রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট চেম্বার আদালতেও খারিজ

মো: সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিট আবেদন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতও খারিজ করে দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিটকারী আইনজীবীর আবেদন খারিজ করে দেন।
আর প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে রিট আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে খারিজ হয়ে যাওয়ায় নতুন রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের শপথ গ্রহণসহ পরবর্তী কার্যক্রমে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। মঙ্গলবার আপিল বিভাগে রিট আবেদনকারী আইনজীবীর আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এ তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ জানান, গত ১৫ মার্চ হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে তিনি (এম এ আজিজ খান) আপিল বিভাগে সিএমপি (হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে) ফাইল করেন। আজ চেম্বার জজ আদালতে স্থগিত আবেদন উপস্থাপন করেন তিনি। আবেদনে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত, পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ১৩ ফেব্রুয়ারির গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চান। বাদিপক্ষে এম এ আজিজ খান ও রাষ্ট্রপক্ষে আমাকে শুনে আদালত স্থগিত আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

ফলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কোনো আইনি জটিলতা থাকল না। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনটা বৈধভাবে গণ্য হলো। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রমে শপথ গ্রহণসহ অন্যান্য কার্যক্রমে আর কোনো বাধা রইল না বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী। এর আগে গত ১৫ মার্চ এ নিয়ে করা পৃথক দু’টি রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো: খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো: ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট দুটি খারিজ করেছিলেন। ফলে রাষ্ট্রপতি পদে মো: সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের আবেদন করেন আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
একক প্রার্থী হওয়ায় গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি পদে মো: সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। এ প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
অপরদিকে, রাষ্ট্রপতি পদে মো: সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা-সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনের বৈধতা নিয়ে আবদুল মোমেন চৌধুরী, কে এম জাবিরসহ ছয়জন ১২ মার্চ আরেকটি রিট করেন। পরে দু’টি রিটের ওপর শুনানি শেষে ১৫ মার্চ সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে। নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের ২৪ এপ্রিল থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করার কথা।