রৌমারীতে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধ দিবস পালিত
- রৌমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
- ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫২
‘ওয়াহিদ, কাদের, মাহফুজ শহীদদের আমরা ভুলি নাই’ এই স্লোগান সামনে রেখে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তযুদ্ধের ২৪ বছর উপলক্ষে বড়াইবাড়ি দিবস উদযাপন কমিটির আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বড়াইবাড়ী সীমান্তযুদ্ধে নিহতের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির শুরু হয়। পরে বড়াইবাড়ী মসজিদ মাঠে সাবেক এমপি রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক এমপি রুহুল আমিন, বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্প, কলাবাড়ি বিবিসি উচ্চবিদ্যালয়, বড়াইবাড়ি গ্রামবাসীর পক্ষে, বারবান্দা সূর্য সংঘ, শহীদ পরিবারের পক্ষে, চুলিয়ারচর ও বারবান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাতীয় পার্টিসহ (জেপি), এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ইমান আলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বিশেষ অতিথি ছিলেন, আবু হোরায়রা সাধারণ সম্পাদক উপজেলা আওয়ামী লীগ, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মাহমুদা আকতার স্মৃৃতি, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শালু, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক মণ্ডল, ইউপি সদস্য রুহুল আমিনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের এই দিনে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ী গ্রামে অবৈধভাবে প্রবেশ করে নারকীয় তাণ্ডব চালায়। বিএসএফের তাণ্ডবে পুড়ে ছাই হয় ৮৯টি বাড়ি। এ সময় তৎকালীন বিডিআর ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় প্রতিরোধ করা হয়। দ্ইু পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হয় বাংলাদেশের তিন বীর বিডিআর জওয়ান ৩৩ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের ল্যান্স নায়েক ওয়াহিদুজ্জামান, সিপাহি মাহফুজার রহমান এবং ২৬ রাইফেলস ব্যাটালিয়নের সিপাহি আ: কাদের। এ ছাড়া আহত হন বিডিআরের আরো পাঁচ সদস্য। ভারতীয় পক্ষে নিহত হয় ১৬ জন বিএসএফ সদস্য। সেই থেকে এই দিনটি পালিত হয় ‘বড়াইবাড়ী দিবস’ হিসেবে। এলাকাবাসী বিজিবি ক্যাম্পের সামনে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, নির্মিত ব্রিজ ও রাস্তা তিন শহীদের নামে নামকরণ ও ঐতিহাসিক দিবসটিকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা