পুলিশ, জেল ও জরিমানায় বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ২২ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার ঠিক রাখতে সরবরাহ বাড়িয়ে দেবো। শুধু পুলিশ দিয়ে বা জেল-জরিমানা করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, চলতি মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। তবে এপ্রিল মাস থেকে মূল্যস্ফীতি কমবে। তিনি বলেন, কেউ মজুত রাখলে আমরা সীমান্ত খুলে দেবো। ওপারে মালামাল ট্রাক নিয়ে বসে আছে।
শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংএ এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশে চলতি মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এ সময় চৈত্র মাস, কিছুটা খরা থাকে। এ ছাড়া রমজানের আগে মা-বোনেরা বাড়তি জিনিসপত্র কিনে মজুত রাখেন। এর ফলে সরবরাহ ও মজুতে সমস্যা হয়। তবে আগামী এপ্রিল মাস থেকে এসব সমস্যা থাকবে না। এপ্রিলে মূল্যস্ফীতিও কমবে।
তিনি বলেন, রমজান সংযমের মাস। মা-চাচীরাও এ সময় মজুতদার হয়ে যান। রমজানে ১০ কেজি চিনি, ৫ কেজি তেল কিনে মজুত রাখেন। ভোক্তাদের এই অতিরিক্ত চাহিদার সুযোগ নেন ব্যবসায়ীরা। তাতে সরবরাহ এবং মজুতেও বড় সমস্যা হয়। মন্ত্রী বলেন, রমজানে খাদ্যপণ্য মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। জানুয়ারিতে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ থেকে ফেব্রুয়ারিতে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। খাদ্য খাতে ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি ৮.১৩ শতাংশ, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৭.৭৬ শতাংশ। এ ছাড়াও, খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমে ৯.৮২ শতাংশ, যা জানুয়ারি মাসে ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। এর আগে গত বছরের আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। মূল্যস্ফীতির ওই হার ছিল গত ১১ বছর ৯ মাসের (১৪৪ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। ২০১১ সালের মে মাসের পর মূল্যস্ফীতি আর কখনো ৯ শতাংশের বেশি হয়নি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা