২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

নিরপেক্ষ সরকারের শর্ত নিয়ে বিএনপির সাথে সংলাপ হবে না : কাদের

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের : নয়া দিগন্ত -


নিরপেক্ষ সরকারের শর্ত নিয়ে বিএনপির সাথে কোনো সংলাপ হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, গতবারের নির্বাচনের আগের কথা আমাদের মনে আছে; একবার নয়, দু’বার তাদের সাথে সংলাপে বসেছি। রেজাল্ট কী? কোনো লাভ হয়নি। নিরপেক্ষ সরকারের শর্ত নিয়ে তাদের সাথে কোনো সংলাপ হবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ‘নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার নিশ্চিত ছাড়া সংলাপ নয়’ মির্জা ফখরুলেল এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেবের জিহ্বায় পানি আসছে। মনে করছেন ঠিকই আওয়ামী লীগ তাদের সংলাপে ডাকবে। ওই সংলাপের কথা আমরা ভাবছি না। আপনার নেত্রী বলছে শিশু আর পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। আপনি শিশু আর পাগলের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিরপেক্ষ ব্যক্তি খুঁজে বের করুন। তার পর দেখা যাবে। এ সময় তিনি দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর ফিরে আসবে না উল্লেখ করে বিএনপিকে মন খারাপ না করার পরামর্শ দেন।

মার্কিন ভিসানীতি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে। তারা নিজেরাই ‘ফাঁদে পড়ে কান্দে’। এখন তারা নালিশ করে নিষেধাজ্ঞার পরিবর্তে পেয়েছে ভিসানীতি। তিনি বলেন, এই ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কাকে ভিসা দেবে, কাকে দেবে না, সেটি সেই দেশের ব্যাপার। আমরাও আমাদের দেশে কাকে ভিসা দেবো, কাকে দেবো না, সেটাও আমাদের ব্যাপার। এ নিয়ে ভয় পাওয়ার কী আছে। নির্বাচনে যারা বিশৃঙ্খলা করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। বিশৃঙ্খলা করতে চায় কারা? তারা হলো বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীগের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আওয়ামী লীগ নয়, তা বাতিল করেছে সর্বোচ্চ আদালত। সংবিধান আছে, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন আছে, তাই নির্বাচন নিয়ে চিন্তার কারণ নেই। বিদেশী বন্ধুরা চায় সুষ্ঠু নির্বাচন, আমরাও সেটাই করব। বিএনপি চায় সংসদ ভেঙে দিতে, পৃথিবীর কোথাও যা হয় না, তারা সেটিই চায়। তারা চায় সরকারের পতন। তিনি আরো বলেন, আমাদের শপথ আবার নিতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে, নির্বাচন গিলে খেয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ গিলে খেয়েছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। বিএনপি ক্ষমতা ফিরে পেলে গোটা দেশ গিলে খাবে।

এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেতা কই। অনলাইনে কোনো অভ্যুত্থান হবে না। অনলাইনে জনগণ কারো কথায় আন্দোলন করবে না। সৎ সাহস যদি থাকে জেল খাটার জন্য প্রস্তুত হন। রাজপথে এসে সংগ্রাম করে আন্দোলন করে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন। সৎ সাহস নেই, তাই পালিয়ে আছেন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবির, সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement