২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া যাবে না : প্রধানমন্ত্রী

কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া যাবে না : প্রধানমন্ত্রী -

আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ধরে রেখে সবাইকে ভিন্ন মত এবং ধর্মকে সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া যাবে না। দুর্গাপূজা উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির অঙ্গনে উপস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ আহ্বান জানান। বাংলা নিউজ ও বাংলা ট্রিবিউন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ধর্মেরই হোক, যেই হোক ধর্মীয় অনুভূতিতে কেউ আঘাত দিতে পারবে না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কেউ কোনো কথা বলতে পারবে না। যেকোনো ধর্মের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য।
তিনি বলেন, আমরা যদি বিশ্বাস করি এই বিশ্ব সৃষ্টিকর্তার তৈরি, আল্লাহর তৈরি, যে যেভাবেই ডাকে না কেন সেই শক্তির প্রতি; যারাই যেভাবে যতটুকু যার যার বিশ্বাস থেকে সে যেভাবে উদযাপন করে সেখানে সবাইকেই সম্মান দেখানো উচিত, কেউ কাউকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
ইসলাম ধর্মের উদারতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের ইসলাম ধর্ম, এটা অনেক উদার ধর্ম, আমাদের ইসলাম ধর্মে নির্দেশ আছে সব ধর্মকে সম্মান দেখানোর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সব সময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের এই দেশে যারা জন্মগ্রহণ করেছে, এই দেশে যারা বসবাস করে বা যারা বাংলাদেশের নাগরিক সে যে ধর্মেরই হোক যার যার ধর্ম সবাই স্বাধীনভাবে পালন করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের এই দেশটা যেন সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে চলতে পারে। কোথাও কোনো দুর্ঘটনা হলে পরে সেটাকে খুব বড় করে না দেখে তার বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে বিষয়টিকে আপনাদের নজর দিতে অনুরোধ করব। সে সাথে আপনাদের সহযোগিতাও চাইব। মহালয়ায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় পঞ্চগড়ে নৌকাডুবির ঘটনায় শোক এবং সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
আগামী বছর বিশ্বমন্দা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জাতিসঙ্ঘে গিয়ে বিভিন্ন দেশের নেতাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। সংস্থাটির মহাসচিবের সাথে আলোচনা হয়েছে। সবাই খুব দুশ্চিন্তাগ্রস্ত যে ২০২৩ সালে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। অর্থনৈতিক মন্দা আরো ব্যাপক আকারে দেখা দিতে পারে। বিষয়টি মাথায় রেখে সবাইকে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
মুসলিমদের হেবা আইনের মতো সুবিধা হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্যও চালু করা হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে বড় অভিযোগ ছিল শত্রুসম্পত্তি আইন। সেটাও আমরা বাতিল করে পরিবর্তন করে দিয়েছি। যার যার সম্পত্তিতে অধিকারটা ভোগ করতে পারেন সেই ব্যবস্থাটা করেছি। এ সময় সব ধর্মের বিত্তবান মানুষকে কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে মানুষের সেবায় পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরো সংবাদ



premium cement