২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সাথে কেএনএফের সংঘর্ষ, নিহত ১

-


বান্দরবানে সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে এক কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র গুলি ও সরঞ্জাম। গত শনিবার সন্ধ্যায় রুমা উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে আর্থাপাড়া ও বাছলাংপাড়ার মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর আতঙ্কে ওই এলাকার কয়েকটি পাড়ার শতাধিক নারী-পুরুষ রুমা উপজেলা সদরে এসে আশ্রয় নিয়েছে। রোববার সকালে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে নিহত কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে। তার শরীরে কেএনএফের পোশাক ছিল। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।


আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, গত ৯ অক্টোবর থেকে উগ্রবাদী ও কেএনএফের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচালিত অভিযানে কয়েক দফা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত শনিবার পাইন্দু ইউনিয়নে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এসব বন্দুকযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।
এ দিকে এসব ঘটনার কারণে আতঙ্কে ওই এলাকার বম ও মারমাদের পাঁচটি পাড়া থেকে লোকজন অন্যত্র চলে গেছে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। এ পাড়াগুলো হলো- পাইন্দু ইউনিয়নের হ্যাপিহিলপাড়া, বাসৎলাংপাড়া, আর্থাপাড়া, মুননুয়ামপাড়া ও মুয়ালপিপাড়া।
রুমা থানার ওসি আলমগীর হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, আর্থাপাড়া ও বাসৎলাংপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর টহল দলের ওপর শনিবার দুপুরে হামলা চালায় কেএনএফ সদস্যরা। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি ছুড়লে কেএনএফের সদস্যরা পালিয়ে যায়। রোববার সকাল থেকে সেখানে তল্লাশির একপর্যায়ে আর্থাপাড়া এলাকা থেকে কেএনএফের পোশাক পরা এক সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশে একটি দোনলা কার্তুজ বন্দুক ও ৭০টি গুলি পাওয়া গেছে।


আর্থাপাড়া রুমা উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে পাইন্দু ইউনিয়নে অবস্থিত। পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চার-পাঁচ দিন ধরে হ্যাপিহিলপাড়া, বাসৎলাংপাড়া, আর্থাপাড়া, মুননুয়ামপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কেএনএফের গোলাগুলি চলছিল। শনিবার দুপুরে বাসৎলাংপাড়া ও আর্থাপাড়া এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর একদল কেএনএফ সদস্য হামলা করে। নিরাপত্তা বাহিনী পাল্টা গুলি ছুড়লে কেএনএফ সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ সময় গুলিতে একজন কেএনএফ সদস্য নিহত হয়। গোলাগুলির ঘটনায় আতঙ্কে পাড়ার লোকজন ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর বান্দরবান রিজিয়ন ও ৬৯ পদাতিক ব্রিগেডের সদর দফতর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কেএনএফের অত্যাচার ও নির্যাতনে পাড়াগুলো থেকে বম ও মারমা বাসিন্দারা বাসস্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তারা রুমা উপজেলা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ভবনে অবস্থান করছেন। আশ্রিত পরিবারগুলোকে সেনাবাহিনী খাবার, শীতবস্ত্র, চিকিৎসাসেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র প্রদান করছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গ্যাটকো মামলা : খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে শুনানি ২৫ জুন বুড়িচংয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ গলাচিপায় স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে ৩টি সংগঠনের নেতৃত্বে মানববন্ধন থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ছেলে হারা মা সাথিয়ার কান্না যেন থামছেই না বৃষ্টির জন্য নারায়ণগঞ্জে ইস্তিস্কার নামাজ আদায় প্রবাসী স্ত্রী থেকে প্রতারণার মাধ্যেমে দেড় লাখ টাকা চাঁদা আদায়, ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ভোটারের তালিকা চান হাইকোর্ট আশ্রয় নিলেন মিয়ানমারের আরো ৪৬ বিজিপি সদস্য উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কক্সবাজারে ট্রেন লাইনচ্যুত, যোগাযোগ বন্ধ

সকল