১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বৈশ্বিক স্বাধীনতা সূচকে ঢাকার ক্রমাবনতি

-

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বিচারিক উপাদানসহ স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে ২২ বছর ধরে অবনতির দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের ১৬৪ দেশের মধ্যে ১৪১তম। আর সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৪ দেশের মধ্যে ৯৯তম।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক আটলান্টিক কাউন্সিলের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল ঢাকায় একটি হোটেলে আয়োজিত সমৃদ্ধি ও সুশাসনবিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি ও দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, প্রত্যেক দেশ দুর্নীতি দমন এবং অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত রাখার লড়াই করছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো, সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া নয়, বরং সক্রিয়ভাবে স্বীকার এবং মোকাবেলা করা।
অনুষ্ঠানে সরকার, নাগরিক সমাজ, ব্যবসায়ী, দাতা সংস্থা, একাডেমিয়া এবং থিংক ট্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। আটলান্টিক কাউন্সিলের ফ্রিডম অ্যান্ড প্রসপারিটি সেন্টারের পরিচালক জোসেফ লেমোইন প্রধান বক্তা ছিলেন। তিনি প্রতিবেদনের ফল তুলে ধরেন।

স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধি সূচকের মধ্যে দু’টি আলাদা সূচক রয়েছে, যা বিশ্বের ১৬৪টি দেশের স্বাধীনতা এবং সমৃদ্ধির ধরন অনুযায়ী ক্রম বা অবস্থান নির্ধারণ করেছে। স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বাধীনতা বঞ্চিত’ ক্যাটাগরিতে। সমৃদ্ধি সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অসমৃদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে।
মূল উপস্থাপনায় লেমোইন বলেন, উপাত্ত বলছে, যেসব দেশে বেশি স্বাধীনতা রয়েছে, সেসব দেশে অধিকতর সমৃদ্ধিও দেখা যায়। অন্যদিকে যেসব দেশে কম স্বাধীনতা রয়েছে, সেখানে কম সমৃদ্ধি থাকার প্রবণতা রয়েছে। যেসব দেশ শক্তিশালী আইনি ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকে উৎসাহিত করে, তারা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বেশি মাত্রায় আকর্ষণ করতে পারে। এসব দেশ স্বাধীনতা সূচকে পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি বিদেশী বিনিয়োগ পায়। সামগ্রিকভাবে স্বাধীনতা সূচক সুপারিশ করে যে, স্বাধীনতার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের মূল অনুষঙ্গ।

 

 

 


আরো সংবাদ



premium cement