বাংলাদেশে গণতন্ত্র বাস্তবায়ন চেষ্টা অব্যাহত থাকবে : ম্যাথিউ মিলার
বাংলাদেশী আমেরিকানদের ভূমিকা প্রশংসনীয় : লু- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের পররাষ্ট্রনীতির সর্বোচ্চ গুরুত্বের তালিকায় রয়েছে গণতন্ত্রের বিকাশ। বাংলাদেশ সরকারের সাথে সংলাপের সময় এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমরা কথা বলে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রায় সময়ই আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি। বিষয়টা ছিল অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন নিয়ে। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চেয়েছিলাম। বাংলাদেশে অবাধ, পূর্ণাঙ্গ এবং মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মিলার এসব কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাংলাদেশের জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেয়া বিবৃতিতে অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকারের প্রচারে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নেই। এ ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেবে?
সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশী আমেরিকানদের ভূমিকা প্রশংসনীয় : ডোনাল্ড লু
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপনে বাংলাদেশী আমেরিকানদের অবদানের প্রশংসা করে দক্ষিণ ও মধ্য-এশিয়াবিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী আমেরিকানদের বসবাস। তাদের শক্তি এবং কঠোর পরিশ্রম আমাদের দু’টি মহান জাতির মধ্যে সম্পর্কের ভিত্তি রচনা করেছে। বাংলাদেশী আমেরিকানরা দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারে যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার জন্য আমরা গর্বিত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ডোনাল্ড লু এসব কথা বলেন। দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
ডোনাল্ড লু বাংলাদেশী আমেরিকান উদ্যোক্তাদের কথা উল্লেখ করেন, যারা তাদের অনন্য উদ্ভাবনী শক্তি ও ধারণার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছেন। ‘শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ, জয় বাংলা’ বলে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।
রাষ্ট্রদূত ইমরান মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশে ও বিদেশে বসবাসরত সব বাংলাদেশীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারিত্বকে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকেই উন্নয়ন অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের চমৎকার বোঝাপড়া ও সহযোগিতা বিরাজ করছে। একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি, দুই দেশ তাদের মধ্যকার সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী ও এগিয়ে নিতে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করতে সক্ষম হবে।
পরে অতিথিদের উপস্থিতিতে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত যৌথভাবে কেক কাটেন। এর আগে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্য দিয়ে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়নের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ম্যাট্রিক্স বদলে যাচ্ছে : ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মিনাক্ষি লেখি বলেছেন, আগরতলা-আখাউড়া রেল সংযোগ স্থাপন, চট্টগ্রাম বা মংলা বন্দরের মাধ্যমে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাথে সংযোগ কিংবা শিলিগুড়ি-পার্বতীপুর জ্বালানি পাইপলাইনের মতো প্রকল্পগুলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ম্যাট্রিক্সটাকে আমূল বদলে দিয়েছে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সংবর্ধনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান।
সম্প্রতি ভারত ২০৪৭ সালের মধ্যে নিজেদের উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ‘বিকশিত ভারত’ এর উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। আর বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গঠনের অঙ্গীকার করেছে। মিনাক্ষি লেখি সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে বলেন, দুই দেশের যে তরুণ প্রজন্মের হাতে এই ‘বিকশিত ভারত’ আর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার ভার, সম্পর্কটাকে এরপর তারাই এগিয়ে নিয়ে যাবে। একাত্তরে যে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল, সেই ব্যাটনটাই এখন দুই দেশের তরুণদের হাতে তুলে নিতে হবে। হাইকমিশনার মুস্তাফিজুর রহমান কৃতজ্ঞচিত্তে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারতীয় সেনাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, তাদের সেই আত্মত্যাগ আর রক্ত ঝরানোর ইতিহাসকে বুকে করেই এগিয়ে যাচ্ছে দুই দেশের সম্পর্ক।
বাঙালি আত্মমর্যাদাশীল জাতি : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আমরা স্বাধীনতার ৫৩তম বর্ষ উদযাপন করছি। আজ সমগ্র বিশ্বে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে আমরা মাথা উঁচু করে চলছি।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন। স্পিকার বলেন, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ ২৪ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান, বিভিন্ন দেশের মিশন প্রধান, সুইজারল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশী ও দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা