১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে নিহত সাড়ে ৫ হাজার ছাড়াল

সিরিয়ার জানদারিস শহরে ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকেপড়া শিশুকে উদ্ধার করছেন স্থানীয়রা : আলজাজিরা -


ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা সাড়ে ৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। ব্যাপক বিপর্যয়ে ত্রাণ প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে, উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লোকজনকে রক্ষা করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। ভূমিকম্প কবলিত অঞ্চলগুলোর অধিকাংশ এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার এমন হতাশাজনক চিত্র দেখা গেছে ।
সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুর্কি শহর আন্তাকিয়ায় ১০ তলা একটি ভবন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জরুরি কর্মীদের উদ্ধারকাজ চালাতে দেখেছেন রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। শহরটিতে বিদ্যুৎ নেই, জ্বালানিও নেই। এর মধ্যে বৃষ্টি পড়তে শুরু করায় তাপমাত্রা নেমে হিমাঙ্কের কাছাকাছি চলে যায়। সোমবার স্থানীয় সময় ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পটিতে তুরস্ক ও প্রতিবেশী সিরিয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এতে বহু অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক ধসে পড়ে, হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং হাজার হাজার মানুষ আহত ও গৃহহীন হয়ে পড়ে।


তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, দেশটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। অপর দিকে সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উদ্ধারকারী পরিষেবাগুলো দেশটিতে নিহতের সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে। ১১ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে সিরিয়া আগে থেকেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, এখন ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের ধাক্কায় পরিস্থিতি আরো নাজুক হয়ে পড়েছে।


তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাওয়ায় রাতে উদ্ধারকাজ অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তারমধ্যেই তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হতাইয়ে একরাশ ধ্বংস্তূপের নিচে আটকা পড়া এক নারীর কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছিল, সাহায্য চেয়ে ডাকছিলেন তিনি। কাছেই প্রাণহীন এক শিশুর দেহ পড়ে আছে। এই নিরাশাজনক পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে দেনিজ বলে পরিচয় দেয়া স্থানীয় এক বাসিন্দা বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন, হতাশায় হাত মোচড়াচ্ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘তারা আওয়াজ করছে, কিন্তু কেউ আসছে না। আমরা ধ্বংস হয়ে গেছি, আমরা ধ্বংস হয়ে গেছি। ও আল্লাহ, তারা ডাকছে। তারা তাদের বাঁচাতে বলছে, কিন্তু আমরা তাদের বাঁচাতে পারছি না। কিভাবে আমরা তাদের বাঁচাব? সকাল থেকে এ পর্যন্ত এখানে কেউ আসেনি।’
এখানে নিজের চার সন্তান নিয়ে গাদাগাদি করে বসে থাকা নেসেত গুলার বলেন, ‘আমরা একটা বিপর্যয়কর অবস্থার মধ্যে আছি। আমরা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত। পরিস্থিতি শোচনীয়।’ আঙ্কারা ‘চতুর্থ মাত্রার বিপদসঙ্কেত’ ঘোষণা করেছে, তাতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছে; কিন্তু তারা জরুরি অবস্থা জারি করেনি। জরুরি অবস্থা জারি করলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামরিক বাহিনী নামাতে হতো।


উদ্ধারকারী পাঠাচ্ছে বিভিন্ন দেশ : শক্তিশালী এ ভূমিকম্পের পর ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে পড়েছে তুরস্ক। দেশটির উদ্ধারকর্মীরা দিনভর তৎপরতা চালিয়েছেন। তবে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে উদ্ধার তৎপরতায় গতি আনতে বিশ্ব-সম্প্রদায়ের সহায়তা চেয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান। এতে ব্যাপক সাড়াও মিলেছে। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, হাঙ্গেরি, সুইজারল্যান্ডের মতো দেশের পাশাপাশি বিরোধপূর্ণ পাশের রাষ্ট্র গ্রিসও দুর্দিনে তুরস্ককে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে তুরস্কের উদ্দেশে রওনা করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।


এ ছাড়া চিকিৎসক দল, ধসে পড়া ভবনের নিচে চাপা পড়া মানুষদের উদ্ধারে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াডও পাঠিয়েছে দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতারও সবধরনের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি উদ্ধারকারী দল তুরস্কের উদ্দেশে রওনা করেছে। এ দলে ৭০ সদস্য রয়েছেন। জার্মানির একটি বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দল তুরস্কের উদ্দেশে রওনা করেছে। সোমবার রাতে বন এয়ারপোর্ট থেকে এ টিম তুরস্কের উদ্দেশে রওনা করে। প্রায় একই সময়ে সুইজারল্যান্ডের একটি বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দল ও ডগ স্কোয়াড টিম জুরিখ বিমানবন্দর থেকে তুরস্কের উদ্দেশে রওনা করেছে। ৫০ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দলকে তুরস্কে পাঠিয়েছে হাঙ্গেরি। তাদের সাথেও রয়েছে একটি বিশেষ ডগ স্কোয়াড। সোমবার রাতে বুদাপেস্ট বিমানবন্দর থেকে এ উদ্ধারকারী দল তুরস্কে যাত্রা করে। তুরস্কের প্রতিবেশী রাষ্ট্র গ্রিসও একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনীর একটি বিমানে করে উদ্ধারকারী দল তুরস্কে পৌঁছে। ব্রিটেন ৭৬ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ উদ্ধারকারী দলকে তুরস্কে পাঠিয়েছে। এ দলে রয়েছে উচ্চ প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াডও। অন্য দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক টুইট বার্তায় লেখেন, তুরস্কে সবধরনের সহায়তা পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তাৎক্ষণিক সাড়ে ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। কাতারও তুরস্কে সহায়তা ও উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে।


তুরস্কে আরো এক নারীকে জীবিত উদ্ধার : সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের ২২ ঘণ্টা পর আরো এক নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সানলিউরফা প্রদেশে ভূমিকম্প আঘাত হানার ২২ ঘণ্টা পর একজন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।


তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে নতুন ভূমিকম্প : তুরস্কের মধ্যাঞ্চলে গতকাল মঙ্গলবার আরেকটি নতুন ভূমিকম্প হয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫। গোলবাসি শহরের কাছে এই কম্পনের গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। ফ্রান্সভিত্তিক ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগর ভূমিকম্প কেন্দ্র এই কম্পনের মাত্রা ৫ দশমিক ৬ বলে উল্লেখ করেছে। তারা বলছে, গোলবাসির কাছে এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ২ কিলোমিটার।


উভয় সংস্থাই বলেছে, মঙ্গলবার গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) সময় ৩টা ১৩ মিনিটে কম্পন হয়েছে। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। সোমবার সকালে প্রাণঘাতী ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পর সিরিজ আফটার শকে বারবার কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। ইউএসজিএস জানিয়েছে, অন্তত ১০০টি আফটার শক হয়েছে।
ধ্বংসস্তূপের নিচে শিশুর জন্ম : তুরস্ক-সিরিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনে চাপা পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারের মধ্যেই এক ফুটফুটে শিশুর জন্ম নেয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মারা যান মা, ওই অবস্থাতেই জন্ম হয় শিশুটির। সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে হৃদয়স্পর্শী এ ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার তালহা সিএইচ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ওই নবজাতকটি উদ্ধারের ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। সেখানে দেখা যায়, এক উদ্ধারকারী শিশুটিকে হাতে নিয়ে দৌড়াচ্ছেন। নবজাতকটিকে ঢাকতে অপর এক উদ্ধারকারী একটি চাদর ছুড়ে দেন। তবে শিশুটি বেঁচে আছে, না কি মারা গেছে, তা ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়নি।
ভিডিওটির শিরোনামে লেখা হয়, সিরিয়ার আলেপ্পোর ধ্বংসস্তূপে একটি শিশু জন্ম নেয়ার মুহূর্ত। কিন্তু শিশুটির মা মারা গেছেন। আল্লাহ সিরিয়া ও তুরস্কের জনগণকে ধৈর্য ধরার শক্তি দিন ও হতাহতদের প্রতি সহায় হোন। এর আগে সিরিয়ার আফরিনেও ধ্বংসস্তূপ থেকে আরেকটি শিশুকে জীবিত উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়। জানা যায়, মা-বাবা মারা গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় শিশুটি।


সিরিয়ায় ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ : যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ানদের জন্য ভয়াবহ ভূমিকম্প আরেকটি দুর্যোগ নিয়ে এসেছে। গত কয়েক বছর ধরে দেশটিতে যুদ্ধ চলছে। সেখানে আগে থেকেই দেখা দেয় মানবিক বিপর্যয়। তাই সাত দশমিক আট মাত্রার ভূমিকম্পে পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ধ্বংসস্তূপ, বিস্ফোরণ, নারী শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি সিরিয়ার একটি সাধারণ ঘটনা। গত ১২ বছর ধরে দেশটিতে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। বিশেষ করে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে।
তবে সিরিয়ায় এবারের প্রাণহানির জন্য কোনো বিমান হামলা বা বোমা বর্ষণ দায়ী নয়। প্রাকৃতিক কারণে নতুন দুর্যোগের মুখোমুখি দেশটি।
সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে : এ দিকে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, জ্বালানি স্বল্পতা ও তীব্র শীতের কারণে সিরিয়ায় ভূমিকম্প পরবর্তী সহায়তা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে জানিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের শীর্ষ এক কর্মকর্তা। এই ভূমিকম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের অসংখ্য মানুষকে তীব্র শীতের মধ্যে তড়িঘড়ি ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় ছুটতে বাধ্য করেছে; কয়েক বছরের বিমান ও গোলা হামলা ওই এলাকার জনগণকে এমনিতেই আতঙ্কিত ও অসংখ্য ভবনকে দুর্বল অবস্থায় ফেলে রেখেছিল।


দামেস্ক থেকে ভিডিওলিংকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতিসঙ্ঘের মানবিক ত্রাণকার্যক্রম বিষয়ক আবাসিক সমন্বয়ক এল মোস্তফা বেনলামলিহ বলেছেন, ‘স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, মানবিক কার্যক্রমের জন্য যেসব সড়ক ব্যবহার করতাম সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কী করে লোকজনের কাছে পৌঁছানো যায়, সেজন্য নতুন উপায় বের করতে হবে আমাদের, আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’
সোমবার ভোররাতের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পের আগেই উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ দেশের বাইরে থেকে আসা ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল ছিল বলে অনুমান জাতিসঙ্ঘের। এই মানুষগুলোর অধিকাংশই ১২ বছর ধরে চলা যুদ্ধে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়ে এখন শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন।
সিরিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রগুলো কয়েক বছর ধরে মোটামুটি শান্ত থাকলেও দেশটির নাজুক পরিস্থিতির ওপর চাপ আরো বাড়াচ্ছে গভীর অর্থনৈতিক সঙ্কট; জ্বালানি সঙ্কট বাড়াচ্ছে লোডশেডিং, পাশাপাশি বঞ্চনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। য্দ্ধু শুরুর পর থেকে যেকোনো পর্যায়ের চেয়ে দেশটিতে মানবিক ত্রাণ সহযোগিতা যে এখন অনেক অনেক বেশি দরকার তা ভূমিকম্প আঘাত হানার আগেই বলেছিল জাতিসঙ্ঘ। সিরিয়ার জনসংখ্যার ৭০ শতাংশেরই ত্রাণ দরকার বলে জানিয়েছিল তাদের হিসাব।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস হচ্ছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানের সাথে টেস্ট খেলতে চান রোহিত অধ্যাপক মাযহারুল ইসলামের বাসভবনে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ইউক্রেনের ২০টি ড্রোন, ২টি ক্ষেপণাস্ত্র নিষ্কিৃয় করল রাশিয়া তালেবানকে আফগান মাটি অন্যদের ব্যবহারের সুযোগ না দেয়ার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের। গত দুই দিনের রেকর্ডের পর চুয়াডাঙ্গায় আজও বইছে তীব্র তাপদাহ বগুড়ায় শিশুকে গলা কেটে হত্যা, নানা আটক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের সম্ভাব্য একাদশ তালতলীতে ইউপি চেয়ারম্যানের নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল ভারতের নির্দেশের পর পোস্ট ব্লক করল এক্স ‘দেশের কল্যাণে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারার বিকল্প নেই’

সকল