১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

তিন দেশ সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী

-


বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের সভায় যোগ দিতে তিন দেশ সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৪ এপ্রিল থেকে তিনি ধারাবাহিকভাবে থাইল্যান্ড, সৌদি আরব ও গাম্বিয়া যাবেন। এরপর ৭ মে ঢাকা ফিরে আসবেন।
ইউএনএসকাপ কমিশনের ৮০তম সভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক যাবেন। এই সফরটিতে দ্বিপক্ষীয় উপাদানও থাকবে। এ সময় কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ অন্তত ১০টি চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বিশেষ বৈঠকে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী ২৮ এপ্রিল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ যাবেন। সৌদি আরবে তিনি পাঁচ দিন অবস্থান করবেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় কোনো বৈঠক বা চুক্তি হবে কি না তা জানা যায়নি।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ৩ মে গাম্বিয়া যাবেন। ওআইসি সম্মেলনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের নিরাপত্তাবাহিনীর হামলা, বিপুলসংখ্যক বেসামরিক মানুষ হতাহত ও মানবিক সহায়তা প্রাধান্য পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এসব সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের বৈঠক হতে পারে। সফরগুলোকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ ছাড়া জুনে ভারত এবং জুলাইতে চীনে দ্বিপক্ষীয় সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। জুনের প্রথম সপ্তাহে ভারতে সরকার গঠনের পর দিল্লি সফর নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। অন্য দিকে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বেইজিং সফরে যেতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জুলাইয়ে চীন সফরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর : ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইসরাইল ফিলিস্তিনে নিরীহ নারী-শিশু ও সাধারণ মানুষ হত্যার পর এখন পশ্চিমা বিশ্বের ত্রাণকর্মীদের ওপর প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতা, নৃশংসতা ও মানুষ হত্যার মহোৎসব যেন থামছেই না। এটি কল্পনারও বাইরে।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সদ্য মরহুম সাংবাদিক ও অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের স্মরণসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। গত বুধবার ইসরাইলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ডের নাগরিকসহ সাতজন ত্রাণকর্মী নিহতের ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চান।
হাছান মাহমুদ বলেন, ইসরাইল জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকেও তোয়াক্কা করছে না। আমি আশা করব, এই ঘটনার পর পশ্চিমা বিশ্বের বোধোদয় হবে এবং তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেকোনো যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা ফিলিস্তিনিদের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিন সঙ্কট নিরসনে আমরা দুই রাষ্ট্র সমাধানে বিশ্বাস করি। ১৯৬৭ সালের সীমানার ভিত্তিতে পূর্ব জেরুসালেমকে রাজধানী করে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ফিলিস্তিনে স্থায়ী শান্তি স্থাপন করা সম্ভব। এর আগে স্মরণসভায় হাছান মাহমুদ সম্প্রতি ঢাকার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন নেতা ও সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান শামীমের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভবনে অগ্নিনির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের অবদানের কথা তুলে ধরেন।


আরো সংবাদ



premium cement