২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আওয়ামী লীগের দুর্গে বিএনপির চ্যালেঞ্জ

ফরিদপুরে আজ গণসমাবেশ ; চলছে তল্লাশি, কড়াকড়ি ; বিচ্ছিন্ন জেলা
- নয়া দিগন্ত

আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত ফরিদপুর বিভাগে আজ চ্যালেঞ্জের গণসমাবেশ বিএনপির। সমাবেশ সফলে দলটি যেমন সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে, তেমনি সরকারি দলও নেতাকর্মীদের সজাগ রেখেছে। গতকাল ফরিদপুর শহরের শেখ রাসেল চত্বরে শোডাউন দিয়েছে তারা। চলছে বাস ধর্মঘট। ফরিদপুর থেকে সারা দেশকে কার্যত বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে ফরিদপুরের ওপর দিয়ে বরিশালগামী বাসও চলাচল করেনি। ফলে বরিশালের পাঁচ জেলার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগও ছিল একেবারেই সীমিত।

এমন পরিস্থিতি ডিঙিয়ে ফরিদপুর বিভাগের ৫ জেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা তিন দিন আগে থেকেই সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করে, যা গতকাল রাতেই হাজার বিশেক পেরিয়ে যায় বলে নেতাদের দাবি।

গণসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির সমন্বয়ক শামা ওবায়েদ গতকাল বিকেলে সমাবেশস্থলে দাঁড়িয়ে নয়া দিগন্তকে বলেন, সাধারণভাবে ফরিদপুর বিভাগকে আওয়ামী লীগের দুর্গ মনে করা হলেও, বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। সব প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউটে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ হবে।

গত ৮ নভেম্বর ফরিদপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন স্কুল মাঠে বিভাগীয় এ গণসমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি। তবে সমাবেশ সফলে প্রস্তুতি চলেছে মাসব্যাপী। কেন্দ্রের ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বিপুল সমাগমের লক্ষ্য নিয়ে ৫ জেলার আনাচেকানাচে চষে বেড়িয়েছেন।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেছেন, গণসমাবেশের আগে তাদের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

‘কানায় কানায় পূর্ণ সমাবেশস্থল’
গতকাল শুক্রবার বিকেলে কোমরপুরের জনসভাস্থলে দেখা গেছে, সমাবেশে আগতদের ভিড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল। বাস ও মিনিবাস ধর্মঘট উপেক্ষা করে বিভিন্ন উপায়ে সেখানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পৌঁছাচ্ছেন। তারা সেখানে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে প্রদক্ষিণ করছেন। এতে সেখানে এক ভিন্ন আমেজের সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সেখানে কয়েক হাজার নেতাকর্মী মাঠে অবস্থান নেন। সারারাত তাদের অনেকে খোলা আকাশের নিচেই অবস্থান করেছেন। গতকাল শুক্রবারও পাশর্^বর্তী গোপালগঞ্জ, মাদারিপুর, শরিয়তপুর ও রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। দুপুরের পর থেকেই বাড়তে থাকে আগতদের ভিড়। সন্ধ্যা নাগাদ পূর্ণ হয়ে উঠে মাঠ। এদিকে গতকাল দুপুরে সমবেত নেতাকর্মীরা কোমরপুর আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউশন জামে মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেছেন। গণসমাবেশস্থল সংলগ্ন মসজিদে মুসল্লিদের ভিড় মসজিদ উপচে মাঠে ছড়িয়ে পড়ে।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন, তাদের এই গণসমাবেশে নির্ধারিত সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় ছাড়িয়ে ২ কিলোমিটার দূরে শহর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। গতকাল গণসমাবেশের মূল মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। এর বাইরে গণসমাবেশের মাইক লাগানো হচ্ছে প্রায় ১ কিলোমিটারজুড়ে। সন্ধ্যায় সমাবেশস্থলে দেশাত্মবোধক সঙ্গীত পরিবেশন করে জাসাসের শিল্পীরা।

পরিবহন ধর্মঘট, তল্লাশি
এদিকে বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ফরিদপুরে ৩৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয় গতকাল সকাল থেকে।
মহাসড়কে থ্রি হুইলার বন্ধ না হওয়ায় প্রতিবাদে ফরিদপুর জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে আজ শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট চলবে ।

