১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪২৯, ০৮ রমজান ১৪৪৫
`
আদা-রসুনের দাম বাড়ছেই

কার্যকর হওয়ার আগেই বাড়তি দামে চিনি

বাজার দর
-


তিন মাস আগে গত নভেম্বরে খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম বাড়িয়ে প্যাকেটজাত চিনির দাম ১০৭ টাকা এবং খোলা চিনির কেজি ১০২ টাকা করা হয়েছিল। এরপর গত বৃহস্পতিবার খোলা চিনির দাম প্রতি কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা। আর প্যাকেট জাত চিনির দাম প্রতি কেজি ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এ দাম আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। তার আগেই বেশি দামে চিনি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর খিলগাঁও বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করায় ক্রেতাদের সাথে বাগি¦তণ্ডার ঘটনাও ঘটছে।
ক্রেতাদের অভিযোগের বিষয়ে বিক্রেতাদের দাবি, নির্ধারিত দামে আগেও চিনি বিক্রি হয়নি এখনো হচ্ছে না। নতুন করে দাম বাড়ার ঘোষণার পর সরবরাহ কমে গেছে। সরকার কঠিনভাবে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণ করছে না। ফলে খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমাদের প্রতি ক্রেতারা অসন্তুষ্ট হচ্ছে।
চিনির পাশাপাশি ডিম, আদা-রসুন ও শুকনো মরিচের দামেও অস্থিরতা বিরাজ করছে। আমদানির মাধ্যমে বাংলাদেশে আদা-রসুনের চাহিদা মেটানো হয়। সম্প্রতি বিভিন্ন নিত্যপণ্যের মতো আদা-রসুনের বাজারেও সরবরাহ সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকায় চাহিদার শীর্ষে থাকা এ দু’টি মসলার দাম অতিমাত্রায় বেড়েছে। আদা কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেড়ে এখন ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। আমদানি করা চায়না রসুন কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে এখন ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। দেশী বলে পরিচিত কেরালা জাতের আদার দামও কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশী রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন ১২০ টাকা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চীন থেকে আমদানি করা আদা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে যা সর্বোচ্চ ২২০ টাকায় বিক্রি হয়। কেরালা আদা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। আমদানি করা চয়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা।


সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিপিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, দেশী পাকা টমেটো কেজি ৩০ থেকে ৪০, শিম ৪০ থেকে ৫০, বেগুন মানভেদে ৫০ থেকে ৮০, শসা ৪০, করলা ৮০, নতুন বড় আলু ২০, মুলা ৩০, গাজর ৪০ থেকে ৫০, কাঁচা টমেটো ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মোটা চাল নতুন ব্রি-২৮ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৮-৬০ টাকায়। আর নতুন স্বর্ণা চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজ কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে খোলা আটা কেজি ৬০ টাকা ও প্যাকেট আটা ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দেশী চিকন মসুর ডাল ১৪০ ও মোটা মসুর ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী মুরগি ৪৭০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। প্রতি কেজি গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬৮০-৭২০ টাকা এবং খাসির গোশত ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে।
মাছের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ আকার ভেদে বিক্রি করা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ টাকায়। দেড় কেজি ওজনের রুই মাছ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, বড় রুইয়ের কেজি ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় কাতলা মাছ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, শিং মাছ প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০, বোয়াল মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৩৭০ থেকে ৪৫০, পাবদা মাছ আকার ভেদে ৩৭০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি, কাঁচকি মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের কই মাছ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement