সরকার জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চক্রান্ত করছে : মির্জা ফখরুল

সরকার জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এই অভিযোগ করেন।
ইফতার মাহফিলে তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তার জন্য দোয়া করবেন। তিনি যেন সুস্থ হয়ে উঠেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে পরিকল্পিতভাবে চক্রান্ত চলছে জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য। এই চক্রান্তের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে ভুল ধারণা দেয়া। যে মানুষকে মহাপুরুষ বলা যেতে পারে, যার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হলো- রণাঙ্গনে যিনি যুদ্ধ করলেন সেই মানুষটিকে এখন পাকিস্তানের অনুচর হিসেবে বলার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য তথ্যভিত্তিক উপাত্ত তুলে ধরে অপপ্রচারের কাউন্টার করতে হবে।
জিয়াউর রহমানের কাজগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে বুকলেটস, বই তৈরি করে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শও দেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, আজকে দেশে উন্নয়নের গান গায় সরকার। এই উন্নয়ন তো প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। তিনি স্বল্প সময়ে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন।
ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমান লন্ডন থেকে এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন।
জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। জেডআরএফের ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ব্যারিস্টার মীর হেলালের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ড. সদরুল আমিন, বিএফইউজের মহাসচিব ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী, ড্যাবের সভাপতি ডা: হারুন আল রশিদ প্রমুখ।
রাজনীতিক ও পেশাজীবীদের মধ্যে ইফতারে উপস্থিত ছিলেন- এ এস এম আবদুল হালিম, কবি আবদুল হাই শিকদার, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ডা: পারভেজ রেজা কাকন, হেলেন জেরিন খান, আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নাছির উদ্দিন নাছির, প্রকৌশলী মো: মোস্তাফা-ই জামান সেলিম, মাহবুব আলম, এ কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নু, প্রকৌশলী আইয়ুব হোসেন মুকুল, ডা: সিরাজ উদ্দীন, ডা: মো: আবদুস সালাম, ডা: রফিকুস সালেহীন, ডা: জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা: মো: মেহেদী হাসান, ডা: এ এস হায়দার পারভেজ, ডা: সৈয়দা তাজনিন ওয়ারিস সিমকী, ডা: মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা: মাসুদ আক্তার জীতু, ডা: শাহ মুহাম্মদ আমানউল্লাহ, ডা: মো: আনোয়ারুল হক, ডা: সাজিদ ইমতিয়াজ, ডা: রাকিবুল ইসলাম আকাশ, ডা: তানজিম রুবাইয়্যাত আফিফ, ব্যারিস্টার সৈয়দ ইজাজ কবির, আশরাফ জালাল মনন, অধ্যাপক ড. মো: আবদুর রশিদ, ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেসানী, অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, ড. শেখ মনির উদ্দিন, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, শফিউল আলম দিদার, বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাংবাদিক নেতা মোস্তফা কামাল মজুমদার, কামাল উদ্দিন সবুজ, সৈয়দ আবদাল আহমদ, ইলিয়াস খান, মো: শহিদুল ইসলাম, মো: খুরশীদ আলম, আমিরুল ইসলাম কাগজী, সরদার ফরিদ, মুরসালিন নোমানী, ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদেরকে শক্তিশালী হতে হবে। আরো তীব্রতর আন্দোলন করতে হবে যতদিন পর্যন্ত না লক্ষ্য আদায় হয়। খালেদা জিয়া সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। সেবা পাওয়ার মৌলিক অধিকার থেকে তিনি বঞ্চিত। যিনি গণতন্ত্র রক্ষায় আজীবন লড়াই করছেন। তিনি বলেন, আমরা ভোট বর্জন করেছি। এবার ভারতীয় পণ্য বর্জন করতে হবে। আসুন ভারতের নিকৃষ্টতম পণ্য আওয়ামী লীগকে বর্জন করি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, এ দেশ এখন ঘোর দুর্দিন অতিক্রম করছে। সত্যকে সত্য বলা যায় না। রাষ্ট্র যেটা সত্য বলে সেটিই মানতে হবে। তিনি বলেন, একটি বেপরোয়া সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতাসীন হয়ে জনগণের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। গণতন্ত্রের নিয়ম কানুন প্রথা রীতি সব ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। কেউ যাতে কথা বলতে না পারে, প্রতিবাদ না করতে পারে সে ব্যবস্থা কায়েম করেছেন শেখ হাসিনা।