২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`

দায়িত্ব নিয়েই কাশ্মিরে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ভারতকে হুঁশিয়ারি

-

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান হিসেবে সদ্যই দায়িত্ব নিয়েছেন জেনারেল আসিম মুনির। নতুন দায়িত্বে আসার কয়েক দিন পরই কাশ্মির সফর করেছেন তিনি। এ সময় কাশ্মিরকে বিভক্তকারী লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) পরিদর্শন করার পাশাপাশি ভারতকে কার্যত হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জেনারেল মুনির। আল জাজিরা।
শনিবার ভারতের জম্মু কাশ্মিরের সাথে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরকে বিভক্তকারী এলওসি পরিদর্শন করেন পাকিস্তানের নবনিযুক্ত সেনাপ্রধান। এ সময় তিনি বলেন, আক্রমণ হলে সেনাবাহিনী দেশকে রক্ষা করতে প্রস্তুত রয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ইন্টার সার্ভিস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে বলেছে- শনিবার কাশ্মিরের লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি) পরিদর্শন করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আসিম মুনির।
সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমাদের মাতৃভূমির প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করতেই নয়, বরং আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া হলে শত্রুকে কঠোর জবাব দিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সবসময়ই প্রস্তুত।’ তিনি আরো বলেন, ‘ভারতীয় রাষ্ট্র (পাকিস্তানে) কখনোই তার ঘৃণ্য পরিকল্পনা অর্জন করতে সক্ষম হবে না।’ অবশ্য পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের এই হুঁশিয়ারির জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর দায়িত্ব নেয়ার কয়েক দিন পর জেনারেল আসিম মুনির কাশ্মিরে এই সফর করলেন। অবশ্য আজাদ কাশ্মিরকে ভারত নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে থাকে।
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে বলেছিলেন, পাকিস্তানের আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গিলগিট-বালতিস্তানে পৌঁছানোর জন্য প্রস্তুত নয়াদিল্লি। ভারতের দাবি, গিলগিট-বালতিস্তান (ভারতশাসিত) কাশ্মিরের অংশ এবং এটি অবৈধভাবে পাকিস্তানের দখলে রয়েছে।


রাজনাথ সিংয়ের সেই বক্তব্যকে ইসলামাবাদ সে সময় ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছিল। পাকিস্তান সে সময় জানায়, রাজনাথের ওই বক্তব্য প্রতিবেশীর (পাকিস্তানের) প্রতি নয়াদিল্লির শত্রুতাপূর্ণ এবং সম্প্রসারণবাদী মানসিকতার প্রতিনিধিত্ব করে।
দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দু’টি দেশ কাশ্মিরের পুরোটাই দাবি করলেও উভয়েই এর কিছু অংশ শাসন করে থাকে। তারা এই হিমালয় অঞ্চল নিয়ে তিনটি যুদ্ধের মধ্যে দু’টিতে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। উল্লেখ্য, কাশ্মিরকে কেন্দ্র করে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে একাধিকবার যুদ্ধ হয়েছে। এখন উভয়েই পারমাণবিক শক্তিধর দেশে পরিণত হয়েছে তবে ইতিহাস বলছে, ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান আর ভারত স্বাধীনতা পাওয়ার আগে থেকেই কাশ্মির নিয়ে বিতর্কের সূচনা হয়েছিল।
১৯৪৭ সালের অক্টোবরে কাশ্মিরের তৎকালীন হিন্দু মহারাজা হরি সিং ভারতে যোগ দেয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন এবং ভারতের সামরিক সহায়তা পান। পরিণামে ১৯৪৭ সালেই শুরু হয় ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ। উভয় দেশের এই যুদ্ধ চলেছিল প্রায় দুই বছর ধরে। এরপর কাশ্মিরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ১৯৪৮ সালে, তবে ভারত সেনা প্রত্যাহার না করায় পাকিস্তানও সেনা প্রত্যাহার করতে অস্বীকার করে। তখন থেকেই কাশ্মির কার্যত পাকিস্তান ও ভারত নিয়ন্ত্রিত দুই অংশে ভাগ হয়ে যায়। অন্য দিকে ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধের মধ্য দিয়ে চীন কাশ্মিরের আকসাই-চিন অংশটির নিয়ন্ত্রণ কায়েম করে। আর তার পরের বছর পাকিস্তান-কাশ্মিরের ট্রান্স-কারাকোরাম অঞ্চলটি চীনের হাতে ছেড়ে দেয়। সেই থেকে কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তান, ভারত ও চীন- এই তিন দেশের মধ্যে ভাগ হয়ে আছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সংবাদ-রাজনৈতিক বিষয়বস্তু কমিয়ে দেয়ায় ফেসবুক নিউজ ট্যাব থাকছে না জুনের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে : প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন সাকিবের প্রশংসায় পোথাস আদমদীঘিতে ২৩০ চালকল বন্ধ : বেকার ৭ হাজার শ্রমিক সাকিবে উজ্জীবিত বাংলাদেশের লক্ষ্য সিরিজে সমতা কুলাউড়ায় জঙ্গল থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধার ঈদগাঁওতে মাদককারবারি গ্রেফতার শিক্ষায় ব্যাঘাত : ফেসবুক-টিকটক-ইনস্টাগ্রাম-স্ন্যাপচ্যাটের বিরুদ্ধে ২৯০ কোটি ডলারের মামলা আমতলীতে কিশোরীকে অপহরণ শেষে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ মহানবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে লালমোহনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সকল