এই সময়ের মধ্যে আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাসের পাশাপাশি সরকারি পরিবহন বিআরটিসির (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন) বাস চলাচল বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বাস বন্ধ থাকার কারণে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে ফরিদপুর থেকে বিভিন্ন জেলা উপজেলাগামী যাত্রীদের।
দুপুর ১২টা থেকে ২ পর্যন্ত ফরিদপুর শহরের ভাঙা রাস্তা মোড় থেকে শুরু করে নতুন বাসস্ট্যান্ড হয়ে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পর্যন্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সড়কে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের তিন চাকার যানবাহন। ফরিদপুর পৌর বাসটার্মিনালে পার্ক করে রাখা হয়েছে ফরিদপুর থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো। বাসের চালক ও শ্রমিকরা ক্যারম খেলে বা গল্প করে সময় পার করছেন।

ফরিদপুর পৌর বাসটার্মিনালে কথা হয় একটি বাসের চালক মালেক হোসেনের সাথে। তিনি জানান, কেন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে তা তাদের জানা নেই। নেতারা বলতে পারবেন। শুধু শুধু দুই দিন আমাদের বসে থাকতে হবে।
তাজমহল পরিবহনের চালক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আমরা বাসের শ্রমিক না হয়ে যদি ইজিবাইক চালাতাম তাহলে এভাবে বসে থাকতে হতো না। বসে থাকলে আমাদের সংসার চলে না।

তিনি আরো জানান, বাস বন্ধ হওয়ায় যাত্রী সাধারণের পাশাপাশি শ্রমিকরাও অনেক ভোগান্তিতে পড়েন।
ফরিদপুর থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাট যাবেন আনোয়ার মোল্লা (৫৭)। তিনি বলেন, ফরিদপুর আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলাম। ধর্মঘটের ব্যাপারে আগে থেকেই জানি। কিন্তু ভাবিনি একটা বাসও পাব না। এখন রাস্তায় এসে দেখি কিছু মাহেন্দ্র ও অটোরিকশা ছাড়া আর তেমন কোনো যানবাহন নেই। এখন কিভাবে গন্তব্যে পৌঁছবো সেটাই ভাবছি।
রিকশাচালক কুটিমিয়া (৪১) বলেন, বাস বন্ধ থাকায় আমাদেরও দুর্ভোগ কম হয়নি। বাস চালু থাকলে নতুন বাসস্ট্যান্ড, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে অনেক যাত্রী নিয়ে আমরা গন্তব্যে যেতে পারি। ভালো টাকা আয় হয়। আজ এমনিতেই শুক্রবার তার উপর বাস বন্ধ এ জন্য বেল ১১টা পর্যন্ত মাত্র ৭০ টাকা ভাড়া মেরেছি।

ফরিদপুর শহরের হাড়োকান্দি মহল্লার বাসিন্দা সোহাগ ব্যাপারী (৩৫)। তিনি ব্যবসা করেন ফরিদপুরে ভাঙ্গায়। তিনি বলেন, আমি ফরিদপুরের বাসা থেকেই ভাঙায় যেয়ে এসে দোকান করি। সকালে ভাঙ্গা যাই, সন্ধ্যায় ভাঙ্গা থেকে আসি। কিন্তু আজ এসে দেখি একটাও গাড়ি নেই। এখন অটোরিকশা বা মাহেন্দ্রই ভরসা।

এদিকে বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে সমাবেশস্থলসহ শহরের বিভিন্ন প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ।

সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় , ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সংযোগ মোড়ে পুলিশ চেক পোস্ট বসিয়েছে। এছাড়া আর একটি চেক পোস্ট বসিয়েছে রাজবাড়ী থেকে ফরিদপুরে আসার পথে বাহিক ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুর সদরের বাহির দিয়া সেতু এলাকায়। সমাবেশে আগত বিভিন্ন নেতাকর্মীর সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ঢাকা-বরিশাল সড়কের মুন্সিবাজার এবং ফরিদপুর-চরভদ্রাসন সড়কের গজারিয়াতে ও নগরকান্দা উপজেলার জয়বাংলা মোড় এলাকায়ও পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে ।
নেতাকর্মীরা জানান, ওইসব চেক পোস্ট দিয়ে আসা প্রতিটি মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাহেন্দ্র, ইজিবাইক এবং গাড়ি পুলিশ তল্লাশি করছে।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর এলাকা থেকে সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন মো. রেদোয়ান মোল্লা। তিনি জানান, সমাবেশে আসার পথে বাহির দিয়া ব্রিজ এলাকায় পুলিশ তাদের মাহেন্দ্রটি চেক করেছে।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা থেকে সমাবেশস্থলে এসেছেন ইমরান হোসেন। তিনি জানান, বাস বন্ধ তাই ইজিবাইকে এসেছি। আসার পথে মুন্সিবাজার এলাকায় পুলিশ আমাদের গাড়ি চেক করে।

নগরকান্দা উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইফুল রহমানের গাড়িচালক আলমগীর হোসেন জানান, তাকে নগরকান্দার জয়বাংলার মোড়ে পুলিশ চেক পোস্টে গাড়িটি থামায় । তিনি ওই মোড় দিয়ে ফরিদপুরে আসতে চাইলে পুলিশ বাধা দিয়ে বলে, আজকে ফরিদপুরের দিকে যাওয়া যাবে না । তিনি বলেন, আমাদের বাড়ি ফরিদপুরের পথে এবং আমরা বাড়িতে যাচ্ছি। এ কথা বলার পর তার গাড়িটি ছেড়ে দেয়।

ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা জানিয়েছেন, তাদের গণসমাবেশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশ নগরকান্দা ও বোয়ালমারীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে। আওয়ামী লীগ গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে পাল্টা জমায়েত করে জনমনে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা চালিয়েছে। যুবলীগ ও ছাত্রলীগ শহরে মিছিল বের করেছে। এর বাইরে গণসমাবেশের শুরু থেকেই সমাবেশের জন্য আবেদন করা নির্ধারিত স্থানের বদলে তাদের শহরের বাইরে গণসমাবেশ ঠেলে দেয়া হয়েছে। এসব সত্ত্বেও নেতাকর্মীরা বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো ছুটে আসছেন। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। শনিবার এই গণসমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলে বৃহত্তর ফরিদপুরের বিএনপির পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের গণমিছিল
বিএনপির এই ষষ্ঠ বিভাগীয় গণসমাবেশের আগের দিন ফরিদপুরে শুক্রবার বিকেলে গণমিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের নেতৃত্বে শহরের আলিপুরে শেখ রাসেল ক্রীড়া কমপ্লেক্স চত্বর থেকে শুরু হয়ে মুজিব সড়ক হয়ে ব্রক্ষ্মসমাজ সড়ক পর্যন্ত পৌঁছে মিছিলটি। সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন। এছাড়া বিএনপির বিভাগীয় এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

সমাবেশ শুরু বেলা ১১টায়
আজ শনিবার বেলা ১১টায় বিএনপির ষষ্ঠ বিভাগীয় এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের প্রধান অতিথি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গণসমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। গণসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর।

‘প্রশ্ন আউট, উত্তর জানা’
বিএনপির ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন গতকাল সন্ধ্যায় গণসমাবেশের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রশ্ন আউট হয়ে গেছে। বিএনপির সমাবেশ মানেই সরকার বাস, লঞ্চ, সব পরিবহন বন্ধ করে দেবে। যেহেতু বিএনপির নেতাকর্মীরা এর উত্তর জানেন, সে কারণেই সব বাধা অতিক্রম করে গণসমাবেশ গণজোয়ারে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, গণসমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত ৪ সপ্তাহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা ও ইউনিয়নে প্রস্তুতি সভা করেছে। জনগণ বিএনপির অন্য সব সমাবেশগুলোর মতোই ফরিদপুরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে এই সরকারের অন্যায়, জুলুম, দুর্নীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ জানাবে। তিনি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানান।

এ সময় যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাসুক, মো: সেলিমুজ্জামান সেলিম, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবুল হাসান পিঙ্কু, মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement