২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫
`
মতবিনিময়ে প্রধানমন্ত্রী

রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন : বাসস -

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আমরা বারবার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করেছি এবং রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর জন্য দেশটির কাছে অনুরোধ করছি। শুক্রবার (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটন ডিসির একটি হোটেলে আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্র শাখা ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব কে এম শাখাওয়াত মুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের আশ্রয় দেয়া সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকারের কথা বলে। তিনি বলেন, খুনিরা এমনকি চার বছরের শিশু ও নারীসহ শিশুদেরও রেহাই দেয়নি। শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক স্বৈরশাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে হত্যা, গুম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির রাজনীতির সূচনা করেছিলেন। তিনি বলেন, কিছু সংস্থা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলছে এবং দুই ভারতীয়র নাম অন্তর্ভুক্ত করে একটি তালিকা (নিখোঁজের শিকার) দিয়েছে। কিন্তু তাদের এখন বিএনপির মিছিলে দেখা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার পাশাপাশি রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের দ্বারা নির্মিত ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধার জন্য কিছু লোক প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় যা খুশি বলছে। তিনি তাদের উপযুক্ত জবাব দেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কিছু বাংলাদেশী যারা বিভিন্ন অপরাধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে এবং যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধুর খুনিদের স্বজনরা রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের পেছনে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশীদেরকে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াত জোটের সংঘটিত অগ্নিসন্ত্রাস ও ধ্বংসযজ্ঞ সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, কারণ এর বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চলেছে। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন। কিন্তু আমরা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শেষ পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।’ প্রধানমন্ত্রী মার্কিন রাজনীতিবিদদের কাছে এসব বিষয় উপস্থাপন করতে বলেন, যখন তারা তাদের ভোটের সময় অভিবাসী বাংলাদেশীদের কাছে ভোট চাইতে আসেন। তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের উচিত বিদেশীদের কাছে প্রকৃত উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা। তিনি তাদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement