০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোক রোধের দ্বারপ্রান্তে বিজ্ঞানীরা

-


নতুন ওষুধে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোক আর হবে না। এই দুটি কিলার ডিজিজ রোধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। আর এটা হবে ওষুধ প্রয়োগ করে। এই ওষুধের মধ্যে এমন কিছু থাকবে যা এই দু’টি রোগের জন্য দায়ী ডিএনএকে পরিবর্তন করে দেবে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোকের জন্য দায়ী কলেস্টোরলের উৎপাদন বাধাপ্রাপ্ত হলে মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ কমে যাবে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোকে ভোগে মানুষ। ডিএনএ স্থায়ীভাবে পরিবর্তন হওয়ার ফলে সামনের দিনগুলোতে এই দু’টি কিলার ডিজিজে মানুষ সহজে মরবে না। বিশ্বের কয়েক কোটি হৃদরোগীর জন্য এটা একটি সুখবর। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সম্মেলনে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এমন সুখবরই শুনিয়েছেন।
ডিএনএ পরিবর্তনে শরীরে কী ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে তা নিশ্চিত করে বিজ্ঞানীরা না বললেও এই চিকিৎসাটি তাদের জন্য রাখা হবে যাদের জরুরি প্রয়োজন এবং যারা রোগটিতে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নতুন এই ওষুধটি বাজারে এলে স্ট্যাটিন, ব্লাড থিনার (রক্ত পাতলাকরণ) এবং বিটা ব্লকারের মতো হার্ট ডিজিজের ওষুধগুলো অতীত হয়ে যাবে।
লস এঞ্জেলসের কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর কেরল ওয়াটসন নতুন এই ওষুধটি নিয়ে বলেন, এই ওষুধটি কতোটা বৈপ্লবিক হবে এটা সম্বন্ধে খুব বেশি জোর দিতে পারছি না। তবে এটা বলতে পারি যে, আমরা নতুন থেরাপিউটিক কৌশল, ওষুধের নতুন মলিকিউল এবং ওষুধ তৈরির নতুন কৌশলের যুগে প্রবেশ করছি। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও আমরা এ বিষয়ে কেবল স্বপ্ন দেখতে পারতাম, তবে আমার মনে হয় না যে আমার জীবদ্দশায় এটা দেখতে পাব।’

ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের কার্ডিওলজির শীর্ষ গবেষক প্রফেসর টিম চিকো বলেন, যদি রোগ হওয়ার আগেই ওষুধটি প্রয়োগ করা হয় তাহলে আশা করা যায়, এর মাধ্যমে হৃদরোগ আরোগ্য লাভ করবে। তবে এটা খুব তাড়াতাড়ি চলে আসবে বলে মনে হয় না।
উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের হাসপাতালগুলোতে প্রতি বছর ১ লাখ মানুষ হার্ট অ্যাটাক নিয়ে ভর্তি হন। বাংলাদেশে প্রতি বছর দুই লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হার্ট অ্যাটাকে মারা যায়। এই হিসেবে প্রতি দুই মিনিটে একজন মারা যাচ্ছে হার্ট অ্যাটাকে। অন্য একটা হিসেবে বাংলাদেশে মোট মৃত্যুর ৩৪ শতাংশই হয়ে থাকে হার্ট অ্যাটাকে। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে প্রতি সাতজনে একজন হার্ট অ্যাটাক হলেও শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে যান। মেইল অনলাইনে গত ১৮ নভেম্বর এ সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এদিকে বিজ্ঞানীরা আরেকটি ওষুধ পরীক্ষা করে দেখছেন। সেটা হলো-একটি প্রধান জিন পরিবর্তনের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনা এবং এই ওষুধটি আনতে পারলে ২০ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যাবে। আরেকটি ওষুধের (ভিইআরভিই-১০১) সিঙ্গেল ডোজে লিভারের ডিএনএ কোষে পরিবর্তন এনে এলডিএল (ক্ষতিকর) কোলেস্টেরল অর্ধেক কমিয়ে দেবে। এটা এ সংক্রান্ত দ্বিতীয় পরীক্ষাধীন ওষুধ।


আরো সংবাদ



premium cement
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন : তাজুল ইসলাম চিফ প্রসিকিউটর আবুধাবির কারাগার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪ বীর কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা : কনস্টেবল গ্রেফতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক : ফখরুল ‘একটি চক্র জামায়াত আমিরের বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে’ অস্ত্র জমা দেয়নি শামীম ওসমান ও গাজী পরিবার এবি পার্টির উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া নিয়ে বিতর্কে মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ আশুলিয়ায় শ্রমিক দলের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ রূপগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা না দেয়া ডাক্তারদের সনদ বাতিলের দাবি ড্যাবের

সকল