২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`
১০ বছর পর প্রকাশ্যে শোডাউন করল জামায়াত

সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক আনুন, না হলে কঠোর আন্দোলন

রাজধানীতে জামায়াতের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মো: তাহের : নয়া দিগন্ত -


প্রায় ১০ বছর পর প্রকাশ্যে বড় ধরনের শোডাউন করল জামায়াতে ইসলামী। গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আমিরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও আলেম-উলামার মুক্তি এবং নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে’ এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বেলা ২টায় সমাবেশ শুরুর সময় নির্ধারণ করলেও সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা কর্মসূচিস্থলে আসতে থাকেন। দুপুর ১২টার মধ্যেই মূল মিলনায়তন কানায় কানায় ভর্তি হয়ে বাইরের চত্বর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রমনা এলাকা। নেতাকর্মীরা ‘লিল্লাহি তাকবির, আল্লাহু আকবর’, জামায়াত ইসলামী জিন্দাবাদ, এ মুহূর্তে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ নানা স্লোগান দেন। নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগানও দেন তারা। সময় বাড়ার সাথে সমাবেশে নেতাকর্মীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে নেতাকর্মীরা সড়কে অবস্থান নেন। মৎস্যভবন মোড় থেকে শাহবাগগামী সড়কের দু’পাশেই নেতাকর্মী জড়ো হওয়ায় শেষমেশ পুলিশ ওই সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সমাবেশ শেষ হয়। এর মধ্যে বৃষ্টি নামলেও রাস্তার মধ্যে বৃষ্টিতে ভিজে অবস্থান করেন নেতাকর্মীরা।

জামায়াতে ইসলামী ২০১৩ সালের ৪ মার্চ সর্বশেষ মতিঝিলের শাপলা চত্বরে বড় সমাবেশ করেছিল। এর পর থেকে পুলিশের অনুমতি না মেলায় রাজপথে সমাবেশ করতে পারেনি তারা। তবে ঘরোয়া কর্মসূচি অব্যাহত ছিল তাদের। এরপর প্রকাশ্যে আসতে গত ৫ জুন বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশের ডাক দেয়। কিন্তু পুলিশের অনুমতি না মেলায় ফের গতকাল একই স্থানে কর্মসূচি দিয়েছিল তারা। কিন্তু সেখানেও অনুমতি দেয়নি পুলিশ। পরে আগের রাতে রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশের অনুমতি দেয় পুলিশ। এ দিকে সমাবেশে অংশ নিয়ে জামায়াত নেতারা নির্দলীয় সরকারের দাবি আগামীতে আন্দোলন আরো জোরদার করা হবে জানিয়ে তাদের কেন্দ্রসহ সব জেলা-উপজেলা অফিস খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক পুনর্বহাল, নেতাদের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন। সমাবেশ ঘিরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনের আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন। সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ ও সাংবাদিকদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ছাত্রশিবিরের নেতকার্মীরা।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষ হওয়ার প্রধান শর্ত হলো নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার। এ ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না, হয় না। এ জন্য প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। নির্বাচনের আগে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের একটি বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বলে থাকেন- বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর কোথাও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই। এখন আমি তাকে বলব আপনি আমাদের দেখান কোন দেশে আগের রাতে ভোট হয়ে যায়? অর্ধেক এমপি ভোটের আগেই নির্বাচিত হয়ে যায়? আওয়ামী লীগের লজ্জা থাকা উচিত; কিন্তু তাদের তা নেই। তারা চোখ খোলা রেখে মিথ্যা কথা বলেন। এটা জাতির জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের। কেয়ারটেকার সরকার আমরা কেন চাই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, বেশি বলতে চাই না। এটাই বলব, আগামী নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে হবে ইনশা আল্লøাহ। এবার আর ২০১৪, ’১৮-এ মতো করতে পারবেন না। অবিলম্বে আমাদের আমির ডা: শফিকুর রহমান, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তি দিন। নাহলে আপনারা পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না। উত্তপ্ত হবে আরো। তত্ত্বাবধায়কের দাবি আদায়ে যত আন্দোলন, যা করার এবার করা হবে।

ডা: তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী নিজ থেকে কোনো সঙ্ঘাত, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায় না। জামায়াত সন্ত্রাস, নাশকতা, হামলা, বিশৃঙ্খলা, সংঘর্ষে বিশ্বাস করে না। জামায়াতে ইসলামী শান্তিতে বিশ্বাসী। সেভাবে তারা দল গঠন করেছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ অন্য দলের লোকদের জামায়াত সম্পর্কে পড়া ও জানার অনুরোধ করব, মেহেরবানি করে আপনারা জামায়াত সম্পর্কে জানুন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তৃতীয় দল।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, অনেকে দেশকে সোনার দেশ গড়তে চেয়েছিল; কিন্তু সেই লোকের অভাব ছিল। এ জন্য আমরা দেশের মধ্যে একটি ছাত্রসংগঠন গড়েছি। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন- আমাদের ছেলেরা কি কোনো মেয়ের ওড়না ধরে টান দিয়েছিল কখনো? বলতে পারবেন কি? তাদের হাতে কোনো গাঁজা, মদ দেখেছেন? তারা দেশের স্মার্ট তরুণ। এটি আকাশ থেকে পড়েছে বা জন্ম থেকে হয়েছে? না, এটি স্মার্ট তরুণ তৈরির কারখানা, সেই কারখানা বা দলের নাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অথচ যারা ক্ষমতায় তাদের ছেলেদের কথা তো আপনারাই জানেন! তাদের ধর্ষণের কথা, সেঞ্চুরির কথা!

