২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`

শামসুজ্জামানের বাসায় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ

-


কারান্তরীণ প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি শামসুজ্জামান শামসের বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে সহমর্মিতা জানিয়েছেন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সদস্যসচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল শামসুজ্জামানের বাসায় যান।
তারা শামসুজ্জামানের মা করিমন নেসার সাথে দেখা করে পরিবারের সদস্যদের সার্বিক খোঁজখবর নেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পেশাজীবী নেতা প্রফেসর ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আলম আকন্দ, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লবউজ্জামান বিপ্লব। পেশাজীবী নেতাদের পেয়ে শামসুজ্জামানের মা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।


কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলের কি অপরাধ? তাকে কেন এভাবে ধরে নিয়ে গেল? শামসকে বললে সে নিজেই থানায় চলে যেত। ৩৫ ঘণ্টা তো আমরা তার খোঁজই পাইনি! তাহলে কি সত্য লেখা যাবে না? ছেলেকে অনেকবার বলেছি, বাবা লেখালেখি ছেড়ে দাও। আমার শামস বলে তো, মা আমি তো অসত্য লেখি না। সত্য লিখার জন্য যদি আঘাত আসে আসুক, তারপরও লিখে যাব। বুক চাপড়াতে চাপড়াতে করিমন নেসা বলেন, আমি আমার এক সন্তানকে হারিয়েছি। আরেক সন্তানকে হারাতে চাই না। আপনারা আমার সন্তানকে এনে দিন। শামসের মুক্তির জন্য দেশের বিভিন্ন সংগঠন ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিবৃতি দেয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা জানান।
এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, সরকারের আমলে গণমাধ্যম কর্মীদের শঙ্কা ও ভয়ের মধ্যে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাই তারা এখন সত্য তুলে ধরতে পারছেন না। তাদেরকে এখন সেলফ সেন্সরশিপ করতে হচ্ছে।


পাশাপাশি সরকারের সমালোচনা করলে রোষানলের শিকার হয়ে বন্ধ করা হচ্ছে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন।সাংবাদিকরা খুন হচ্ছেন, বিচার পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে গণমাধ্যমের যে স্বাধীনতা নেই শামসের গ্রেফতার এবং দৈনিক দিনকাল বন্ধের মাধ্যমে তা আবারো প্রমাণিত হলো।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, দেশে এক ভয়ানক ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম হয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো আজ হরণ করা হয়েছে। ভাষা আছে কিন্তু বাক স্বাধীনতা নেই। গণমাধ্যম আছে, কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। আদালত আছে ন্যায়বিচার নেই। সরকারের দুঃশাসন ও লুটপাটের তথ্য যাতে প্রকাশ করা না যায় সেজন্য সাংবাদিক নির্যাতন এবং একের পর এক গণমাধ্যম বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement