২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯ আশ্বিন ১৪৩০, ০৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি
`

সঙ্ঘাত-অশান্তি চাই না, মানুষের উন্নতি চাই : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছেন : পিআইডি -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি পুরস্কার (জুলিও কুরি শান্তি পদক) পেয়েছেন, শান্তির বাণী শুনিয়েছেন। কিন্তু তাকে জীবনটা দিতে হয়েছে। আমরা আর অশান্তি চাই না, সঙ্ঘাতও চাই না। শান্তি চাই, মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি চাই।’
গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি শান্তি পদকপ্রাপ্তির ৫০ বছরপূর্তি’ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাসস, জাগো নিউজ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতাকে হত্যার পর একের পর এক সামরিক অভ্যুত্থান হয়। রাজনৈতিক নেতা, সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাসহ অনেককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এমন অশান্ত পরিবেশে দেশের মানুষকে ২১ বছর কাটাতে হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আমরা প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় এসে উন্নয়নমূলক কাজ করতে শুরু করি। মাঝে আবার বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে। তারা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন, দুর্নীতি, অর্থপাচার করে দেশটাকে খাদের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল।’

বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচনের পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিরাজমান। এজন্যই আজকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। এরপর পরিকল্পিতভাবে দেশের মানুষের উন্নয়ন কাজ করেছি। এজন্য দারিদ্র্যের হার কমাতে পেরেছি। দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। সাক্ষরতার হার বেড়েছে, আয়ুষ্কাল বেড়েছে। মাতৃমৃত্যুহার কমাতে পেরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখন আর ভিক্ষা করে চলবে না। নিজের মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেই আমরা অর্জনগুলো করেছি। আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন হয়েছে; যেহেতু ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ছিল, সেজন্য এ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে। স্থিতিশীল পরিবেশের কারণেই এত অর্জন সম্ভব হয়েছে। শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীল পরিবেশ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির সহায়ক। এ কথাটা সবসময় মনে রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলব। ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার এ অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। এটাই আমাদের আজকের প্রতিজ্ঞা।’
প্রধানমন্ত্রীর সাথে আজমত উল্লাহর সাক্ষাৎ : গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো: আজমত উল্লাহ্ খান গতকাল বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব হাসান জাহিদ তুষার জানান, এ সময় আজমত উল্লাহ তার লেখা দু’টি বই প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন। বই দু’টি হচ্ছে-‘রাজনীতির মহাকবি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এবং ‘বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বগুণ আদর্শ ব্যক্তি ও জাতি গঠনে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত’।

 


আরো সংবাদ



premium cement
৬ থেকে ৭ মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে : ইসরাইল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিসা নীতিতে কাকে নিষিদ্ধ করেছে জানি না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে বাংলাদেশী কারীর আজান-মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর খুতবায় নিউইয়র্ক সেন্টারে জুমার নামাজ বিপিএলে উপেক্ষিত মুমিনুল, মুনিম, সাব্বির ড্রাফট শেষে কেমন হলো বিপিএলের দলগুলো নয়াপল্টনে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু পাথরঘাটায় অটোরিকশাচাপায় শিশু নিহত তথ্য অধিকার আইন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ

সকল