ডিএমপিকে ধন্যবাদ জানিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি এটা আপনারা করতে চান না। আপনাদের বাধ্য করা হয় জুলুম করতে। তাহলে আমাদের সহযোগিতা করুন। এদেরকে বিদায় করে দেশের এ অবস্থা পরিবর্তন হোক। তাহলে তো আর কিছু লাগে না। এই মাসের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমানের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান দলটির প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ। ভারপ্রাপ্ত আমির তার বক্তব্যে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর অন্যতম হলো- কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে অবিলম্বে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, অবিলম্বে আটক জামায়াতের আমির ডা: শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীসহ সব নেতাকর্মী ও আলেম ওলামাকে মুক্তি দিতে হবে, অবিলম্বে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা-মহানগরীর সব কার্যালয় খুলে দিতে হবে, সংবিধান স্বীকৃত মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে ইত্যাদি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি ও জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, হামলা দিয়ে, জুলুম করে এ দেশের মানুষের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে পারবেন না। সংবিধান সভা সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু ডিএমপির অ্যাক্টে মিছিল মিটিং করতে তাদের অনুমতি নিতে হবে। এটি হতে পারে না। সংবিধানে যা নেই তা অ্যাক্টে থাকতে পারে না। এটি অসাংবিধানিক। এটি সংশোধন করুন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে কখনো গণতন্ত্র ঠিক থাকে না। আওয়ামী লীগ মানুষের ওপর জুলুম করে, অধিকার কেড়ে নেয়। ১৩ সালে সমাবেশ করেছিলাম, আবার ১০ বছর পর অনুমতি দিয়েছেন, কিন্তু ঘরের মধ্যে আটকে রেখেছেন। আমরা চেয়েছিলাম রাজপথে সমাবেশ করব। তা আপনারা করতে দেননি। তিনি আরো বলেন, আপনাদের অধীনে দু’টি নির্বাচন করেছেন। প্রতারণা করে ক্ষমতায় বসে আছেন। লজ্জা থাকলে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে নির্বাচন দিতেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জামায়াত ইসলামীকে সব সময় সন্ত্রাসী দল হিসেবে প্রচার করে সরকার। আজ কী দেখলেন, জামায়াত ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল দল। কোনো কর্মসূচিতে জামায়াত ইসলামী কোনো কর্মী একটি ঢিল পর্যন্ত ছুড়ে মারেনি। এগুলো হচ্ছে- আওয়ামী লীগের নেতাদের কাজ। তারাই করে থাকে। তিনি বলেন, জামায়াত ইসলামী জাতীয় সংসদ প্রতিনিধিত্ব করেছে, অথচ সেই দলের নেতাকর্মীদের আপনারা সন্ত্রাসী বলে থাকেন। আপনারা আমাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দিবেন, অথচ আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারব না। এ অধিকারটুকু আপনারা কেড়ে নিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের ১৯৯৫ সালে একটি সভায় বলেছিলেন, আজীবনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাই, স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কি সে কথা রেখেছেন। তিনি কোনো কথা রাখেননি। ’১৪ ও ’১৮ সালে আপনারা বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। অনেক এলাকার কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। তিনি বলেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করে তার পর রাজপথ ছাড়ব। আমরা আমাদের নেতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি চাই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কোন অজুহাতে অনিবন্ধিত দল বলা হয়? আদালতের রায় শেষ না হওয়ায় পর্যন্ত জামায়াতের নিবন্ধন আছে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট সংশোধন করতে হবে। সেখানে জামায়াতের নাম রাখতে হবে। আর কোনো নাটক করবেন না। ভিসানীতির জন্য জামায়াত বেরিয়ে আসেনি। এটি তো প্রধানমন্ত্রীর জন্য, এটি সরকারের জন্য। এই ভিসানীতি পেয়ে তারাই আতঙ্কে আছে। তিনি বলেন, স্বৈরাচার আইয়ুব খান বিরোধী আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ও জামায়াতের ইসলামীর আমির আবুল আ’লা মওদূদী এক টেবিলে বসেছিলেন। ১৯৯১ সালে যেভাবে নির্বাচন হয়েছে ২০২৪ সালে সেভাবে নির্বাচন হবে ইনশা আল্লাহ। দ্বীন ইসলাম প্রতিষ্ঠার কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের প্রতি যে অন্যায়, জুলুম, অবিচার করেছে। তা ইসলামের রাজপথ কায়েমের মধ্য দিয়ে প্রতিশোধ নেয়া হবে ইনশা আল্লাহ।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন বলেন, আমরা মনে করি বিদেশীদের চাপে সরকারের পতন হবে না, এ জন্য আন্দোলন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা তিন দফা দাবি নিয়ে আজকের সমাবেশ করেছি। সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করে আবারো প্রমাণ হয়েছে জামায়াত একটি সুশৃঙ্খল দল। আগামীতেও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নেতাকর্মীদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিরোধ এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ কর্মসূচিতে আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমির আবদুর রহমান মুসা বলেন, আমাদের নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারকে এ দাবি মেনে নিয়ে অবিলম্বে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামীর যে নিবন্ধন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে তা ফিরিয়ে দিতে হবে। ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরিয়ে দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে অন্যায়ভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। ১০ বছর পর আজকে আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আমরা অন্য রাজনৈতিক দলের মতো সভা-সমাবেশ করতে চাই। জামায়াতের কার্যালয় খুলে দিতে হবে। নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে; অন্যথায় রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে সবাইকে নিয়ে দাবি আদায় করা হবে।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালায় সমাবেশে আরো বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ড. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলওয়ার হোসাইন, কামাল হোসাইন, ড. আবদুল মান্নান প্রমুখ।

 


আরো সংবাদ



premium cement