২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

ময়মনসিংহে জমির দখল নিয়ে সালিসে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, গোলাগুলি

-


জমি সংক্রান্ত বিরোধের সালিসে হাতাহাতির ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর বাউন্ডারি রোডে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দু’জন। এ সময় একটি বাস, প্রাইভেটকার ও দোকান ভাঙচুর করা হয়।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- শহরের নতুন বাজার এলাকার রাজ্জাক মিয়ার ছেলে শাকিল আহমেদ (২৫) ও নওমহল এলাকার জাহিদ হাসানের ছেলে রিমন মিয়া (২০)। তারা দু’জনই ছাত্রলীগের অনির সমর্থক। রিমনের বাম চোখের নিচে এবং শাকিলের উরুতে গুলি লেগেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য রিমনকে রাতেই ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গত শুক্রবার রাতে বাউন্ডারি রোডে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত শাকিলের ভাই শরীফুল ইসলাম বাদি হয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ এজাহারভুক্ত এক নম্বর আসামি শামীম ওরফে কাইল্যা শামীমকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ অবশ্য ঘটনার পরপরই শামীমসহ চারজনকে আটক করলেও অন্যদের আসামি না করায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের তেলিগ্রাম বাজারের কাছে জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধপূর্ণ জমি একপক্ষ থেকে ৩০ শতক কিনে নেন ছাত্রলীগের মহানগর আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনির বাবা হুমায়ুন কবির। সেখান থেকে ৬ শতক জমি বিক্রি করা হয় মহানগর যুবলীগের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সুমনের কাছে। একই জমি দুই পক্ষই দখলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিরোধ শুরু হয়। সেই বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর নগরীর জয়নুল আবেদীন পার্কের গ্রিন পয়েন্ট রেস্টুরেন্ট সালিসের আয়োজন করা হয়। সেখানে একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক অনির এক সমর্থক মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠানের সমর্থক জয়কে মারধর করে। এ সময় সালিস ছেড়ে দু’পক্ষ চলে যায়। পরে রাসেল পাঠানের সমর্থকরা সংঘবদ্ধ হয়ে নগরীর বাউন্ডারি রোড এলাকায় অনির বাসায় হামলার চেষ্টা করলে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কয়েকটি বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়। ভাঙচুর করা হয় একটি বাস, প্রাইভেটকার ও কয়েকটি দোকান। রাত ৮টা থেকে থেমে থেমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। ওই সময় ছাত্রলীগের অনি গ্রুপের শাকিল আহমেদ (২৫) ও রিমন মিয়া (২০) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।


এ ব্যাপারে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহেমদ অনি সাংবাদিকদের জানান, সালিসে বিএনপি নেতাদের পক্ষ হয়ে প্রতিপক্ষরা ‘গালাগাল’ করতে থাকে। সালিসে উপস্থিত লোকজন প্রতিবাদ ও মারধর করে। পরে আমার বাসায় হামলার চেষ্টা করে। ওই সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি করে রাসেল পাঠানের সমর্থকরা। কিন্তু তার কর্মীদের প্রতিরোধের মুখে তার বাসার গলিতে প্রবেশ করতে পারেনি। এতে দু’জন আহত হলেও একজন তার কর্মী অপরজন পথচারী।
মহানগর যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেল পাঠান সাংবাদিকদের জানান, ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা সুমনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ তৈরি হওয়া সমাধানের জন্য বসেছিলেন তারা। সালিসের শেষ পর্যায়ে তার লোকদেকে মারধর করায় উত্তেজনা শুরু হয়। পরে তার লোকজন পাথর নিয়ে হামলা করে। তবে গুলি বা ককটেল ফাঁটানোর কথা সঠিক নয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
গাজায় সাহায্য বাড়াতে ইসরাইলকে নির্দেশ আইসিজের দিল্লি হাইকোর্টে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা খারিজ বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ জামালপুরে সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি মামলায় আ’লীগ নেতা গ্রেফতার গাজায় অনাহার যুদ্ধাপরাধ হতে পারে : জাতিসঙ্ঘ ‘প্রত্যেককে কোরআনের অনুশাসন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে’ মতলব উত্তরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের শেষ ধাপের পরীক্ষা শুক্রবার লম্বা ঈদের ছুটিতে কতজন ঢাকা ছাড়তে চান, কতজন পারবেন? সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা বছরে পৌনে ৩ লাখ মানুষের মৃত্যু দূষণে

সকল