম শ্রমিক ছিলেন। কিন্তু তাদেরকে কেউ আগুন দিতে দেখেনি বা তাদের আগুন দেয়ার হীন উদ্দেশ্য থাকতে পারে এমন সন্দেহ করার কোনো যৌক্তিক কারণ এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পরও শুধু সন্দেহের বশে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের ওপর এই নিষ্ঠুর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনা স্পষ্টতর সাম্প্রদায়িক উসকানির শামিল।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আমরা হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় যারপরনাই ব্যথিত ও হতবাক হয়েছি। যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত তাদের ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সরকার যদি এ ক্ষেত্রে দ্রুত যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়, আর এর ফলে দেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়; তা হলে সরকারকেই তার দায়ভার বহন করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা