বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী
- বাসস
- ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৮
বিএনপি'র নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোনো মামলাই রাজনৈতিক নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নিসংযোগ, গ্রেনেড হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান ও দুর্নীতির মতো সুনির্দিষ্ট ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তরাই এ সংক্রান্ত মামলার আসামি হয়েছেন। তিনি বলেন, 'আজকে তারা (বিএনপি) সব জায়গায় কান্নাকাটি করে বলছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা। তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে মামলাগুলো কিসের মামলা? অগ্নিসন্ত্রাস, অস্ত্রপাচার, গ্রেনেড হামলাসহ বিভিন্ন অপরাধের মামলা। তারা অপরাধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেটাই তো বাস্তবতা।' এসব মামলা দ্রুত শেষ করে এগুলোর শাস্তি দিয়ে
দেয়া উচিত বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
গতকাল সকালে গণভবনে বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
২০১৩ ও ১৪ সালে নির্বাচন বানচালের জন্য এবং পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাস ও সহিংসতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, তারা ৩ হাজার ৮০০ গাড়ি পুড়িয়েছে, বাস, লঞ্চ ও রেল পুড়িয়েছে। তাদের বিরদ্ধে মামলা হবে না তো কি হবে। তিনি বলেন, ওদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাই তো পলিটিক্যাল মামলা না, প্রত্যেকটা মামলা অগ্নিসন্ত্রাসের মামলা। তারা মানুষ হত্যা করেছে আগুন দিয়ে। নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে তারা রেলে আগুন দিয়ে মা-শিশুকে পুড়িয়ে মেরেছে, যারা এগুলো করল তাদের বিরুদ্ধে কি মামলা হবে না? তাদের কি মানুষ পূজা করবে,' সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'তারা (বিএনপি) যেভাবে বলছে, তাদের ৬০ লাখ লোক গ্রেফতার হয়েছে, ৬০ লাখ লোক ধারণ করার ক্ষমতাও নাই এসব জেলে। তারপরও যতটুকু ধারণ ক্ষমতা আছে সবই বিএনপির লোক এটাই তো তারা বলতে চাচ্ছে। তার মানে বাংলাদেশে যত অপরাধ সব অপরাধ করে বিএনপি।'
শেখ হাসিনা বলেন, তাদের ভাগ্য ভালো আমরা ক্ষমতায় আছি, আমরা তাদের মতো প্রতিশোধপরায়ণ না, তাই তারা এখনো কথা বলার সুযোগ পায়। তারা সারা দিন কথা বলে মাইক লাগিয়ে, তারপর বলবে কথা বলার সুযোগ পায় না।
বিরোধী দলে থাকার সময়কার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অফিসে তো আমরা ঢুকতেই পারতাম না। কিভাবে তারা অত্যাচার করেছে আমাদের ওপর, আমরা তো তার কিছুই করি নাই। আমরা প্রতিশোধ নিতে ব্যস্ত থাকিনি। আমরা আমাদের সব শক্তি-মেধা কাজে লাগিয়েছি দেশের উন্নয়নে, দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে। তিনি বলেন, কৃষি গবেষণায়
বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল। আমাদের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উদ্যোগে কৃষিখাতের উন্নয়ন এবং খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থাপনার পদক্ষেপগুলোর চুম্বকাংশ তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের কৃষি উন্নত হয়েছে, কারণ সরকার কৃষিখাতের গবেষণাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার কৃষি খাতে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকর পদক্ষেপের ফলে দেশের খাদ্য উৎপাদন বেড়েছে। তিনি বলেন, 'একসময় যারা নুন-ভাত বা ডাল- ভাতের কথা ভাবতেন, তারা এখন মাছ-মাংস-ডিমের কথা ভাবেন। তাই যারা সরকারের সমালোচনা করেন,
তাদের বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত যে, বাংলাদেশ উন্নত হয়েছে কি না।'
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীতে ব্রাহামা জাতের গরু দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ডেইরি খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান সাদিক এগ্রোর স্টলে ব্রাহামা জাতের গরু ঘুরে দেখেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান সাদিক এগ্রোর স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ ইমরান হোসেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রতিষ্ঠানটির নান্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি দেশে গোশতের উৎপাদন বাড়াতে ব্রাহামার মতো উন্নত জাত আনতে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রী সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন।
গত বৃহস্পতিবার প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ ইমরান হোসেনকে কাউবয় আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সাথে এখানে একজন কাউবয় এসেছেন। মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, যিনি বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। আমি আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে ইমরান হোসেন ব্রাহামাসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের গরুর জাত আনার অনুমতি প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা