মার্কিন ভিসানীতিকে সরকার ভয় পায় না : কাদের

মার্কিন ভিসানীতিকে আওয়ামী লীগ সরকার ভয় পায় না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। অপকর্ম করলে বিএনপিকে এর মূল্য দিতে হবে।
গতকাল বিকেলে রাজধানীর খিলক্ষেতে নিকুঞ্জমাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতে ইসলামীর প্রকাশ্যে সমাবেশের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জামায়াতকে মাঠে নামিয়েছে তাদের মুরব্বি বিএনপি। এর মানে দলটি আগুন সন্ত্রাস ও ভাঙচুরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাইলে বিএনপির মাথা থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও পার্লামেন্টের বিলুপ্তি- এই তিন ভূত নামাতে হবে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাথে দুবার প্রতারণা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তো তাদের ডাকছি না। সাধিলে আবার খাইব। তত্ত্বাবধায়ক মানলে, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে, পার্লামেন্ট বিলুপ্ত করলে কার সাথে বসবে? বাতাসের সাথে সংলাপ করবে সরকার পদত্যাগ করলে? মির্জা ফখরুল অবান্তর কথা বলে যাচ্ছেন। এ সময় তার কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি সমাবেশের নামে পিকনিক পার্টি করে এ কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আবার পদযাত্রা করবে। তাদের শরিক হলো ৫২ দল। ভিতরে ভিতরে অনেকেই ভেগে গেছে। এখন কত দলের জগাখিচুড়ি ঐক্য। যে ঐক্যে নেতা নেই, মানুষ নেই- সে আন্দোলন গণ আন্দোলনে রূপ নিবে না। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনে নেতা লাগে। বিএনপির দুই নেতাই দণ্ডিত। একজন হাসপাতালে, একজন পালিয়ে লন্ডনে। প্রতিদিন সেখান থেকে অনলাইনে ফরমায়েশ দিচ্ছে। আদালতের রায় না মেনে টেমস নদীর ওপার থেকে ফরমায়েশ পাঠাচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণআন্দোলন চাইলে, গণআন্দোলনের ঢেউ চাইলে সৎ সাহস থাকলে আসুন, রাজপথে আসুন, মোকাবিলা হবে- কে হারে, কে জিতে। আমরা মাঠে থাকব, মোকাবিলা করব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ভবিষ্যদ্বাণী করছেন, আওয়ামী লীগ নাকি ১০ ভাগ ভোটও পাবে না। ২০০৮ এর নির্বাচনে তারা বলেছিল আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে না। সে নির্বাচনে তারাই ৩০টি আসন পেয়েছে। বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতই যদি বুকে বল নির্বাচনে আসেন, খেলা হবে। আসেন খেলার মাঠে। খেলার মাঠে না এসে ফাউল শুরু করেছেন, লাফালাফি বন্ধ হয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ খেলার মতো খেলতে নামলে আপনাদের পালানোর পথ থাকবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।