২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

একবেলা না খেয়ে ৩৭ ভাগ নিম্ন আয়ের পরিবার

-

 সানেমের জরিপ
- প্রয়োজনের চেয়ে কম খাচ্ছেন ৭১ ভাগ মানুষ
- ধার করে চলছেন ৭৪ ভাগ নিম্ন আয়ের পরিবার

জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে একবেলা না খেয়ে থাকছে ৩৭ ভাগ নিন্ম আয়ের পরিবার। আবার প্রয়োজনের চেয়ে কম খাচ্ছে ৭১ ভাগ মানুষ। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য। রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে গতকাল বুধবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সানেমের জরিপটি প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপে উল্লেখ করা হয়, গত ছয় মাসে নিন্ম আয়ের মানুষের জীবিকার খরচ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী আয় তো বাড়েইনি, বরং কমেছে। জরিপে অংশ নেয়া পরিবারগুলোর মধ্যে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আছে ৪০ শতাংশ পরিবার। এর মধ্যে বেশির ভাগ আছেন টিসিবির কার্ডধারী। টিসিবির কার্যক্রম গ্রামের তুলনায় শহরে বেশি। জরিপে বলা হয়, প্রয়োজনের তুলনায় খাবার কম খাচ্ছে বলে মনে করে ৭১ শতাংশ পরিবার।
‘উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে কেমন আছেন নিন্ম আয়ের মানুষ?’ এমন প্রশ্ন নিয়ে সারা দেশের ১৬০০ পরিবারের মধ্যে ৯ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত জরিপটি চালায় সানেম। গত ছয় মাসে নিন্ম আয়ের মানুষের জীবন ধারণের খরচ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু সে অনুযায়ী আয় তো বাড়েইনি, বরং কমেছে। জরিপে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে এই ১৬০০ পরিবারের মাসিক আয় গড়ে ৫ টাকা কমে ১৪,০২৫ টাকা হয়েছে। কিন্তু খরচ ১৩ শতাংশ বেড়ে ১৪,৫৬৯ টাকা হয়েছে। খাদ্যে এই খরচ বেড়েছে ১৭ শতাংশ। এর ফলে ৭৪ ভাগ নি¤œ আয়ের পরিবার ধার করে চলছেন।
জরিপের ফলাফল তুলে ধরে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতির অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, ‘নিন্ম আয়ের মানুষ কেমন আছে তার জন্য জরিপ না করেও বলা যায়। এই জরিপে যা উঠে এসেছে তা হয়তো অনেকের জানা। তবে নীতিনির্ধারকদের কাছে বিষয়গুলো পেশাগত দায়িত্বের মধ্য দিয়ে তুলে ধরার জন্য এই প্রয়াস।’
সানেমের গবেষণা অনুযায়ী, সরকারি হিসাবের মূল্যস্ফীতির চেয়ে, নিন্ম আয়ের মানুষ এই চাপ বেশি অনুভব করে।
সেলিম রায়হান বলেন, ‘আমরা জানি বৈশ্বিকভাবে জ্বালানিসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে দেশের বাজার ব্যবস্থার কিছু সমস্যা তো আছেই। এ দিকে দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হয়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ এখন অনেক বেশি।
শুধুমাত্র বৈশ্বিক কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে- এই দাবি নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য শুধু গ্লোবাল সমস্যাই দায়ী নয়। অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাও দায়ী। আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় ইমপারফেকশন রয়েছে।’
আমরা গত কয়েক মাসে ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দেখেছি। প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কঠোর হতে হবে। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে সাথে নিয়েই বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
সানেমের জরিপে দেখা গেছে, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও নিন্ম আয়ের মানুষ ব্যাপকভাবে খরচ কমিয়েছে। পোশাক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শহরের পরিবারগুলো খাবারের খরচে বেশি কাটছাঁট করছে। গ্রামের মানুষ খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে বেশি কাটছাঁট করছে।
সানেমের গবেষণা পরিচালক ড. সায়মা হক বলেন, ‘ঋণ নেয়াকে অনেকে উদ্ধার পাওয়ার প্রক্রিয়া হিসেবে নিয়েছেন। তবে এসব ঋণে সুদের হার অনেক বেশি। তাতে সুদের দুষ্টচক্রের মধ্যে পড়তে পারে এসব মানুষ। আমাদের দেশে বীমা সুবিধা কম, বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো বিষয়ে এসব মানুষ বিনিয়োগ কম করবে। সার্বিকভাবে এসব বিষয় এসডিজির লক্ষ্য পিছিয়ে দেবে।


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল