২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

সিলেটের পরীক্ষা নিতে পারেনি চট্টগ্রাম

-

ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি করলেন মেহেদি মারুফ। তবে দলকে বড় পুঁজি এনে দেয়ার আসল দায়িত্বটা পালন করেছেন অধিনায়ক শুভাগতহোম চৌধুরী। তার বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করেই ৬ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। জবাবে খেলতে নেমে শান্ত-মুশফিক-বায়ার্ন ত্রয়ীতে দুই ওভার বাকি থাকতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে ৭ উইকেটে জিতে সিলেট। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ফের শীর্ষে স্ট্রাইকার্সরা। আরো একটি হার নিয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠেই রইল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় চট্টগ্রাম। ইনিংসের প্রথম বলেই মাশরাফি বিন মর্তুজা তুলে নেন উসমান খানকে (০)। আফিফ হোসেনকে নিয়ে প্রাথমিক বিপদ সামাল দেন মেহেদি মারুফ। ২৭ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন আফিফ। মেহেদি মারুফ ৪০ বলে ৫২ রানের ইনিংসে হাঁকান ৭টি চার আর ২টি ছক্কা। তারপরও ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। সেখান থেকে বলতে গেলে একাই দলকে টেনে তোলেন শুভাগত। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত বন্দরনগরীর এই অধিনায়ক। ২৯ বলে তার হার না মানা ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি করে চার-ছক্কার মার। ১২ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ইমাদ ওয়াসিম দু’টি, মাশরাফি ও আমির একটি করে উইকেট নেন।
সিলেটের সামনে বড় টার্গেট হলেও সেটি আমলে না নিয়ে নিজেদের মতোই খেলতে থাকে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে রংপুরের কাছে পরাজিত হওয়া স্ট্রাইকার্সরা। ৮.১ ওভারে দলীয় ৬৩ রানে বিচ্ছিন্ন হন তৌহিদ হৃদয় (১৫)। আগের ম্যাচের মতোই অবিচল থাকেন শুরুতেনামা নাজমুল হোসেন শান্ত। ১২.৫ ওভারে দলীয় ১১০ রানে নিহাদুজ্জামানের বলে ইরফানকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ৬০ রানে। ৪৪ বলে ৬ চারে ও দুই ছক্কায় ওই রান করেন তিনি। শান্ত ৫০ করেন ৩৬ বলে। এরপর ক্রিজে থাকা মুশফিককে চার ছক্কায় ফুলঝুরি ছুটিয়ে দারুণ সঙ্গ দেন আসরে প্রথম খেলা রায়ান বার্ল। ১৬.২ ওভারে ১৬ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৪১ রান করা বায়ার্নকে ফেরান ভিয়াসকান্ত। জাকির এসে ৫ বলে একটি করে চার ও ছয়ে অপরাজিত ১২ রান করে জয়ের কাজটা পূর্ণ করেন। ১২ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান করে স্ট্রাইকার্সরা। মুশফিক অপরাজিত থাকেন ২৬ বলে ৫ চার ও এক ছয়ে ৪১ রানে।


আরো সংবাদ



premium cement